শিশুর প্রস্রাব কম হলে করণীয়

শিশুদের শারীরিক সুস্থতা অনেক কিছুই নির্ভর করে প্রস্তাবের উপর। কোন সময় যদি লক্ষ্য করা যায় শিশুর প্রস্রাব হতে সমস্যা হচ্ছে বা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে অভিভাবক কি করবেন সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। শিশুদের ক্ষেত্রে তারা বেশিরভাগ সময় মায়ের বুকের দুধ খায় এবং এছাড়াও তারা খাওয়া শেখার পর বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের প্রস্রাব স্বাভাবিক হতে পারে।

কেউ যদি লক্ষ্য করেন মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার সময়ও শিশু প্রস্রাবের সমস্যা হচ্ছে তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত এখানে সাধারণ কারণেই প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে তবে যদি এটার কারণ বড় কোন সমস্যা হয় তার জন্য মূলত আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার উপদেশ আমরা দিচ্ছি। একটি স্বাভাবিক গবেষণায় দেখা গেছে যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া সন্তানেরা দিনে যদি অন্তত সাতবার প্রস্রাব করে তাহলে সেটা একেবারে স্বাভাবিক।

শিশুদের প্রস্রাব কম হওয়ার কারণ

শিশুর প্রস্রাব কম হওয়ার কারণের পেছনে আমরা বলতে পারি তরল জাতীয় খাবার এবং পানি জাতীয় খাবার কম খাওয়া। এগুলো একেবারেই স্বাভাবিক কারণ অর্থাৎ একজন শিশু তার মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি যদি তরল জাতীয় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খায় তাহলে অবশ্যই তার প্রস্রাব হওয়াটা একেবারে স্বাভাবিক। এর কারণে মূলত যে সন্তানেরা মায়ের বুকের দুধ খায় তারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে। কিন্তু যে সকল শিশুরা এখন আর মায়ের বুকের দুধ খায় না তারা বাড়তি খাবার খাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে পানি কম খাবার কারণে সাধারণত এরকম হয়ে থাকে।

এমনিতেই শিশুরা অনেক চঞ্চল হয়ে থাকে তাই তারা সবসময় খেলাধুলা এবং দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত থাকে। বাকি বয়সে এসে ঠিকঠাক ভাবে পানিও খায় না যার কারণে তারা গরমের মধ্যে বেশি দৌড়াদৌড়ি করলে প্রস্রাব কমে আসা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বাবা-মাকে এই জিনিসগুলো অবশ্যই ফলো করতে হবে নিয়মিতভাবে যদি এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে তাহলে অবশ্যই বড় পরিসরে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।

ছয় মাসের শিশুর প্রস্রাব না হলে করণীয়

ছয় মাসের শিশুর প্রস্তাব না হলে চেষ্টা করতে হবে তাকে পানি খাওয়াতে। চেষ্টা করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে তারপরেও যদি তার প্রস্তাব না হয় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণ কোনো কারনে হঠাৎ করে ছয় মাসের শিশুর প্রস্রাব আটকানোর ঘটনা তাই এই ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করায় উচিত বলে আমি মনে করি।

আট মাসের শিশুর প্রস্রাব না হলে করণীয়

৮ মাসের শিশুর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে হঠাৎ করে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা যদি হয় তাহলে সেটা বড় ধরনের সমস্যা। এমনিতে আপনি যে জিনিসটা লক্ষ্য করতে পারেন সেটা হচ্ছে আগে যেমন প্রস্রাব করত তার থেকে প্রস্রাব এখন কম করে। এটা সাধারণত হয়ে থাকে আট মাস বয়সের সন্তানেরা বাড়তি খাবার খাওয়া শুরু করে এ সময় একেবারেই শুরুর দিকে তাই তাদের অনেক কিছুই অনিয়মের মধ্যে থাকে।

এই অবস্থাতে যখন আস্তে আস্তে তারা নিয়মের মধ্যে চলে আসবে তখন এমনিতে এই প্রস্তাব স্বাভাবিক হতে পারে। তবে আপনি সচেতন নাগরিক হিসেবে অবশ্যই নিজের সন্তানকে একজন ভালো মনের চিকিৎসকের কাছে দেখে আনতে পারেন যদি কোন জটিলতা থাকে তাহলে চিকিৎসক দেখলেই বুঝতে পারবেন। শিশুদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কম্প্রোমাইজ করার প্রয়োজন নেই তার কারণ হচ্ছে এমনিতেই শিশুরা অনেক ছোট এবং কোমল থাকে তাই তাদের যদি গোপনে কোন রোগ থেকে থাকে সেটার চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি।