আপনারা যারা গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভাতা অনলাইনে আবেদন করার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। সাধারণত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি ভাতা প্রদানের আয়োজন করেছেন। এটি বিশেষ করে যারা গরীব গর্ভবতী মা রয়েছে তাদের জন্যই করা হয়েছে। তবে এখনই আধুনিক যুগে এসে সব কিছু যখন অনলাইনের মাধ্যমে করা যায় ঠিক তেমনি গর্ভবতীদের ভাতা অনলাইনে আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে যে নিয়মগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করতে আসছি।
আপনারা যারা গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী রয়েছে তাদেরকে কষ্ট করে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে গর্ভবতী ভাতা করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতা করার নিয়ম
অনলাইনে গর্ভবতী ভাতা করার জন্য ইউপির মাধ্যমে আবেদনটি করতে হবে। জুলাই মাসে গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করতে হয়। মেডিকেল রিপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্রসহ গর্ভবতীকে প্রমাণসহ ইউপি বা পৌরসভায় আবেদন ফরম পূরণের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতা বা কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়।
যেসব গর্ভবতী মায়েরা পৌরসভার মধ্যে বসবাস করে থাকেন তাদের জন্য গর্ভবতী ভাতা করার জন্য পৌরসভায় আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে আর যেসব গর্ভবতী মায়েরা ইউনিয়ন এলাকায় বসবাস করেন সেসব মায়েদের গর্ভবতী ভাতা করার জন্য ইউনিয়নে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
এ ভাতা প্রাপ্তির শর্ত পূরণ করে আবেদন করলে কেবল এ ভাতা মনজুর করা হয়।। গর্ভবতী ভাতা ২০২২ থেকে ২০২৩ এর জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তবে এখনই অনলাইনে ভাতার জন্য আবেদন করুন আমাদের দেওয়া লিংকে।
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য গর্ভবতী ভাতা বা দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি অনুযায়ী আপনি ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য দরিদ্র সীমার নিচে জীবন-নির বাহক করতে হবে। গর্ভবতী হলে এ ভাতা পাওয়া যাবে এমনটা নয় ভাতা ভোগে নির্ধারণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিটি বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া বিবেচনা করে আবেদন অনুমোদন করে থাকে।
গর্ভবতী ভাতার মেয়াদ অর্থের পরিমাণ ও বিতরণ পদ্ধতি
নির্বাচিত গর্ভবতী মাকে দুই বছর ব্যাপী প্রতিমাসে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে এ ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে। তাই আগে যেসব গর্ভবতী মা যে পরিমাণ ভাতা পেয়েছেন এখন যেসব নতুন গর্ভবতী মা রয়েছেন তারা আগের চাইতে একটু বেশি পরিমাণে ভাতা পাবেন। এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি সুসংবাদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালিত করা হবে। তারা ভাতার অর্থ রাষ্ট্রায়ত্তন তফসিল ব্যাংক এর মাধ্যমে ভাতা ভোগের নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসেবে বিতরণ করবেন।
গর্ভধারণ অবস্থায় গর্ভপাত ঘটলে গর্ভপাত পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত ভাতা অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নতুন করে ভাতা ভোগে নির্বাচন করতে হবে।
সন্তান জন্মগ্রহণের পর দুই বছরের মধ্যে যদি সে সন্তান মারা যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট মা 24 মাস পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময়ে ভাতা পাবেন।
নির্বাচিত গর্ভবতী মা দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে তার ভাতা প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে এবং অন্য কোন গর্ভবতী মা নতুন করে নির্বাচন করা যাবে না। তবে নির্বাচিত গর্ভবতী মায়ের বকেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রত্যায়ন সাপেক্ষে বৈধ উত্তরাধিকারী সন্তান পাবে।
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র মায়েরা মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি মাতৃদুগ্ধ পান এর উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় উন্নত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, প্রসব ও প্রসূদত্ত সেবা বৃদ্ধি, মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস ,পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ সম্পর্কিত তথ্যাদি, মা ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক, তালাক ,বিবাহ ও জন্ম নিবন্ধন বিষয়ে সচেতন হওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন।।