বর্ষাকাল অথবা শীতের বিকেলে চানাচুর দিয়ে মুড়ি খাওয়ার আড্ডাটা যেন সব বাড়িতেই রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন সারাদিন ধরে ঝিমঝিম বৃষ্টি হয় ঠিক তখন বারান্দায় বসে একসাথে বাড়ির সবাই মুড়ি চানাচুরের আড্ডাটা বেশ ভালই লাগে। তার সাথে তালে তালে যেরকম বৃষ্টির ছন্দ দোলে ঠিক তার মাঝে হঠাৎ করে যদি গুনগুনিয়ে কেউ গান শোনায় তাহলে তো আর আনন্দটাই আলাদা। যাইহোক আজকে আমরা শুধুমাত্র আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন একটি আর্টিকেল আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে যাবতীয় বিশেষ বিশেষ তথ্যগুলো। একটা মেয়ের জীবনে সব থেকে আনন্দের মুহূর্ত হলো তার গর্ভাবস্থার সময়টি।
এ সময়টিতে আনন্দের পাশাপাশি অনেক চিন্তাও থাকে একটা মেয়ের মনে। গর্ভাবস্থার সময় একজন মাকে খুব সতর্কভাবে থাকতে হয় এছাড়াও তার খাবারদাবারের প্রতিও অনেক সতর্কতার সাথে খেতে হয়। গর্ভাবস্থার সময় মুড়ি খেলে ক্ষতি হবে না ভালো হবে সে সম্পর্কে গর্ভবতী মায়েদের থাকে অনেক রকমের চিন্তাভাবনা ঠিক সেজন্যই একজন গর্ভবতী মায়ের জেনে রাখা প্রয়োজন যে গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে।আপনারা যারা গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন তারা যদি মুড়ি খাওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকেন তাহলে আর চিন্তাভাবনা না করে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আমাদের দেওয়া আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হবে সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হয়। মুড়ি খাওয়া ভালো এতে কোন ক্ষতির কারণ নাই। গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় মা ও শিশু দুজনায় সুস্থ থাকে। মুড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল এবং ভিটামিন বি যা গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরের মিনারেল ও ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করতে বেশ সহায়তা করে থাকে তাই গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়া ভালো।
এছাড়াও প্রোটিন আয়রন ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার হল মুড়ি যেহেতুর্ভাবস্থায় শরীরের হাড়ের ক্ষয় হয়ে থাকে সেহেতু মুড়ি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে এছাড়াও গর্বের সন্তানের হাড় গঠনেও বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে মুড়ি। ক্যালোরি ও শর্করা রয়েছে মুড়িতে, যা গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে ক্লান্তির সময় এনার্জি দিতে পারবে। গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো গর্ভাবস্থায় মায়েরা যে বমি বমি ভাবটা অনুভব করে সে নিয়মিত মুড়ি খেলে সেই বমি বমি ভাবটা অনেকাংশেই কমে যায় একজন গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে। তাই ডাক্তারেরা সাজেস্ট করে থাকেন যে গর্ভাবস্থায় যখন বেশি ক্লান্তি ভাব এবং বমি বমি ভাব আসে ঠিক তখনই শুকনো মরি চিবিয়ে খাওয়ার জন্য। মুড়িতে এসিড এর পরিমাণ কম থাকার কারণে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। শুকনো করেছি বিয়ার খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস দূর হয়ে যায় খুব সহজেই।
গর্ভাবস্থায়ী মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
একজন গর্ভবতী মা মুড়ি খাওয়ার মাধ্যমে তার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে দাঁতের সমস্যা পর্যন্ত খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়। একজন গর্ভবতী যদি গর্ভাবস্থার সময় কোনরকমে ঠান্ডা জনিত সমস্যা থাকে তাহলে বেশি করে ঝাল দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খেলে অনেকাংশেই ঠান্ডা লাগার সমস্যাটি কমে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থার মুড়ি খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার অপকারিতা করতে সেরকম কোন ক্ষতি নেই। তবে বর্তমানে আমরা বাজারে যে মুড়ি কিনতে পায় তাতে ইউরিয়া নেশানো থাকে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়াও মুড়িতে অনেক সময় লবণের পরিমাণ বেশি থাকে এই কারণে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুড়ি খাওয়া উচিত নয়। গর্ভবতী মায়েদের বলবো বাজারের মুড়িটা কম খাওয়ার জন্য।