সাধারণত রক্তে সুগার লেভেল যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে যেই রোগ হয়ে থাকে তার নাম হচ্ছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস পরিমাপ করার জন্য অবশ্যই বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে এবং বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সাধারণত এই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। আজকে আমরা ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের আগে জানাবো তার কারণ হচ্ছে আপনি কোন পদ্ধতিতে এটা পরীক্ষা করছেন সেটা জানাটা অত্যন্ত জরুরী। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে আমরা যদি সঠিক পদ্ধতি গুলো অবলম্বন না করে তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য ভয়ংকর হতে পারে।
সাধারণত পাঁচটি নিয়ম আছে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য এখন আপনি যদি প্রথম পর্যায়ে থাকেন অর্থাৎ আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা সেটা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এক ধরনের পরীক্ষা করতে হবে। তবে কেউ যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে তার পরীক্ষার ধরন হবে আলাদা। কখনোই যার ডায়াবেটিস হয়নি এবং যার ডায়াবেটিস চলমান রয়েছে এই দুইটি রোগীর পরীক্ষার ধরন এক হবেনা এবং এর মাধ্যমে সঠিক তথ্য নির্বাচন করা যাবে না।
খাবার পর কত হলে ডায়াবেটিস যার
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের পরিমাণ কত হলে তারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারে বিশেষ করে খাওয়ার পরে। সাধারণত খাবার দুই ঘন্টা পরে একটি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয় এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায় যে তার ডায়াবেটিস কত হয়েছে। খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে আপনি যদি এই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন এবং আপনার রেজাল্টের যদি স্বাভাবিক মাত্রা থাকে তাহলে সেটা সত্যিই ভালো। সাধারণত খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে আপনার সুগারের মাথা যদি ১৪০ এর আশেপাশে থাকে এবং আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এখানে আপনার মাত্রা স্বাভাবিক আছে। এ অবস্থাতে আপনি সুস্থ আছেন এবং আপনি এই জিনিস গুলোই মেনটেইন করতে পারেন সুস্থ থাকার জন্য এটাতে কোন প্যারা নেই।
নরমাল ব্লাড সুগার লেভেল
নরমাল ব্লাড সুগার লেভেল এটা সাধারণত যাদের ডায়াবেটিস হয়নি তাদের ক্ষেত্রে চিন্তা করা উচিত। তার কারণ হচ্ছে সাধারণত যাদের ডায়াবেটিস হয়নি তাদের ক্ষেত্রে এটা নরমাল কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কখনো এটা নরমালে থাকে না। সাধারণত ডায়াবেটিসে নির্ণয় করার জন্য এই টেস্ট ব্যবহার করা হয় এবং এই টেস্টের নাম হচ্ছে এইচ বি এই1সি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজেই ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়।
উল্লেখ করা হয়েছে যে এই পরীক্ষার মান সাধারণত গড় মাকে নির্দেশ করে অর্থাৎ গত ছয় মাসে সেই রোগীর শরীরে ব্লাড সুগারের লেভেল কত ছিল সেটা নির্দেশ করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ব্লাড সুগারের মাছটা যদি পাঁচ দশমিক পাঁচ পয়েন্ট থেকে ৬.১ এর মধ্যে থাকে তাহলে সেটা ডায়াবেটিসের রোগী। তবে যদি এর মান ৫.৫ পয়েন্টের নিচে থাকে তাহলে সেটাকে ডায়াবেটিস করা হয় না এই ধরনের রোগীরা একেবারেই নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। তাই এই অবস্থাতে কখনই রোগীকে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয় এবং সহজেই এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা উচিত।
ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
ভরা পেটে ডায়াবেটিসের পরিমাণ যদি 7.8 এর বেশি হয় তাহলে সেটা নরমাল। তবে এই মান যদি ৯.৮ অতিক্রম করে তাহলে সেটা স্বাভাবিক নয়। যাদের সাধারণত ডায়াবেটিস আছে তারা এই বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করবেন তার কারণ হচ্ছে এই বিষয়গুলো খেয়াল করে না চলতে পারলে যে কোন সে যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ কতটা সাংঘাতিক রোগ সেটা বলার প্রয়োজন নেই আমরা সকলেই এই রোগের ভয়াবহতা দেখেছি। তাই নিজেকে সবসময় ডায়াবেটিস রোগ থেকে প্রতিরোধ করব এবং নিজের পরিবারকেও এই বিষয়ে পরামর্শ দেব। সচেতন এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে ডায়াবেটিস রোগ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়।