এমিলিন ১০ হল এক ধরনের ট্যাবলেট। এমিলিন ট্যাবলেট হলো এক ধরনের ঔষধ যার এন্টিকোলিনারজিক এবং বিষন্নতারোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এমিলিন ট্যাবলেট স্নায়ুতন্ত্রের কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনাদের সকলকে জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে আমরা বিশেষ এক ধরনের ঔষধ এবং ট্যাবলেট সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
আপনারা অনেকেই কমেন্টের মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন এমিলিন ১০ ট্যাবলেটটির কাজ সম্পর্কে। তাই আজকে আমরা এই এমিলি ১০ ট্যাবলেটের কাজ সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্যগুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তো চলুন এমিলিনতেন ট্যাবলেটটি সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো আমরা জেনে আসি।এমিলিন টেন ট্যাবলেট টি প্রায় দুই থেকে বার ঘণ্টার মধ্যে প্লাজমাতে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায় এই এমিলিনটেন ট্যাবলেটটি প্রধানত মেটাবোলাইট হিসেবে প্রস্রাবের মাধ্যমে মানুষের শরীর থেকে নিঃসৃত হয়।
এছাড়াও বিষন্নতা জনিত অসুস্থতা বিশেষ করে মানসিক দুশ্চিন্তা এবং মূত্রের বেগ ধারণে অক্ষমতা বিশেষত শিশুদের রাত্রিকালীন শয্যায় মূত্রত্যাগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক কথায় আমরা বলতে পারি মূত্রত্যাগের বা মূত্রথলির যত রকমের সমস্যা রয়েছে সব সমস্যার জন্য অ্যামিলিন ১০ এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মুত্র জনিত বিষয়ে কোনো সমস্যা একমাত্র সমাধান হল এই এমিলিন টেন ঔষধটি।
চলুন আমরা এই ঔষধ সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো জেনে আসি এই ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে এবং সতর্কতা সম্পর্কেও আমরা জেনে আসি। একটি কথা আমাদের সকলেরই জেনে রাখা উচিত যে কোন ঔষধে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা একেবারেই উচিত নয় তাই যে কোন ঔষধ সেবন করার আগে অবশ্যই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে ওষুধ যেমন মানুষের সুস্থ করে তোলে ঠিক তেমনি ওষুধে কিন্তু মানুষকে মারতেও পারে। তাই যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই সঠিক পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
এমিলিন ১০ খাওয়ার নিয়ম
আমাদের আর্টিকেলের এই অংশ থেকে আমরা জেনে নিতে পারবো এমিলিনটেন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। যেসব রোগীদের বিষন্নতার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অ্যামিলিন ১০ ট্যাবলেট টি ২৫ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন সেবন করতে পারবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটি সেবন করার পূর্বে বিভক্ত মাত্রায় ও একক মাত্রায় অবশ্যই ঘুমানোর আগে সেবন করতে হবে।
৬ থেকে ১০ বছর বয়সের যেসব ছোট বাচ্চারা রয়েছে তাদের অনেকের মধ্যে এই সমস্যাটি আমরা লক্ষ্য করে থাকি যে তারা রাতে ঘুমানোর সময় মূত্র ত্যাগ করে ফেলে ঘুমের মধ্যেই। এরকম অবস্থায় আমরা অনেকেই না বুঝে শুনেই সে বাচ্চাদের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেই। আসলে এটি কিন্তু সেই বাচ্চাটার দোষ নয় এটিও একটি অসুখ।
আর এই অসুখে চিকিৎসার জন্য অ্যামিলিন ট্যাবলেটটি খুবই উপকারী একটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। 6 থেকে 10 বছর বয়সের যেসব বাচ্চারা রাত্রি কালীন ঘুমের মধ্যেই মূত্র ত্যাগ করে থাকে তাদের জন্য ১০২০ মি:গ্রা: এমিলিন ঔষধটি ঘুমানোর আগে সেবন করতে হবে। এতে করে সে বাচ্চাদের রাত্রিকালীন মূত্রত্যাগ দূর হয়ে যাবে।
এমিলিন টেন ঔষধটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আমরা সকলেই জানি ওষুধ যেমন আমাদের রোগ সারাই ঠিক তেমনি কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে তাই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। এমিলিনটেন সেবনের ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে যাওয়া, বুক ধরফর করা, আলোক সংবেদনশীলতা, মাথা ঝিমঝিম করা, দুর্বলতা অবসাদ এবং ওজন কমে যাওয়ার মত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো লক্ষ্য করা যায়।
এমিলিন ১০ ঔষধটি ব্যবহারে কিছু সর্তকতা
এমিন ১০ ওষুধটি ব্যবহারের পর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এই ওষুধটি মৃগী রোগের ইতিহাস রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সেবন করা উচিত নয়। এছাড়াও গর্ব অবস্থায় কালীন সময়ে থাইরয়েডের সমস্যায় এবং প্রেসার বৃদ্ধি জনিত সমস্যা, মানসিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।