গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনাদের অনুরোধে আমরা নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আজকের আর্টিকেলে আমরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

একজন মা যখন গর্ভবতী হন তখন থেকেই তাকে অনেক সতর্কতার সাথে সামনের দিনগুলো পার করতে হয়। এছাড়াও একজন গর্ভবতী মায়ের রয়েছে অনেক রকমের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেগুলো সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে তিনি একজন সুস্থ ও সুন্দর শিশুর জন্ম দিতে সক্ষম হন।

ঠিক তেমনি আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।

এমন অনেক রকমের কাজ রয়েছে যা আমরা অন্য সময় সে কাজগুলো অনায়াসে করতে পারি তবে একজন মা যখন গর্ভবতী হন তখন সে কাজগুলো আগের মত অনায়াসে আর করে উঠতে পারে না। তাই অবশ্যই সে কাজগুলো সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা উচিত। তাই আমরা আজকে সঠিকভাবে জেনে নেব গর্ভাবস্থায় কোন কোন কাজগুলো করা একেবারে উচিত নয় এবং কোন কোন কাজগুলো করলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না সে সম্পর্কে। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

গর্ভবতী মায়ের সতর্কতা

একজন মায়ের গর্ভাবস্থায় কালীন সময়টিতে প্রথম থেকে তাকে সতর্কতার সাথে পুরো সময়টি পার করতে হয়। একজন মহিলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো তার গর্ভাবস্থার সময়টি। এসময় মাকে সুস্থ থাকার জন্য বিশেষভাবেই সতর্কতা থাকতে হয়। কারণ এ সময়ে যদি মা অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে গর্বের সন্তানও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই এই সময়ে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। গর্ভবতী মহিলাদের ড্রাগ এবং অ্যালকোহল থেকে যেমন দূরে থাকতে বলা হয় ঠিক তেমনি এরকম আরো অনেক বিধি নিষেধ রয়েছে যেগুলো মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় গর্ভবতী মহিলাদেরকে।

তবে যেসব গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ কোন জটিলতা থাকে না তারা তাদের পুরো গর্ভাবস্থার সময়টি অনেক সাধারণভাবে কাটাতে সক্ষম হয়। আর অপরদিকে যেসব গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন রকমের জটিলতা দেখা যায় তাদের এই পুরো ৯ মাস সময়টিতে অনেক সতর্কতার সাথে কাটাতে হয়।

গর্ভবতী মায়েদের খাবার

গর্ভবতী মায়েদের কাঁচা মাছ এবং মাংস একেবারে খাওয়া উচিত নয়। অনেকেই রয়েছেন যারা মাছ-মাংস আধা সিদ্ধ করে খেতে বেশি পছন্দ করেন তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে গর্ভাবস্থার সময়টিতে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। মাছ মাংস একজন গর্ভবতী মা অবশ্যই খেতে পারবেন তবে সেটি ভালোভাবে সেদ্ধ করে রান্না করে খেতে হবে।

এছাড়াও কাঁচা ডিম বাধা সিদ্ধ ডিম থেকেও গর্ভবতী মায়েদের কে দূরে থাকতে হবে। এ সময় মায়েদের ডায়েট চারটে লিন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অনেক রকমের কালার ফুল ফল, শাক-সবজি এবং বেশি পরিমাণে পানি রাখতে হবে।

অনেক সময় আমরা টুকটাক সর্দি-কাশি এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকি গর্ভবতী মায়েদের জন্য এরকম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে এরকম হলে হুটহাট করে কোন রকমের ওষুধ খাওয়া একেবারে এরকম অবস্থায় উচিত নয়।

গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই কোন রকমের ঔষধ খাওয়া একেবারেই নিষেধ। যে কোন রকমের শারীরিক সমস্যার জন্য গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে নিজে কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে করে গর্ভের সন্তানের অনেক বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের এ সময়ে মানসিক এবং শারীরিক স্ট্রেসের মধ্যে থাকা যাবে না অবশ্যই সব সময় মনকে ফ্রেশ রাখতে হবে এবং রিলাক্স রাখতে হবে। একজন গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন যে এ সময়ে মা ঠিক যেমন এবং যেভাবে চলাফেরা করবে যেসব চিন্তা ভাবনা করবে তার গর্ভের সন্তানের প্রতি সেগুলোই প্রভাব পড়বে।

তাই অবশ্যই এ সময়ে অনেক প্রফুল্ল হাসিখুশি থাকতে হবে সবসময়। এছাড়াও বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তার এই সময়টি উপভোগ করতে হবে।