আমাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের উপাদান দ্বারা গঠিত। প্রত্যেকটি উপাদান একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আমাদের শরীরে থাকলে আমরা সবসময় সুস্থ থাকবো। কিন্তু সেই উপাদান গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি যদি একটু কম বেশি হয় তাহলেই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এই অসুস্থতা যখন অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখনই আমরা এ জিনিসটা বুঝতে পারি এবং তখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে সুস্থতার জন্য চেষ্টা করি।
সবার প্রথমে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার নিকট আপনার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। এরপরে আপনাকে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবনের চেষ্টা করতে হবে। অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সুস্থ করে দেবে। আজকে আমরা যে ওষুধটি নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে জিংক সিরাপ। অবশ্যই জিঙ্ক আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে হবে সেটার ঘাটতির কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যায় আমরা পড়তে পারি।
জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত সিরাপ গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। তাদের বয়স মূলত 10 বছরের নিচে অথবা ৫ বছরের নিচে এই ধরনের বাচ্চাদের জন্য মাঝেমধ্যে শরীরে জিংক এর ঘাটতি পূরণের জন্য জিংক সিরাপ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে যেকোনো ধরনের ওষুধ নিজে থেকে খাবার কোন অপশন নেই তাই সব সময় ওষুধ সম্পর্কে জেনে বুঝে আপনাকে ওষুধ খেতে হবে বা অন্যকে খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে হবে।
১০ কেজি ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে ৫ মিলি করে দৈনিক দুই চামচ জিংক সিরাপ খাওয়ানো হয়। এরপরে যাদের ওজন ১০ কেজি থেকে ৩০ কেজির মধ্যে তাদের কেটে ১০ মিলি করে দৈনিক ২ থেকে ৩ বার এই সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে। যে সকল শিশুদের ওজন ৩০ কেজির ওপরে তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ২০ মিলি করে চার চামচ করে ৩বার খাওয়ানো হয়। মূলত আহারের এক ঘণ্টা অথবা দুই ঘন্টা পূর্বে এই ওষুধ খেতে বলেন প্রত্যেকটি ডাক্তার। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে এই ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই।
জিংক সিরাপ কেন খেতে বলা হয়
সাধারণত জিংক এর উপকারিতা রয়েছে আমাদের শরীরে অনেক। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা থাকার কারণে এই জিংকের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ি। যাদের ক্ষুধা মন্দা থাকে এবং তীব্র বৃদ্ধির হ্রাস পায় এবং বিকৃত হার তৈরি হয় তাদের ক্ষেত্রে জিংক সিরাপ অত্যন্ত কার্যকরী একটি জিনিস।
এছাড়াও যে সকল রোগীর ক্ষেত্রে শ্বাসনালীর বিভিন্ন সংক্রমণ হয়ে থাকে এবং তাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে এবং যাদের রাতকানার মত রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জিংক সিরাপ অপরিহার্য একটি ঔষধ। যারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক অশান্তি বা অবসানে ভুগেন তাদের জন্য জিংক সিরাপ অত্যন্ত ভালো একটি ওষুধ। তবে এর জন্য অবশ্যই একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে জিন সিরাপ খেতে হবে এতে করে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনি এই ওষুধের উপকারিতা পেতে পারেন।
জিংক সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মূলত জিংক সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যাপক রয়েছে এবং এটার অতিরিক্ত সেবনের ফলে এটা হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে এবং অতিরিক্ত ডায়রিয়া হতে পারে। অনেক সময় এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার পেটে ব্যথা দিতে পারে। তাই কোনভাবে একজন ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া এই সিরাপ আপনি খাবেন না এবং অন্যকে খেতেও দেবেন না।
জিংক সিরাপ এর দাম
মূলত বর্তমানে প্রত্যেকটি ওষুধের দাম আরো একবার বৃদ্ধি পেয়েছে তাই অনেকেই ওষুধের দাম সম্পর্কে জানতে চান। জিং সিরাপের বেশ কয়েকটি ধাপ বা ভাগ রয়েছে এবং সে ভাগের উপর নির্ভর করে এর মূল্য ওঠানামা করে। বাজারে মূলত ভিটামিন বি সিরাপ রয়েছে সেটার মূল্য বর্তমানে ৮০ টাকা। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির সিরাপ ভেদে এর মূল্য ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।