রাতে যদি কারো ই এস আর বেড়ে যায় তাহলে সেটা কি ধরনের সমস্যা এবং তার জন্য কি করা যায় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। সাধারণত এরিথ্রোসাইট সেটিমেন্টেশন এর সংক্ষেপ রুপ হচ্ছে ইএসআর। সাধারণত এই উপাদান যদি শরীরে বৃদ্ধি পায় তাহলে প্রদাহ জনক বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে রোগের ক্ষেত্রে। যদি চিকিৎসা করা এমন কোন রোগী পান যাদের প্রধা ওজনও সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই টেস্ট করাতে বলেন।
সাধারণত এই পরীক্ষা করানোর পিছনে যে কারণগুলো থাকে সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তবে যদি এই পরীক্ষা করা না হয় তাহলে রোগীর অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। শরীরে হঠাৎ করে যদি ব্যথা বৃদ্ধি পায় এবং সেটা শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন গিরা গিরায় ব্যথা হতে থাকে এবং সেটা কোনভাবে নিয়ন্ত্রণের না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে ধরে নেওয়া হয় তার শরীরে ই এস আর এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে এটা হয়েছে। এই অবস্থাতে এই পরীক্ষা করতে বলা হয় যার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
রক্তে ই এস আর বেশি হলে করণীয়
কারো শরীরে যদি হঠাৎ করে ব্যথা হয় এবং সেই ব্যথার কারণ যদি ই এস আর হয় তাহলে অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। এ অবস্থাতে রোগীকে এমন কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যে চিকিৎসা পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেতে হয় এবং সেখান থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া যায়। তাহলে এখন আপনাকে বুঝতে হবে আপনাকে কি করতে হবে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে তার কারণ হচ্ছে এখান থেকে কোনভাবেই সুস্থ হওয়া হতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই চিকিৎসাগুলো নিতেই হবে।
এ সমস্যাগুলোর কারণে ঘরোয়া কোন পদ্ধতি নেই যে ঘরোয়া পদ্ধতি আপনি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবেন। আপনাকে অবশ্য একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং ভালো চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরে তার পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে দীর্ঘদিনের জন্য।
ই এস আর কমানোর উপায়
আপনি যদি এই জিনিসটা কমাতে চান তাহলে কি করবেন এরকম প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি যে নিয়মিত চিকিৎসায় মূলত এটা কমানোর পেছনে মূল কারণ। আপনি যদি নিয়মিত চিকিৎসা করেন তাহলে এটা এমনিতেই কমে যাবে এছাড়াও অবশ্যই কিছু জিনিস আছে যেগুলো আপনাকে খেয়াল করতে হবে।এটা কমানোর জন্য সবার প্রথমে আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে অবশ্যই আপনি ভাল কিছু পরামর্শ পাবেন। আপনি যখন এ পরামর্শ অনুযায়ী আপনার জীবন যাপন করতে শুরু করবেন দেখবেন এমনিতেই আপনার শরীর থেকে উপাদান কমতে শুরু করবে।
ঔষধ ব্যবস্থাপনার দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে তার কারণ হচ্ছে একই সঙ্গে যদি বিভিন্ন রোগে কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ঔষধ ব্যবস্থাপনা না করা হলে সেটা সেই ব্যক্তির রোগ বৃদ্ধি করার একটি কারণ হতে পারে। যদি সঠিকভাবে এই ওষুধ ব্যবস্থাপনা করা হয় তাহলে অবশ্যই ইএসআর কমতে শুরু করবে।জীবনধারা পরিবর্তন অর্থাৎ একটি সুস্থ জীবন যাপন ও ভালো মস্তিষ্কের অধিকারী মানুষ এর শরীরের সবকিছু এমনিতেই সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এ ধরনের সমস্যা থেকে শরীরের প্রদাহ কমতে থাকে তাই অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
সুস্বাদু খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই ক্ষেত্রে এবং এই সুষম খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল শাকসবজি এবং চর্বি বিহীন প্রোটিন। আপনি যদি এই ধরনের প্রোটিন গুলো খেতে পারেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের ই এস আর নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং স্ট্রেচ ম্যানেজমেন্ট ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এই তিনটা জিনিস সুস্থ মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনার প্রতিনিয়ত এই তিনটা জিনিস মেইনটেইন করে চলতে হবে।