ন্যাপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি ও খাওয়ার সঠিক নিয়ম Naprosyn 500Mg Tablet

ল্যাপোসিন ৫০০ যে ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যাপ্রোক্সেন সোডিয়াম। ন্যাপ্রোক্সেন সোডিয়াম কিভাবে কাজ করে মানব শরীরে? চলুন এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি এবং সেই উত্তরের পরে আমরা জানার চেষ্টা করব এই ঔষধ এর সঠিক কার্যকারিতা। ন্যাপ্রোক্সেন একটি নন স্টরয়েড আন্টি ইনফ্লামেটরি ডার্ক যা প্রদাহ বিরোধী এবং ব্যথা নাশক ও জড় উপমস্কারি গুণাবলী আছে। তাহলে আমরা বুঝতে পেরেছি যে ন্যাপ্রোক্সিন ওষুধটি মূলত প্রদাহ বিরোধী এবং ব্যথা নাশক এবং জল উপসংকারে একটি ঔষধ উপাদান।

এই ঔষধ রেডিয়ান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড বাজারজাতকরণ করছে এবং তারা এই ওষুধের নামকরণ করেছেন ন্যাপ্রোসিন ট্যাবলেট। এখানে প্রতি প্রিজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 15.04 টাকা। শুধু ৫০০ মিলিগ্রাম এর ভেরিয়েন্ট এখানে পাওয়া যাচ্ছে না এর পাশাপাশি পাওয়া যাবে ২৫০ মিলিগ্রাম এর ভেরিয়েন্ট এবং ১২৫ মিলিগ্রাম এর সিরাপ ফর্মেশন।

ন্যাপ্রোসিল 500 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা

ন্যাপ্রোসিল 500 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট আর্থাইটিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এর পাশাপাশি জুভেনাইল আর্থাইটিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকারী। এছাড়াও বারসাইটিস ও গেটে বাতের লক্ষণগুলো নিরাময়ের ব্যবহার করা হয়। গেটে বাত আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি জিনিস এবং এই গেটে বাতের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ল্যাপটপ সিম ৫০০ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তার প্রেসক্রাইব করতে পারেন।

নেপ্রসিল ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম

প্রত্যেকটি ঔষধ এর সঠিক নিয়ম রয়েছে এবং ডাক্তারেরা সে বিষয়টি রোগীকে ভালোভাবে বোঝায়। মূলত একজন রোগী যখন অসুস্থ হয় এবং সে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তাকে অবশ্যই কোন না কোন ঔষধ দেবে এবং ডাক্তার যে রোগের লক্ষণ গুলো তার শরীরে পাবে সেই অনুযায়ী তাকে ঔষধ দিবে। এটাকে খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবে কোন ওষুধ কখন খেতে হবে এবং কতটুকু খেতে হবে। এই নিয়মগুলো যখন আমরা না মেনে চলি তখনই কেবলমাত্র আমরা সুস্থ হতে পারি না তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং ডাক্তারের কথামতো ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করব।

এর পাশাপাশি অনেকের ক্ষেত্রে দৈনিক স্বাভাবিক মাত্রা ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে এক হাজার মিলিগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এখানে এই পরিমাণ ঔষধ একবারেও রোগী খেতে পারে অথবা বিভক্ত মাত্রায় অর্থাৎ দুই বারেও খেতে পারে। এটা সাধারণত নির্ভর করবে সেই রোগের শরীরের অবস্থা এবং সুস্থতার ওপর এবং যেটা ডাক্তার সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা ৫০০ মিলিগ্রাম এবং পরবর্তী মাত্রা ৫০০ মিলিগ্রাম করে 12 ঘন্টা পর পর । ২৫০ মিলিগ্রাম করে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করা যাবে।

এর পাশাপাশি মোট পারম্ভিক মাত্রা দৈনিক 1250 মিলিগ্রাম এর বেশি এবং পরবর্তী মার্কা দৈনিক এক হাজার মিলিগ্রাম এর বেশি হওয়া উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই ওষুধ সেবন করতে হবে এবং যাদের গেটে বাদ আছে তাদের অনুমোদিত প্রারম্ভিক মাত্রা ৭৫০ মিলিগ্রাম এবং পরবর্তী মাত্রা ২৫০ মিলিগ্রাম করে আট ঘণ্টা পরপর যতদিন ব্যথা না কমে ততদিন ব্যবহার করার অনুমতি আছে।

নাপ্রসি 500 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এই ওষুধের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন পরিপাকতন্ত্র ও বুক জ্বলা পেটব্যথা বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া ও বদহজম হতে পারে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। এর পাশাপাশি স্নায়ু সম্বন্ধীয় মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরা বাজিমনি ভাব দেখা দিতে পারে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিকার কারণে।

এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণে যেকোনো রোগীর শরীরে চুলকানি জাতীয় জিনিস উঠতে পারে বা এলার্জিক রিএকশন হতে পারে তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়াও শরীরে পানি আসা থেকে শুরু করে বুক ধরফর করা অত্যন্ত কমন একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তি আস্তে আস্তে কমে যায় তাই সতর্ক থাকতে হবে।