এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে এসেছি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার নিয়ম এখান থেকে আপনারা সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন যেগুলো অনেক মানুষই জানে না। আমরা বিভিন্ন রকমের জটিল রোগ হলে ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খায় কিন্তু এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়মটি আমরা মানি না বা জানতেও চাই না। তবে যদি আমরা এন্টিবায়োটিক ওষুধের নিয়ম নীতি না মেনে ওষুধ খায় তাহলে আমাদের আরো নানারকম রোগের সৃষ্টি হতে পারে এবং আমাদের শরীরে দুর্বলতা চলে আসতে পারে। 

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কিছু ডোজ থাকে যেগুলো মেনে খাওয়া খুবই দরকার। যখন আপনি এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন কিন্তু তা নিয়ম নীতি মানবেন না বা এক ডোজ বাদ দিয়ে অন্য ডোজ খাবেন তখন আপনার শরীরে নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি হবে সেজন্য এন্টিবায়োটিক এর নিয়ম গুলো মানা খুবই প্রয়োজন। এন্টিবায়োটিক ওষুধ কত ঘন্টা পর পর মোট কত দিন খেতে হবে তা ভালোমতো জেনে নিতে হবে প্রথমেই। অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সাধারণত দিনে তিনবার বা চারবারের বদলে আট বা ছয় ঘন্টা পর পর ওষুধ খেতে বলা হয়। 

তবে আপনি যদি এন্টিবায়োটিক ওষুধের একটি ডোজ খেতে ভুলে যান তাহলে পরবর্তী ডোজ খেতে হবে কিন্তু সবশেষে আপনি বাড়তি কোন ডোজ খেতে পারবেন না তাহলে আপনার সমস্যা হবে। নানা রকম রোগ হলে মানুষের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে যেমন যখন মানুষের অতিরিক্ত জ্বর হয় এবং নরমাল কোন ওষুধে জ্বর ভালো হয় না ঠিক তখন ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে এবং নিয়ম মেনে ফুল ডোজ ওষুধ সেবন করতে হয়। 

আবার অতিরিক্ত ব্যথাই বা কোন জায়গায় অপারেশন করা হয় সেখানে ব্যথা কমানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে এরকম নানা রকম জায়গাতে আপনাদের এন্টিবায়োটিক খাওয়া হয় কিন্তু এই নিয়ম নীতি অনেকেই মেনে চলেনা। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন অ্যান্টিবায়োটিকই খাওয়া যাবেনা এবং এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পাশাপাশি সব সময় পুষ্টিকর এবং ভাল খাবার খেতে হবে ফলমূল খেতে হবে তা না হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং নানা রকম মানসিক রোগের সৃষ্টি হবে। 

অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ডোজ চলছে কিন্তু রোগ ভালো হয়ে গেছে তখন মানুষ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয় অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ ফুল করে না কিন্তু এতে মানুষের নানারকম সমস্যা হয়। যেমন কিছুদিন পর আবার সেই রোগ জাগ্রত হতে পারে এবং তখন যদি সে ৫০০ পাওয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে থাকে সেটা কাজে লাগবে না আরও বেশি ওষুধ খেতে হবে। তবে প্রতিটা রোগীকে ডাক্তার ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে থাকেন। 

যদি কেউ ডাক্তারের পরামর্শের বাইরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খায় তাহলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন কিডনি লিভার ব্রেন এই সকল জায়গাতে অ্যাটাক হতে পারে বা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এন্টিবায়োটিক একটি করা ওষুধ এবং অনেক পাওয়ারফুল। নরমাল ওষুধের থেকে এই ওষুধের পাওয়ার অনেক বেশি থাকে সেজন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করার সময় অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে তা না হলে শরীরের জটিলতা তৈরি হবে। এন্টিবায়োটিক ওষুধ সব সময় সময় মত খেতে হয় যদি আপনি সময় মতো এন্টিবায়োটিক ওষুধ না খান তাহলে আপনার ডায়রিয়া বমি বমি ভাব মাথা ব্যথা বা যেকোনো ধরনের ব্যাথা সৃষ্টি হতে পারে। 

সেজন্য যখনই আপনি এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন এবং নিয়ম মানবেন না দেখবেন আপনার অন্যরকম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তখন বুঝতে হবে যে আপনার অ্যান্টিবায়োটিক এর জন্যই এই সকল সমস্যাগুলো হচ্ছে। এন্টিবায়োটিক ওষুধ সব সময় ভরা পেটে খেতে হয়। তা না হলে ওষুধের জন্য শরীরের ক্ষতি হতে পারে।সুস্থ থাকতে হলে এই সকল নিয়মগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে তা না হলে আপনি যত ওষুধ খাবেন আপনার শরীরের ক্ষতি হবে কিন্তু রোগ ভালো হবে না সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ এন্টিবায়োটিক খেতে হবে এবং ডাক্তারের দেয়া নিয়ম নীতিগুলো মেনে চলতে হবে তবে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।