আর্থ্রাইটিস এর ঔষধ

আর্থ্রাইটিস সাধারণত যেটাকে আমরা বাত বলে চিনি সেটা কে বোঝানো হয়েছে। এটা সাংঘাতিক একটি রোগ এ রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রচুর কষ্ট করতে হয় অনেকদিন ধরে। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যারা চেষ্টা করছেন তাদের সুবিধার্থে আমরা কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি আশা করছি সেই তথ্য গুলো অনেকের উপকারে আসবে। সাধারণত হার অথবা হারের জোড়ায় বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথার সৃষ্টি হয় এর কারণে।

এই বাত ব্যথার বিভিন্ন ধরন আছে কিছু দীর্ঘস্থায়ী বাত ব্যথা রয়েছে যেগুলো সারা জীবন একজন রোগীর শরীরে থাকতে পারে এবং সেগুলোর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে কোনভাবেই এটা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার কোন উপায় নেই। এই রোগ কে বলা হয় অটো ইমিউন ডিজিস। যাইহোক এই রোগ গুলো প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কিভাবে কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবা আজকের আর্টিকেল থেকে। এই রোগ নিরাময়ের জন্য সরাসরি ওষুধের কথা আমরা এখানে বলতে পারব না তার কারণ হচ্ছে আপনি যতটা সহজ ভাবে বিষয়টি নিচ্ছেন বিষয়টা ততটা সহজ নয়।

বাত ব্যথার ঔষধের নাম বাংলাদেশ

বাত ব্যথার যে রোগ রয়েছে এবং যে ঔষধ গুলো রয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সাংঘাতিক ঔষধ তাই এখানে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ওষুধের ব্যবহার করা হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে। কোন ঔষধি দীর্ঘস্থায়ী খাওয়া যাবেনা আবার ভুল ওষুধ করলে রোগীর অবস্থা আরো বেশি খারাপ হতে পারে এ ধরনের বিভিন্ন জটিল সমস্যা আছে এই বাত ব্যথা গুলোর কারণে তাই আমরা এমন কিছু টিপস আপনাদের দেবো যে টিপস গুলো এপ্লাই করলে আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন। তবে সঠিক সুস্থতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যেতেই হবে।

আর্থ্রাইটিস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অর্থাৎ প্রথম টিপস হচ্ছে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার বাতের সমস্যা হয়েছে তখন বসে না থেকে একজন চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই আপনাকে যেতে হবে। অর্থাৎ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে এবং রোগের ধরন ও নিরাময় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে হবে। বাত হয়েছে বলেই যে শুধুমাত্র বাত তা নয় বাতের বিভিন্ন ধরন আছে অর্থাৎ কোন কোন ধরন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যায় আবার কোন কোন ধরণ আছে সারা জীবন আপনার সঙ্গে থাকবে।

এরপরে যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে ব্যথার ওষুধ বেশি ব্যবহার করা যাবে না আপনাকে জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করতে হবে। যে কাজটি করলে আপনার শরীরে ব্যথা সৃষ্টি হয় আপনাকে সেই কাজ করা যাবে না প্রয়োজনে কিছুদিন একেবারে রেস্টে থাকতে হবে। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে কারণ অসুস্থতা আমাদের একটি সঙ্গীত তাই এই অসুস্থতাকে ভয় পেলে চলবে না মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে। যে অবসর সময় আপনি পাচ্ছেন সেই অবসর সময়ে প্রিয়জনের সঙ্গে অতিবাহিত করতে হবে।

খেয়াল রাখবেন কোন সময় যেন নিচে বসতে না হয় সব সময় চেয়ারে বসবেন এবং টয়লেটের ক্ষেত্রেও কোমর টয়লেট ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। রাতে শোবার সময় উঁচু বালিশ বেশি ব্যবহার করা যাবে না চেষ্টা করবেন আস্তে আস্তে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর। এছাড়াও দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর চেষ্টা করুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে পারেন এবং গাইড পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে। শীতকালে সব সময় গরম পোশাক পরিধান করার চেষ্টা করুন। আশা করছি এই নিয়ম গুলো মানতে পারলে আপনারা বাতের জালা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন তবে পুরোপুরি আরাম পেতে হলে অবশ্যই মেডিকেল চিকিৎসা আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। বাতের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসার বিকল্প নেই বাড়িতে বসে থেকে উল্টোপাল্টা চিন্তা করে কোন লাভ হবে না।