আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনি পড়ে নিন এতে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের খাবারদাবারের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। একজন গর্ভবতীর মায়ের গর্ভাবস্থার সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার হঠাৎ করেই খাওয়ার প্রকট ইচ্ছা জাগে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের দায়িত্ব গর্ভাবস্থায় যেসব খাবারগুলো খাওয়া ভালো এবং যেসব খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত সে খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া।
ঠিক সেরকমই একটি খাবার নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে এসেছি। আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। লিচু একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে কতটা নিরাপদ সেই সম্পর্কেই আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই অংশে আমরা আলোচনা করব।
আপনারা যারা গর্ভবতী মা রয়েছে তাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে কিছু ফলমূল রয়েছে যেগুলো খেলে একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক ঝুঁকিতে পড়তে হয় তার গর্ভের সন্তানকে নিয়ে। তাই ফলমূল খাওয়ার বিষয়ে মাকে সজাগ থাকা প্রয়োজন।
সব ফলমূলের বিষয়ে একজন গর্ভবতী মায়ের জেনে রাখা প্রয়োজন কোন ফলটি তার গর্ভের সন্তানের জন্য ভালো এবং কোন ফলটি তার গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক সেটি যদি একজন গর্ভবতী মায়ের জানা থাকে তাহলে ফলমূল খাওয়ার কারণে তাকে কোন বিপদের সম্মুখীন হতে হবে না। তাই চলুন আমরা আজকে গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে কি উপকারিতা হতে পারে অথবা কি অপকারিতা হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে আসি।
গর্ভকালীন সময়ের লিচু
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য যেকোনো খাবার নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও গর্ভকালীন সময়ে তা হবু মায়ের শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে। তাই যেকোনো ফল খাওয়ার আগে একজন গর্ভবতী মাকে সতর্কতার সহিত জেনে নিতে হবে যে কোন ফল খেলে কি রকমের ক্ষতি বা অপকারিতা হতে পারে সে সম্পর্কে।
ঠিক সেরকমই একটি ফল হল গ্রীষ্মকালীন লিচু। তাই লিচু ফলটি গর্ভাবস্থায় খাওয়া ঠিক কিনা তা সবার জেনে রাখা প্রয়োজন। তবে তার আগে আমরা জানব গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
গর্ভকালীন সময়ে লিচু খাওয়ার উপকারিতা
আপনি যদি গর্ভকালীন সময়ে লিচু খেয়ে থাকেন তাহলে বেশ কিছু উপকারিতা হতে পারে। লিচু যেহেতু গ্রীষ্মকালীন ফল তাই সব সময় এই ফল চাইলে আপনি খেতে পারবেন না। তবে গর্ভকালীন সময়ে হবু মায়েরা যদি এই ফলটি খায় তবে তারা বেশ কিছু উপকার পেতে পারেন।
একমাত্র গ্রীষ্মকালীন সময়ে যেসব গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন তারা এই ফলটি খেতে পারেন। কারণ এই ফলটি সব সময় পাওয়া যায় না। লিচুর উপকারিতায় প্রথমে যা বলা যায় তা হল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
এতে থাকা পটাশিয়াম হার্টবিট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে একজন গর্ভবতী মা এবং সন্তানের। লিসের ফিনলিক যৌগ ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং লিভারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে। এছাড়াও লিচু একজন গর্ভবতী মায়ের টাইপ টু ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করে থাকে। শুধু তাই নয় ফ্রি রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং অক্সিটেটিভ ক্ষতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে লিচু।
গর্ভকালীন সময়ে লিচু খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভকালীন সময়ে লিচু খেলে যে শুধু উপকারী হবে সেটি কিন্তু ভুল ধারণা লিচু খাওয়ার জন্য কিছু অপকারিতা রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে এছাড়া গলা ব্যথা রক্তক্ষরণ মুখের আলসারের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তাই গর্ভকালীন সময়ে খুবই সামান্য পরিমাণে লিচু খাওয়া ভালো অতিরিক্ত লিচু খেলে গর্ভবতী মা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারেন। সারাদিনে একজন গর্ভবতী মায়ের চার থেকে পাঁচটি লিচু খাওয়া ভালো।