ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম

আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের কিছু তথ্য যা জানা থাকলে আপনার অনেক উপকার হবে এবং জানা আপনার অনেক প্রয়োজন। আমরা এবারের আয়োজনটি সাজিয়েছি ফেমিকন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে এখান থেকে আপনারা সকল তথ্য জানতে পারবেন এবং অজানা তথ্য জানতে পারবেন। ফেমিকন সাধারণত জন্ম বিরতিকরণ ওষুধ যেটা নব দম্পতি বিয়ের পরে খায় বা নবদম্পতি বাচ্চা নিতে যদি না চায় তাহলে এটা খেতে হয়। এই ওষুধটা নিয়মিত খেলে আপনি যখন ইচ্ছা তখন বাচ্চা নিতে পারবেন। 

নিয়মিত এই পিল খাওয়ার ফলে আপনাদের দেহের নানা রকম ক্ষতি হয় তাই এই সকল বিষয়গুলো জানা খুব প্রয়োজন। এই পিলের তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে ফেমিকন  নিয়মিত না খেলে স্বাভাবিক নিয়মে গর্ভধারণ হয়ে যাবে। আমরা আপনাদের ফেমিকন ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম দিচ্ছি সেগুলো হল মাসিক শুরুর প্রথম বা দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু করে টানা 21 দিন পর্যন্ত সাদা বড়ি প্রতিদিন একটি করে খেতে হবে। এরপর ২২ তম দিন থেকে লাল বা খয়রি বড়ি সাতটি প্রতিদিন একটি করে খেতে হবে। সাথী পরীক্ষা শেষ হলে দুই তিন দিন পর মাসিক শুরু হবে। 

এরপর আবার মাসিক শুরুর দ্বিতীয় দিন থেকে আরেকটি পাতার সাদা বড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে। এভাবে প্রতি মাসে একটি করে পাতা মোট 28 টি ওষুধ খেতে হবে। আপনি যদি এই নিয়মগুলো মেনে ওষুধ খান তাহলে ভালো কাজ করবে আপনার কোন ক্ষতি হবে না তাই সব সময় নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ যতদিন পর্যন্ত বাচ্চা নিতে না চান ততদিন পর্যন্ত ফেমিকন খাওয়া এভাবে চালিয়ে যেতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই বাদ দেয়া যাবে না। যদি কোনো কারণে একদিন এই ওষুধ খেতে ভুলে যান তাহলে পরের দিন দুইটা ওষুধ একসাথে খেতে হবে তবুও খাওয়া বাদ দেয়া যাবে না। 

আপনি যতদিন বাচ্চা নিতে না চান ততদিন একইভাবে এই নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না কারণ এই জাতীয় পিল নিরাপদ। আবার যখন আপনি বাচ্চা নিতে চাইবেন তখন এই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলেই স্বাভাবিক নিয়মে আপনার বাচ্চা হবে। তাই এই সকল বিষয়গুলো জানা খুবই প্রয়োজনীয়। আবার যে সময় পিল খাওয়া উচিত নয় সেটা আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন যেমন আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে এই পিল খাওয়া বন্ধ রাখুন। 

আপনার বয়স যদি ৪৫ বছরের বেশি হয় তাহলে পিল খাওয়া বন্ধ করে দিন। এছাড়া হৃদরোগ লিভারের সমস্যা প্রচন্ড মাথা ব্যথা স্তনের ভেতরে শক্ত কিছু অনুভব করলে ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ জন্ডিস থাকলে ফেমিকন পিল খাওয়া উচিত নয়। এ অবস্থায় যদি আপনি ফেমিকন খান আর কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। ৩ একটি স্মরণীয় এবং কার্যকরী ওষুধ জন্মবিরথিকরণ পদ্ধতি এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির জন্য বিভিন্ন ধরনের বিলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তারমধ্যে ফেমিকন একটি।

 এ সকল ওষুধগুলো প্রায় প্রতিটি ফার্মেসিতে পাওয়া যায় সেজন্য চিন্তার কোন কারনেই আপনারা নির্দ্বিধায় ফেমিকন ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। ফেমিকন মাধ্যমে আপনি ইচ্ছামত বাচ্চা গ্রহণ করতে পারেন। অনেক সময় অনেকজন অনেক বাচ্চা নিয়ে ফেলে এবং যার জন্য নানারকম সমস্যা দেখা দেয় এই সকল মানুষগুলো জন্মবিরোধী পদ্ধতির সম্পর্কে কিছু জানে না যার ফলে তারা এতগুলো বাচ্চা নিয়ে ফেলে। তবে এই সকল বিষয়গুলো প্রতিটি মানুষের জানা প্রয়োজন এটা সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে জনগণ কম হয়। 

আপনি যত বেশি বাচ্চা নিবেন তত বেশি ঝামেলায় পড়তে হবে আপনাকে কিন্তু আপনি যখন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানবেন তখন আপনার পরিবার ছোট হবে এবং আপনি সচ্ছলভাবে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করতে পারবেন। সেজন্য না বুঝে কোন কিছু করতে হবে না এবং এই সকল বিল খেলে আপনাকে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতেই হবে তা না হলে শারীরিক নানার উপর সমস্যায় আপনাকে পড়তে হবে। তবে এ সকল বিষয়ে ডাক্তাররা আরও বেশি পরামর্শ দিয়ে থাকেন আপনার যে কোন সমস্যা হলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি জন্ম বিরতি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে যেকোনো সমস্যায় আপনি পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।