গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ

আপনারা যারা গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। একজন মা যখন জানতে পারেন সে গর্ভবতী ঠিক তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় পেট ভার গ্যাস অম্বল বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো এই সমস্যাগুলো। তবে এ সময়ে ওষুধ খুব কমই খাওয়া প্রয়োজন বেশি ওষুধ খেলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই এ সময়ে গর্ভবতী মায়েদের কষ্টের শেষ থাকে না।

অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ওষুধ হল সকালে জিরে ভেজানো জল রাতে গ্লাসের পর ক্লাস পানি বেশি বেশি খেলে একটু আরাম পাওয়া যায়। এমনি থেকেও গর্ভাবস্থার সময় বেশি পরিমাণে পানি খেতে হয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি। আর যখন একজন গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হবে তখন তাকে যত সম্ভব পারবে বেশি বেশি পানি খেতে হবে এতে করে সে অনেকটাই স্বস্তিবোধ করতে পারবে।

আপনারা জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ওষুধ সম্পর্কে। তাইতো আমরা আজকে শুধুমাত্র আপনাদের কথা চিন্তা করে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন একটি আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলে আমরা বিশেষভাবে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে এসেছি গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ওষুধ সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো নিয়ে।

একজন গর্ভবতী মায়ের শরীর অস্বস্তি নিয়ে দিন কাটতে হয় পেট যত বড় হতে থাকে ততই বাড়ে অস্বস্তি এবং নানান রকমের গ্যাস্টিকের সমস্যা। তো চলুন জেনে নেই গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ওষুধ সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় গ্যাস্টিকের সমস্যা কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় প্রতিমাসে একেক রকমের গ্যাস্টিকের সমস্যার পরে যান গর্ভবতী মায়েরা। এটি  প্রায় প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়েদেরই হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় শুরুতেই শরীরে প্রোজেক্টের অন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে থাকে। তার হাত ধরে পাকস্থলী থেকে খাবার নিচে নামার প্রক্রিয়া গতি ধীর হয়ে যায়।

ফলে পেট একটু ফেঁপে থাকে তার সঙ্গে প্রথম বার সপ্তাহ অম্বল গলা জলা আরো যেন বেড়ে যায়। কুষ্ঠ কাঠিন্যেরও সমস্যা হয়ে থাকে অনেক মায়েদের। দুই থেকে এক দিন পেট পরিষ্কার না হলে পেট ফাঁপার সমস্যা আরো যেন বেড়ে যায়।

এরপর যত সময় যায় ততই পেট বড় হতে থাকে। পাকস্থলীর উপর চাপ ততই বেশি পড়ে তাই সমস্যা আরও অধিকাংশই বেড়ে যায়। বেশি খাওয়া দাওয়া করলে এবং শুয়ে বসে থাকলেও এটি অনেক বেশি অস্বস্তির কারণ হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হলে করণীয় ?

একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার সময় অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হলে কিছু করণীয় রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো অভ্যাস পাল্টাতে হবে। প্রচুর খাওয়া শুয়ে বসে থাকা ঘি মাখন বেশি খাওয়া একদম চলবে না। এছাড়াও প্রয়োজন মতো খাবার এবং প্রতিদিন দুইটি করে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নিতে হবে।

গ্যাসের ওষুধের মধ্যে সবথেকে ভাল হয় প্যান্টোনিক্স এবং সার্জেল। এই দুইটি ওষুধ অত্যন্ত ভাবে গ্যাসের সমস্যায় কাজ করে থাকে। তবে এর পাশাপাশি গর্ভবতী মাকে অবশ্যই নিয়মিত খাবার দাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি পানি খেতে হবে। এতে করে গ্যাস্টিকের সমস্যাটি অনেকাংশে কমে যাবে এবং গর্ভবতী মা অনেক আরাম পাবেন।

একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় খাবারের পরিমাণ নয় বাড়াতে হয় পুষ্টির পরিমাণ। দিনের প্রতিটি খাবার পুষ্টিকর হলে কম খাবারে একজন গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এছাড়াও মাঝেমধ্যে এক চামচ অথবা আধা চামচ ঘি বা মাখন খাওয়া যেতেই পারে।

তবে বেশি খেলে একদিকে যেমন পেট ফাঁপা বাড়তে পারে এছাড়াও বাড়তে পারে ওজন বৃদ্ধি যা থেকে ডায়াবেটিক্স ও আরো নানান জটিলতার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে এ সময়ে ব্যায়াম একেবারেই নিষিদ্ধ নয় এ সময় হালকা ভাবে ফ্রি হ্যান্ডও ঘরোয়া কাজকর্ম করলে গ্যাস অম্বল বদহজম কুষ্ঠ কাঠিন্য কম থাকে এবং এতে করে অতিরিক্ত ওজনও বাড়তে পারে না তাই গর্ভাবস্থায় এগুলো একান্তই প্রয়োজনীয়।