রিভটিল 0.5 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়েছে ক্লোনাজি পাম্প ০.৫ মিলিগ্রাম। এই ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি হচ্ছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। শুরু থেকে রেডিয়ান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড অত্যন্ত ভালো মানের ঔষধ প্রস্তুত করে যার কারণে খুব অল্প সময় বাংলাদেশের বাজারে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড ভালো একটি অবস্থান গড়ে তুলতে পেরেছে। আজকে আমরা ক্লোনাজি পাম্প গ্রুপের ঔষধের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।
এছাড়াও যারা ক্লোনাজিপাম গ্রুপের ঔষধ গুলোকে শুধুমাত্র ঘুমের ঔষধ নামে চেনেন তাদের বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। এ সকল ভুল ধারণা যাতে আপনাদের আর না থাকে এবং আপনারা এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার করতে শেখেন সেই উদ্দেশ্যকেই সামনে রেখে মূলত আমরা এই আর্টিকেল তৈরি করছি। তাহলে চলুন জানার চেষ্টা করি রিভটিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা।
রিভটিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট সঠিক কি কাজ করে
বিভিন্ন ধরনের প্যানিক ডিসঅর্ডারের জন্য ব্যবহার করা হয় আজকের রিভটিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট। রিভটিল ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট যাদের বিভিন্ন ধরনের প্যানিক ডিসঅর্ডার আছে তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশ করা হয় তার কারণ হচ্ছে এটার মাধ্যমে আপনি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে পারবেন এবং আপনাকে অনেক শান্ত মনে হবে।
কারো ক্ষেত্রে আকস্মিক ভীত হওয়ার প্রবণতা আছে। অর্থাৎ কেউ হঠাৎ করে ভয় পেয়ে ওঠে অথবা ঘনঘন ভয় পায় এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য বা এই ধরনের সমস্যা যদি কোন রোগীর শরীরে ডাক্তারেরা অনুভব করতে পারে তাহলে তাকে রিভটিল ০.৫ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট দেবে। এছাড়াও এটি একক ভাবে বা অন্যান্য ঔষধের সাথে ব্যবহার করা হয়। ঠিক যেমন বিভিন্ন ধরনের অবসর নেতা দূর করতে এবং যাদের বিভিন্ন চিন্তার কারণে ঘুম কম হয় তাদের ক্ষেত্রেও এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ক্লোনাজিপাম ব্যবহারের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের খুব একটা জানা নেই তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি দীর্ঘদিন ধরে ক্রোনাজিপাম ব্যবহার করতে পারেন। আমি একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি যে দীর্ঘদিন ধরে ক্লোনাজিপাম ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কোন ধরনের অভ্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরেও ভুল চিকিৎসা এড়াতে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্রোনাজিপাম খাবার সিদ্ধান্ত আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।
রিভটিল ০.৫ মিলিগ্রাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম
যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছে তাদের ক্ষেত্রে শুরুর দিকে রিভটিল ০.৫ মিলিগ্রাম করে ঔষধ খাওয়া যাবে তবে এই ঔষধের পরিমাণ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং দৈনিক 1.5 মিলিগ্রাম করে তিন বেলা ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রয়োগের প্রয়োজন পড়লে ডাক্তারেরা রোগের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ ২০ মিলিগ্রাম ক্রোনাজিপাম ট্যাবলেট খেতে বলতে পারে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ডাক্তারের ওপর নির্ভর করে এবং রোগের শরীরের উপর নির্ভর করে তাই এখানে সাধারণ মানুষের পক্ষে এত ওষুধের কোন প্রয়োজন নেই বলে আমি মনে করি।
যারা দীর্ঘদিন ধরে প্যানিক ডিসঅডারে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে শুধুমাত্র ০.২৫ মিলিগ্রাম। এটা দিনে 2বার আপনি ব্যবহার করতে পারেন এবং 2টা বিভক্ত ভাগে ভাগ করে এই ওষুধ আপনি সেবন করবেন। আবার অনেকের ক্ষেত্রে তিন দিন অন্তর অন্তর অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ঔষধের লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক 1 মিলিগ্রাম বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অর্থাৎ যদি এই ঔষধ এর পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে বৃদ্ধি করতে হবে এবং কমানোর ক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কমাতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে ঝিমানো ভাব কমানোর প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে 0.01 থেকে ০.০৩ মিলিগ্রাম প্রতি কেজিতে। অর্থাৎ এই ধরনের শিশুদের আগে ওজন মেপে নিতে হবে এবং সেই ওজনের উপর নির্ভর করে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঔষধ তাকে সেবনের জন্য দিতে হবে।