একজন মেয়ে প্রথম যখন মা হন তখন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো খুব সহজেই তারা বুঝতে পারেন না। আবার কিছু কিছু মায়ের ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ প্রথমের দিকে থাকে না বলে তারা শিওর হতে পারে না যে তারা গর্ভবতী কিনা। তবে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম লক্ষণ হল নিয়মিত পিরিয়ড যাদের হয়ে থাকে তাদের পিরিয়ড মিস হওয়া। যাদের প্রতিমাসে নিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে তাদের যদি হঠাৎ করে কোন মাসে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটি একটি গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষণ।
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায় সে সম্পর্কে। আসলে বিয়ের পর নারীদের সাধারণত অনেক শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে এছাড়াও নতুন অবস্থায় অনেক কিছু বুঝে উঠতেই পারে না কোন কোন মেয়েরা ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।
ঠিক সেই জন্যই নিরাপত্তার স্বার্থে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত সতর্কতার সাথে থাকা উচিত একজন গর্ভবতী মায়ের এতে করে গর্ভবতী মা এবং শিশু দুজনের জন্যই মঙ্গলজনক। চলুন তবে আমরা জেনে নেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর সাধারণত বোঝা যায় সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য।
প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ
আপনি যদি নিশ্চিত হতে চান যে আপনি গর্ভবতী কিনা তাহলে পিরিয়ড মিস হওয়ার ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে একটি প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ্ট নিয়ে বাড়িতে বসে নিজে নিজেই ইউরিন টেস্ট এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা। এই প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ আপনি যেকোনো ওষুধের দোকানে বা ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। আর এই স্ট্রিট দিয়ে আপনি কিভাবে টেস্ট করবেন সেটি ওই স্ত্রীদের মধ্যেই লিখা রয়ে থাকে।
মাথা ঘোরা বা বমি ভাব
পিরিয়ড মিস হওয়ার পর যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার মাথা ঘোরা বা শরীর দুর্বল এছাড়া বমি বমি ভাব লাগছে তাহলেও আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী। বহুকাল থেকে নারীরা গর্ভবতী হওয়ার পর সকালে ঘুম থেকে উঠলে প্রচন্ড দুর্বল মাথা ঘোরা ও বিষণ্ণ লাগাটাকে গর্ভবতীর লক্ষণ হিসেবেই মেনে আসছে।। বিশেষজ্ঞরাও বলে থাকেন এটি গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাস থেকে হজমের সমস্যা বা কুষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
পিরিয়ড মিস হওয়া
নারীদের প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড হয়ে থাকে সাধারণত ২৮ থেকে ৩০ দিন পর পর এই পিরিয়ড হয়ে থাকে। যদি একজন নারীর প্রতি মাসে রেগুলার পিরিয়ড হওয়ার পর হঠাৎ করে কোন মাসে না হয় বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সে বুঝে নিতে পারবে যে গর্ভবতী।
রক্তপাত
অনেক সময় দেখা যায় যে পিরিয়ডের সময় খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়েই বন্ধ হয়ে যায় এটিও হতে পারে একটি গর্ভধারণের লক্ষণ।
স্তনের পরিবর্তন হওয়া
গর্ভধারণের আরেকটি বিশেষ লক্ষণ হলো স্তনের পরিবর্তন হওয়া।। একটি মা যখন প্রথম গর্ভধারণ করে থাকেন তখন সে প্রথম থেকেই অনুভব করতে পারে তার স্তনের পরিবর্তন হওয়াটাকে।। এটি একটি খুবই সাধারণ প্রক্রিয়া। এ সময়ে স্থানের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পায় এবং নিপল গাড়ো রং ধারণ করে আর তার সাথে ব্যথা অনুভূত হয়।।
তবে কারোর কারোর খেতে পিরিয়ড হওয়ার আগেও এ উপসর্গটি লক্ষ্য করা যায়। তবে একটি মা পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর যদি এই উপসর্গটির লক্ষ্য করে তাহলে সে নিশ্চিত হতে পারবে যে সে গর্ভবতী। তবে অনেক মায়েদের ক্ষেত্রে এটি নাও হতে পারে। এটি বাদে অন্য সব উপসর্গগুলো থাকলেও বুঝে নেওয়া যাবে যে সে গর্ভবতী।
আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিতে পেরেছেন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায় সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। আরো কিছু জানার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আমাদের আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পড়বেন আশা করি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন।