ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড সম্পর্কে সকল তথ্য

আপনারা যারা গর্ভবতী মা রয়েছেন তাদের জন্যই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইট মাধ্যমে নতুন একটি আর্টিকেল। আমাদের আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাই স্বাগতম। আমরা সাধারণত শুধুমাত্র আপনাদের জন্যই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়ে আসে নতুন নতুন সব আর্টিকেল।

আপনারা যখন কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন আমরা ঠিক তখনই চেষ্টা করি আপনাদের কমেন্টের ভিত্তিতে সে প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে। আর সেই প্রশ্নগুলির উত্তর নিয়ে আমরা চলে আসি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন সব আর্টিকেলের মাধ্যমে।

বরাবরের মতো আপনারা এবারও জানতে চেয়েছেন ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড সম্পর্কে তথ্য। যারা গর্ভবতী মা রয়েছেন তাদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার একটি কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরীব-দরিদ্র এবং প্রতিবন্ধী মায়েদের জন্য এ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো আপনাদের সাথে আলোচনা চেষ্টা করব। আমাদের আর্টিকেলটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এই ইউনিয়ন কার্ড সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারবেন এবং আশা করি এতে অনেক উপকৃত হবেন।

তাই আপনারা যারা ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক রয়েছেন তারা আমাদের সাথেই থাকুন এবং আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড সেবা প্রদান পদ্ধতি

আপনারা যারা ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে গর্ভবতী মা রয়েছেন তাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলের এই অংশটুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক মাইকিং করে নির্দিষ্ট তারিখের সম্ভাব্যপ্রার্থীদের উপস্থিত হবার জন্য প্রচারণা চালানো হয় এবং গর্ভধারিনী মা সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে জরিপ এবং তথ্যানো সন্ধান করা হয়।

স্কুল-কলেজ বা মাদ্রাসার প্রধান ইমাম স্থানীয় কাজী এবং ইউনিয়ন ভূমির সহকারীদের নিকট হতে বয়স বিবাহ সন্তান সংখ্যা মাসিক আয় সম্পদের মালিকানা সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফর্মে পুনর ধারিত তারিখে প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।

উপকারভোগীদের গর্ভধারণ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট হতে বিনামূল্যে সনদ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে বাছাই করে অন আপত্তি ও সুপারিশসহ আবেদন ফরমটি পূরণ করার পর উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করতে হবে। বা জমা দিতে হবে।

উপজেলা কমিটির আবেদন প্রাপ্তির পর কমিটি চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করে এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ভাতা ভোগীদের নিকট কার্ড বিতরণ করে থাকে। এ কার্ডে প্রতি মাসে ৩৫০ টাকা হারে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর করে চারবার বা 24 মাস ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ডের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনারা যারা ইউনিয়নের মাধ্যমে গর্ভবতী মা রয়েছেন এবং যারা গর্ভবতী কার্ড এর জন্য প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাদের জন্যই আমাদের আর্টিকেলের এই অংশটুকু। আপনারা এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ডের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে।

ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড করার জন্য প্রয়োজন পড়বে গর্ভবতী মায়ের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এরপর প্রয়োজন পড়বে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা করতে গর্ভকালীন সনদপত্র। এরপর প্রয়োজন পড়বে নাগরিক সনদ। ইউনিয়ন সহকারে ভুমি কর্মকর্তা করতে প্রদত্ত সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন কার্ডের।

ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড এর কিছু শর্তাবলী

দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে নীতিমালা মার্চ ২০১১ অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে সে অনুযায়ী কিছু শর্তাবলী রয়েছে। যেগুলো হল।

প্রথমবার দ্বিতীয় গর্ভধারন কাল যেকোনো একবার এই কার্ড পাওয়া যায়। বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে হতে হবে গর্ভবতী মায়ের। মোট মাসিক আয় ১৫০০০ টাকার নিম্নে হতে হবে। দরিদ্র বা প্রতিবন্ধী মা এ বিষয়ে অগ্রাধিকার বেশি পাবে। কেবল যেসব মায়েদের বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে তাদের জন্য অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হবে।

আশা করি আপনারা ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো জেনে নিতে পেরেছেন। আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইট বেশি বেশি ভিজিট করবেন আর আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিবেন।