ট্রিপিটিন কেন খায় , ট্রিপটিন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম tripitin 10 mg tablets

সাধারণত আমরা যদি মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে আদিম কালে মানুষরা গাছ থেকে তাদের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করত। বর্তমান যুগে এসেও মানুষেরা প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করে এবং সেই উপাদান গুলো একত্রিত করে ওষুধ তৈরি করার চেষ্টা করে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছে। তাইতো এখন পর্যন্ত আমরা বড় বড় বহু রোগের ঔষধ আবিষ্কার করতে পেরেছি।

তবে এই সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার দান তাই সবসময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করুন কোনোভাবেই সুস্থতার জন্য অন্য কারো কাছে কিছু চাইবেন না। সুস্থতার জন্য সবসময় আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করবেন এবং আল্লাহ তাআলার দেখানোর পথ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। আজকে আমরা কথা বলবো ট্রিপটিন ট্যাবলেট সম্পর্কে এবং ট্রিপটিন ট্যাবলেট যারা নিয়মিত খাচ্ছেন তারা কি ভুল করছেন না ঠিক করছেন সে সম্পর্কে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোন ধরনের ঔষধ খাওয়ার ঠিক নয় তাই এখানে আমরা জোরপূর্বক আপনাদের একটি অনুরোধ করবো কোন ভাবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না।

ট্রিপটিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম , ট্রিপটিন ট্যাবলেট কেন খায়

আমরা যেহেতু সরাসরি আপনাদের সঠিক তথ্য এবং ১০০% সঠিক তথ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি তাই চেষ্টা করব সরাসরি অফিশিয়াল তথ্যগুলো আপনাদের দিতে। বিষন্নতা জনিত কারণে প্রাথমিক অবস্থায় একজন ব্যক্তিকে যিনি কিনা প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ যার বয়স ৩০ থেকে ৭৫ এর মধ্যে তাদের জন্য ৭৫ মিলিগ্রাম প্রতিদিন আলাদা আলাদা ভাবে খেতে বলা হয়। যদি কাউকে একই সঙ্গে ৭৫ মিলিগ্রাম খেতে বলা হয় তাহলে অবশ্যই তিনি যেন ঘুমানোর আগ মুহূর্তে এই ওষুধটি খেয়ে ঘুমাতে যান। এই ওষুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয় যদি অল্প পরিমাণে ওষুধটি কার্যকরী না হয়ে ওঠে তাহলে ১৫০ মিলিগ্রাম থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটা করতে হবে। বিষন্নতা জনিত কারণে কোনভাবেই ১৬ বছরের নিচে শিশুদের এই ওষুধটি প্রয়োগ করা যাবে না।

হ্যাঁ অবশ্যই শিশুদের ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগ করা যাবে তবে সেটা অন্য ধরনের রোগের জন্য যেমন রাত্রিতে বিছানায় মূত্রত্যাগের যে সমস্যা আছে সেটার জন্য। এখানে উল্লেখিত যে ৭ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য 10 থেকে 20 মিলিগ্রাম প্রতিদিন এবং ১১ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের জন্য ২৫ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট রাতে সেবন করতে বলা হয় তাও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং পরবর্তীতে এই পরিমাণ আস্তে আস্তে কমানো হয়।।

মাইগ্রেন প্রতিরোধে সবসময় এই ওষুধটি অনেক কার্যকরী এবং মাইগ্রেন প্রতিরোধে আপনি চাইলে ১০০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন। দুশ্চিন্তা করতে করতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে আপনি দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন না। এবং তার কারণে আপনার মাথায় অতিরিক্ত ব্যথা হয় এর জন্য আপনি প্রতিদিন 10 থেকে 25 মিলিগ্রাম এই ঔষধ দিনে তিনবার খেতে পারেন।

ট্রিপটিন ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

মূলত এই ওষুধটি হচ্ছে এ্যমিটিপটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড উপাদান তারা তৈরি এবং এই ঔষধের রয়েছে যথেষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যারা এই ওষুধকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন তাদেরকে বলব একটু সতর্ক হতে তার কারণ হলো অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে অনেক সমস্যা হবে। মূত্রনালীর প্রসারণ এবং ইউরিনারি রিটেনশন জনিত এই ধরনের জটিল সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত সে বলে। হঠাৎ করে অত্যাধিক জ্বর এবং ঝাপসা দৃষ্টি এবং শুষ্ক গলা অনুভূত হতে পারে ওর সুদের পার্শপ্রতিক্রিয়ার জন্য।

নিম্ন রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপ যে কোন একটি হতে পারে এবং হৃদপিণ্ড দ্রুত কার্যকর হওয়া এবং বুক ধরফর করা এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একটি বড় লক্ষণ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এলার্জিক রিএকশনও হতে পারে তবে অ্যালার্জিক রিএকশনটি প্রত্যেকটি ঔষধের ক্ষেত্রেই কমন তাই এখানে আপনাকে যাচাই-বাছাই করতে হবে কোন ঔষধের জন্য এই কাজটি আপনার হচ্ছে।