রেডিও থেরাপি কি

ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত। এ ক্যান্সার একটি মরণঘাতী রোগ এবং এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত এমন ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে ক্যান্সারের চিকিৎসায় যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে একটি পদ্ধতির নাম হচ্ছে রেডিওথেরাপি। আজকে আমরা সকলের জানা স্বার্থে সেই রেডিওথেরাপি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করব এবং এই রেডিওথেরাপি কি কিভাবে সেটা কাজ করে সে সম্পর্কে জানব। এগুলো সম্পর্কে যদি আমাদের জ্ঞান থাকে তাহলে খুব সহজেই আমরা রেডিও থেরাপি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবো।

সাধারণত রেডিও থেরাপিকে অনেকেই রেডিয়েশন থেরাপি বলে থাকেন। এটাকে সংক্ষেপে আরও বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে যে নামে ডাকা হোক না কেন রেডিও থেরাপির ধরন প্রায় এক এবং কাজগুলো প্রায় ১। আয় নাইজিং radiation ব্যবহার করে থেরাপি এবং সাধারণ ম্যালিগ্রেন্ট কোষগুলিকে নিয়ন্ত্রণ বা মেরে ফেলার জন্য ক্যান্সার চিকিৎসার অংশ হিসেবে সাধারণত এটা ব্যবহার করা হয়। সাধারণত একটি লিনিয়ার অক্সিলারেটর দ্বারা বিতরণ করা হয় এটা। যার মাধ্যমে বিভিন্ন রেডিয়েশন থেরাপিতে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার নিরাময়মূলক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয় শরীরের বিভিন্ন স্থানে।

রেডিয়েশন থেরাপি কি

আমরা আপনাদের আগেই জানিয়েছি রেডিওথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি একই জিনিস।তবে রেডিও থেরাপির বেশ কয়েকটি ধরন আছে এবং এই রেডিও থেরাপি কিভাবে দিতে হয় সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবার প্রথমে চিহ্নিত করা হয় ম্যালিগমেন্ট কোষগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। এরপরে সেই পোস্টগুলোকে একত্রিত করতে হবে অথবা মেরে ফেলতে হবে এইভাবেই মূলত এই রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয়।

সাধারণত এই টিউমার গুলোকে অপসারণ করার জন্য অষ্টপাচারের পরে টিউমারের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার জন্য সহায়ক থেরাপির অংশ হিসেবে এই রেডিও থেরাপি ব্যবহার করা হয়। রেডিও থেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি থেরাপি যা সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন। আমরা রেডিও থেরাপি সম্পর্কে আরো কিছু জানার চেষ্টা করব আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে।

রেডিও থেরাপি সাধারণত কয় ধরনের

আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি রেডিয়েশন থেরাপির ভিন্ন ভিন্ন প্রকার গুলি অনেকগুলি পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল। রোগের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে এবং তার শরীরের ক্যান্সারের অবস্থান কিরূপ রয়েছে এর উপর ভিত্তি করে মূলত এই রেডিয়েশন থেরাপির ধরন পরিবর্তন করা হয়। ক্যান্সারের ধরন ও শরীরের কোন অংশে আক্রান্ত রয়েছে তার ওপর নির্ভর করেই মূলত এর ধরন নির্বাচন করা হয়।

এই থেরাপে আরো কিছু জিনিসের উপর নির্ভরশীল যেমন মনে করুন টিউমারের বৃদ্ধির হার অথবা সাইজ বা আকৃতির উপর নির্ভর করে মূলত রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়। এছাড়াও যাদের পূর্ববর্তী চিকিৎসার খতিয়ান বা বর্তমান চিকিৎসার বিধায়ক পরিস্থিতি ব্যতিক্রম রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও চিন্তা ভাবনা করে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়। রিলেশন থেরাপি নির্ভর করে রোগীর বয়স এবং টিউমারটি কতটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা টিউমারের বয়স এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর।

এছাড়া আরো যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হয় সেটা হচ্ছে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো আরো ভালো হবে কিনা সেটা ভেবে। সব মিলিয়ে এটা যত বড় একটি কাজ ততটাই গুরুত্বপূর্ণ তাই কোন কিছুকেই অবহেলা করা যাবে না এই অবস্থাতে সব সময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

রেডিয়েশন থেরাপিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

রেডিয়েশন থেরাপির সাধারণত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হতে পারে এবং এটা পরিবর্তন হতে পারে। দেহের বিভিন্ন অংশে রেডিয়েশনের প্রভাবে সংস্পর্শে এসে তার প্রভাব কতখানি বা কি হতে পারে সেটা বলা যাচ্ছে না। সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসা বা শারীরিক বিভিন্ন দুর্বলতা দেখা যায়। তবে ওই অবস্থাতে এই সমস্যাগুলো কোন সমস্যাই না তাই আশা করছি আপনারা এই বিষয় নিয়ে কোন চিন্তা করবেন না।