বুকে কফ জমলে কি ঔষধ

সাধারণত সর্দি কাশি লাগার কারণে বুকে কফ জমতে পারে তবে স্বাভাবিকভাবে সেই কফ সর্দি কাশির সঙ্গে আবার বেরিয়ে আসে। কিন্তু কিছু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে যদি সেই কফ বুকের বাইরে বেরিয়ে আসতে না চায় এবং এর জন্য অনেক ধরনের সমস্যাটি তৈরি হয় তাহলে তার সমাধান কি হতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে এর সমাধান গুলো সহজ কিন্তু যদি শিশু বাচ্চা হয় সে ক্ষেত্রে সমাধান করতে পারাটা অত্যন্ত জরুরী। সাধারণত বুকে কফ জমে থাকলে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যেহেতু ছোট বাচ্চারা কম বোঝে অনেকের ক্ষেত্রে কথা বলতে পারে না সেই ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরো প্রকোপ আকার ধারণ করতে পারে।

শিশু বাচ্চা হোক বা বড় মানুষের বুকে কফ জমলে সবার আগে আপনাকে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসাকের কাছে গেলে আপনি সঠিক সমাধান খুঁজে পাবেন তারা আপনাকে বলতে পারবে কিভাবে আপনি এর সমাধান করতে পারেন এবং কোন ওষুধের মাধ্যমে আপনি করতে পারেন। আমরা আপনাদের একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব যেখান থেকে বুকে কফ জমলে কোন ঔষধ আপনি খাবেন সেটা আপনি বুঝতে পারবেন যাতে করে কোন ধরনের সমস্যায় পরবর্তীতে আপনাকে পড়তে না হয়।

বুকে কফ বের করার ঔষধের নাম

বুকে কফ জমেছে কিন্তু সঠিকভাবে সেটা বের হচ্ছে না তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে যে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে তার একটি তালিকা আমাদের কাছে আছে। এক্ষেত্রে সাধারণত সিরাপ গুলো ব্যবহার করা হয় যেই সিরাপ গুলোতে সাধারণত কিছু উপাদান আছে যেগুলো আপনার বুকের কফ কে বের করতে সাহায্য করবে সেই সিরাপ গুলো খেতে বলা হয়। তবে এটাতে যদি কোন কাজ না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এন্টিবায়োটিক।এই অ্যান্টিবায়োটিক মূলত আপনাকে এই বুকের কফ থেকে চিরতরে মুক্তি দেবে।

তবে এন্টিবায়োটিক থেকেও একটি ভালো ঔষধ যেটাকে আমরা ব্যবহার করতে পারি সেটা হচ্ছে মন্টিলুকাস্ট। মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট। প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট আপনি পুরো একমাস খেতে পারেন দেখবেন আপনার বুকের কল গুলো একেবারেই বেরিয়ে এসেছে। অ্যান্টিবায়োটিক এর মধ্যে যেকোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক আপনি ব্যবহার করতে পারেন তার মধ্যে মক্সিফ্লক্সাসিন থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে আপনি এই বুকের গর থেকে রেহাই পেতে পারেন।

বুকের কাফের জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় এজিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক যার থেকে আপনাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করবে। এই তিনটি ওষুধের ব্যবহারের মাধ্যমে আমি নিজেও অনেক বার উপকৃত হয়েছি তাই অনুরোধ থাকবে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ঔষধ খাওয়ার। চিকিৎসকের ভালো পরামর্শ অনুযায়ী এই তিনটি ওষুধের যে কোন একটি ওষুধের মাধ্যমে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেন বুকের কফ থেকে। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই এন্টিবায়োটিক গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন শিশু ডাক্তারের পরামর্শ এবং শিশুর ওজন ও বয়সের ভিত্তিতে কতটুকু ওষুধ খেতে হবে সেটা জেনে নেওয়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

বুকে কফ বের করার ঘরোয়া উপায়

প্রাচীনকাল থেকেই বাড়িতে চিকিৎসা ব্যবস্থা চলে এসেছে এবং বাড়িতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে মানুষ সুস্থ হতে পেরেছে। বুকে স্বাভাবিক কব জামাটা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার সেটা বাড়িতে বিভিন্ন চিকিৎসা অবলম্বন করে বা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি দূর করতে পারেন চলুন জানার চেষ্টা করি এই পদ্ধতি গুলো।

তুলসী পাতার রস খেতে পারেন নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে এমনিতেই আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে এর পাশাপাশি আপনার ফুসফুসে যদি কোন কফ জমা থাকে তাহলে সেটাও বের হয়ে যাবে।

তুলসী পাতার সঙ্গে আপনি মধু বেশ করে খেতে পারেন এতে করেও আপনার বুকে জমে থাকা কফ এবং গলাতে থাকা কাশিগুলো একেবারে পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যাবে খুব সহজেই। এছাড়াও মধুর সঙ্গে আদা খাওয়াটা অনেক ভালো একটি অভ্যাস যা আপনার বুকে জমে থাকা কফগুলোকে দূর করতে অনেক উপকার করবে।