ডমপেরিডন ট্যাবলেট কেন খায় Domperidone

আজকে আমরা আলোচনা করব আপনাদের কাছে অতি পরিচিত ডমপেরিডন ট্যাবলেট নিয়ে। সাধারণত আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অসুখ বাসা বাঁধে এবং সেই অসুখ থেকে বাঁচার জন্য আমরা ওষুধ সেবন করি। তবে আমরা যে ওষুধগুলো সেবন করি সেই ওষুধগুলো আমাদের শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী এবং কোন ঔষধ কি কাজে লাগে সে বিষয়টি আমাদের জানা উচিত। আমরা যখন সেই বিষয়গুলো না জেনেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করি হতে পারে সেখানে ভুল চিকিৎসা আমাদের আরো বেশি ক্ষতি করতে পারে।

আমাদের আজকের এখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন ডমপেরিডন ট্যাবলেট এর মূল কাজ কি এবং ডমপেরিডন ট্যাবলেট একজন মানুষকে ডাক্তার কেন খেতে বলবে। অবশ্যই প্রত্যেকটি ওষুধের রয়েছে সঠিক পরিমাপ এবং আজকের এই ওষুধটি সঠিক কি পরিমাণে আপনি খেতে পারেন সে সম্পর্কেও আমরা আপনাদের জানাবো। পরিশেষে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং এই ওষুধের বর্তমান বাজার মূল্য নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।

ডমপেরিডন ট্যাবলেট সেবন মাত্রা

এখানে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগ প্রযোজ্য তবে বিভিন্ন অসুখের জন্য এই ওষুধ এর সেবন মাত্রা পরিবর্তন হতে পারে। যাদের তীব্র বমি বমি ভাব রয়েছে এবং বিভিন্ন বমি প্রতিরোধে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২০ মিলিগ্রাম করে প্রতি 6 ঘন্টা থেকে আট ঘন্টা পর পর আহারের পূর্বে খাওয়া যেতে পারে। একই সমস্যার বিরুদ্ধে শিশুদের ক্ষেত্রে ০.৪ থেকে ০.৮ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি ওপর নির্ভর করে এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত মুখে খাবার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ওপরে উল্লেখিত একই পরিমাপে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

ডমপেরিডন ট্যাবলেট খাওয়ার কারণ কি

মূলত যাদের পেটের উপরের ভাগে ফোলা ফোলা ভাব অনুভব হয় অর্থাৎ খাবার পরে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না এবং পেট ফুলে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে। পেটে ভারে ভারী ভাব এই ধরনের সমস্যার কারণে এই ঔষধ একজন ডাক্তার আপনাকে প্রেসক্রাইব করতে পারে। যাদের অতিরিক্ত ঢেঁকুর ওঠে তাদের ক্ষেত্রে এবং অল্প খাদ্যে তুষ্টি অর্থাৎ আপনার ক্ষুধা অনেক পেয়েছে কিন্তু আপনি খেতে বসছেন কিন্তু বেশি খেতে পারলেন না আপনার পেট পুড়ে গেল তাহলে এই ধরনের সমস্যার কারণে ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

এর পাশাপাশি অনেকের পাকস্থলী হতে খাদ্য উপরে উঠে আসা সহ বুক জ্বালাপোড়া অথবা শুধু বুক জ্বলার কারণে এই ঔষধ দিতে পারে একজন ডাক্তার। অনেকের ক্ষেত্রে আলসার প্রতিরোধেও এই ঔষধ দেওয়া হয় তাই আপনাকে প্রত্যেকটি ওষুধ সেবনের পূর্বে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আপনার কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেই সমস্যা নির্বাচন করার দায়িত্ব ডাক্তারের তারপরে আপনি এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

ডমপেরিডন ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

প্রত্যেকটি ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে সেটা বারবার বলার কিছু নেই। তাইতো আমরা আপনাদের একটা বিষয় ভালোভাবে বোঝাতে চাই ওষুধের উপর নির্ভরশীল হওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আপনি ঔষধ ছাড়া নিজেকে যতটা সুরক্ষিত রাখতে পারবেন আপনার শরীর ততটাই ভালো থাকবে। আজকের এই ওষুধটি যদি আপনি অতিরিক্ত হারেন তাহলে অবশ্যই সমস্যা হতেই পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এই ওষুধ খাওয়ার ফলে দুগ্ধ নিঃসরণ এবং স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে এবং ক্ষতভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া মুখে অতিরিক্ত শুষ্কতা এবং পিপাসা এছাড়াও এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে নার্ভাসনেস ভাব ঝিমুনি আসা এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও পাতলা পায়খানা থেকে শুরু করে তাকে লালচে লালচে ভাব এবং চুলকানি যেটাকে আমরা সহজ ভাষাতে বলতে গেলে এলার্জিক রিএকশন হতে পারে এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। তাই সবসময় সতর্কতার সাথে ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং যেন তারা ওষুধ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।