আমরা অনেক আগে থেকে জেনে আসছি আমাদের রক্তের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদানের নাম হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে যদি এর কোন ধরনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা যায় এবং রক্তশূন্যতা দেখা দিলে আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ হয়ে যাবে। আজকে আমরা হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং আমাদের শরীরে যদি হিমোগ্লোবিন কমে যায় তাহলে সেটা কোন ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে সেটাও জানব।
আমাদের ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন আর্টিকেল আপনাদের স্বাস্থ্য রিলেটেড বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছে তাই আশা করছি আপনারা নিজের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করুন এবং সতর্ক থাকুন। হিমোগ্লোবিন ফশুর সাথে অক্সিজেন দেহের বাকি অংশে নিয়ে যায় এবং কৌশীয় ব্যবহারের জন্য অবগত করে। আমাদের শরীরে অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে আমরা সকলেই অবগত আছি কিন্তু সেই অক্সিজেন সরাসরি আমাদের ফুসফুসে প্রবেশ করে সেখান থেকে কিভাবে আমাদের শরীরে অক্সিজেন পৌঁছাবে।
এই অক্সিজেন শুধুমাত্র যে আমাদের ফুসফুস কে জীবিত রাখতে সাহায্য করে এই নয় এই অক্সিজেন আমাদের প্রত্যেকটি কোষের জন্য প্রয়োজন। এখন আপনি চিন্তা করে দেখুন এই ফুসফুস থেকে সরাসরি কোন কোষে অক্সিজেন পৌঁছানোর কোন ব্যবস্থা নেই কিন্তু সেটা কিভাবে পৌঁছাচ্ছে সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না। সাধারণত এই ফুসফুস থেকে অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের মধ্যে ঢুকে যায় এবং সেই হিমোগ্লোবিন যখন রক্ত দিয়ে শরীরের প্রত্যেকটি শিরা উপশিরায় পৌঁছায় তখন সেটা একেবারেই কোষের কাছাকাছি যেতে পারে। যার ফলে তারা কোষের কাছাকাছি গিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পড়ে সেই অক্সিজেনকে অবমুক্ত করে এবং সেখান থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে কোষগুলো জীবিত থাকে।
সাধারণত হিমোগ্লোবিনের মূল কাজই হচ্ছে এটা এবং হিমোগ্লোবিন শুধুমাত্র যে অক্সিজেন বহন করে এমন না এর পাশাপাশি অন্যান্য গ্যাস বহন করে যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন করে ফুসফুসে নিয়ে যায় এবং প্রতিকার হিমোগ্লোবিন ১.৩৬ হতে ১.৩৭ মিলিটার অক্সিজেন ধারণ করতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন এর অভাবে কি হয়
রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। রোগ গুলোর মধ্যে সাধারণত রক্তস্বল্পতা জনিত রোগ গুলোই বেশি যেমন শারীরিক দুর্বলতা থেকে শুরু করে লো ব্লাড প্রেসার এর মতন সমস্যা দেখা যায়। রক্তে হিমোগ্লোবিন এর অভাবে সবার প্রথমে যেই সমস্যা দেখা যায় সেটা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা এবং এই শারীরিক দুর্বলতা যদি কাটতে না চায় তখন যদি কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসক তাকে রক্ত পরীক্ষা করাতে বলবে। এর মাধ্যমে সে নিশ্চিত হতে পারবে তার হিমোগ্লোবিনের সমস্যা আছে কিনা যদি থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে খুব দ্রুত।
হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
হিমোগ্লোবিন কত হলে সাধারণত রক্ত দিতে হয় এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। হিমোগ্লোবিনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মানব শরীরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি সঠিক পরিমাণে হিমোগ্লোবি ন আমাদের শরীরে না থাকে তাহলে সেটার অর্থ স্বল্পতার কারণ হতে পারে এবং এটা যদি খুব বেশি কমে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
এখানে বিভিন্ন ভাগে এটা ভাগ করা হয়েছে যেমন মনে করুন অষ্টপাচার এর আগে রোগীর রক্তে হিমোগ্লোবিন ৮ গ্রাম থাকলে সাধারণত রক্ত পরিসংচালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘমেয়াদী রক্তস্বল্পতার ক্ষেত্রে ৭ গ্রাম এর নিচে যদি হিমোগ্লোবিন থাকে তাহলে সেটা রক্ত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে যায়।
হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ
হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। শারীরিক দুর্বলতায় হচ্ছে এর অন্যতম কারণ যেখানে অপুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং অন্যান্য রোগের কারণেও এই হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। এছাড়াও যাতে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া বড় ধরনের একটি সমস্যা।