অনেকের মনে একটি ওষুধ নিয়ে অনেক কৌতূহলের সৃষ্টি হতে পারে। বর্ধমান যুগে এই কৌতূহল সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং আমার কাছে মনে হয় এটা সতর্কতার একটি ভালো লক্ষণ। সকলে অবশ্যই বলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে ওষুধ খাবেন না কিন্তু কেউ বলে না ডাক্তার আপনাকে যে ঔষধ দিচ্ছে সেটা কেন দিচ্ছে সেটা কি আপনি জানেন। অথবা এরকমও হতে পারে যে ডাক্তার যে ওষুধ আপনাকে দিচ্ছে সেটা ঠিক ওষুধ দিচ্ছে কিনা সেটা দেখে না দায়িত্ব আপনার নিজের।
তাই আমরা আপনাদের সব সময় জানাতে চাই যে আপনারা কোনভাবেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কাউকে কোন চিকিৎসা সেবা দেখানোর জন্য যাবেন না এবং এর পাশাপাশি একটি ডাক্তারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে একের অধিক ডাক্তার দেখান এতে করে আপনি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে পারবেন এবং ভুল চিকিৎসা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকে আমরা এলজিন ট্যাবলেট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং এই এলজিন ট্যাবলেট একজন রোগীকে কেন দেওয়া হয় এবং এলজিন ট্যাবলেট খাওয়ার মাত্রা বিধি সম্পর্কে জানুন।
এলজিন ট্যাবলেট খাওয়ার মাত্রা বিধি
আমরা সকলে অবগত আছি যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আমাদের শরীরে সৃষ্টি হলে আমরা সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ হওয়ার চেষ্টা করি এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন ঔষধ খায়। যদি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে ডাক্তার এর কাছে যাওয়া পারোতো পক্ষে সেই মুহূর্তের সম্ভাব না হয় তাহলে আমরা আপনাদের সাহায্য করতে পারি কি পরিমান ঔষধ আপনি খেতে পারেন। আজকের এই ওষুধটি অর্থাৎ এলজিন ৫০ মিলিগ্রাম এর মাত্রা ও সেবনবৃদ্ধি সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সাধারণত দৈনিক মাত্রা 2-6 ট্যাবলেট অথবা 3 থেকে ন3 চা চামচ সিরাপ বিভক্ত মাত্রায়। মূলত এটা নির্ধারণ করে দিতে পারে আপনি যে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন তিনি তার কারণ হচ্ছে তিনি আপনার সঙ্গে কথা বলে আপনার শরীরের অবস্থা পরিমাপ করতে পারবে এবং আপনার শরীরের ওজন দেখে ওষুধের মাচাও সেবন বিধি নির্ধারণ করে দিতে পারবে। এর পাশাপাশি শিশুদের ক্ষেত্রেও এই ঔষধ প্রয়োগ প্রযোজ্য এবং দৈনিক 3 মিলিমিটার প্রতি কেজিতে অথবা 6 মিলিগ্রাম প্রতি কেজিতে দেওয়া যেতে পারে শিশুর দৈহিক ওজনের উপর নির্ভর করে। তবে অবশ্যই এটা বিভক্ত মাথায় দিতে হবে।
এলজিন ট্যাবলেট কোন অসুখের ট্যাবলেট
সাধারণত আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধে এবং সেই ওষুধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি এবং সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন মূত্রাশয় ও জরের পেশি সংকোচন কমাতে এই এলজিন আপনাকে সাহায্য করবে। এ পাশাপাশি পরিপাকনালি ও পিত্ততন্ত্রের অকার্যকারিতা সংক্রান্ত ব্যথার লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই এলজিন। অনেকের মনে ধারণা আছে এলজিন সরাসরি একটি ব্যথার ওষুধ তবে এই ব্যথার ওষুধ যে আপনার পুরো শরীরে কাজ করবে এমনটি নয় এর আছে আলাদা কিছু ভাগ। যেমন মূত্রনালী ও স্ত্রী জননাঙ্গ সংক্রান্ত রোগের সংকোচন ও ব্যথার চিকিৎসায় নির্দেশিত এই এলজিন ট্যাবলেট।
এলজিন ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণত এই ওষুধের পার্শক্তি আত্মিক ক্রিয়া খুব কম থাকলেও মাঝেমধ্যে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মূলত অতিমাত্রায় এলজিন ট্যাবলেট খেলে অবশ্যই সেটা আপনার শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ডাইমোনিয়াম মিথয়াইলসালফেট নামক এই ঔষধটি আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়ার চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
কারো কারো ক্ষেত্রে হাইপারটেনশনের সৃষ্টি হতে পারে এই ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগে এবং অনেকের ক্ষেত্রে টেকিকার্ডিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে যে কোন ওষুধ সেবন করার চেষ্টা করুন এবং অতিরিক্ত মাত্রা সেবন থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। সব সময় সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন।