গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা ২০২৩

আপনারা যারা গর্ভবতী মা রয়েছেন তাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি সুখবর। গর্ভবতী মায়েদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একটি ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন। আজকে আমরা সেই গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য গুলো আপনাদের সামনে আলোচনা করব।

আপনারা যারা গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন আশা করি তারা এই আর্টিকেলটি পড়লে খুব সহজে গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা সম্পর্কে সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন। দীর্ঘ উনিশ মাস বন্ধ থাকার পর মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আবেদন নেওয়া আবারও শুরু হয়েছে। ১২ ই জানুয়ারি থেকে সারাদেশে নতুন ভাতা ভোগী নিতে অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এই কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র আন্তঃসত্ত্ব মায়েরা গর্ভধারণ থেকে সন্তান জন্মদানের পর তিন বছর পর্যন্ত মাসে ৮০০ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। আগে এই ভাতা একটু কম ছিল তবে ২০২৩ সালে সরকার আবার নতুনভাবে এই ভাতা ৮০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন। এছাড়াও আরো একটি সুযোগ করে দিয়েছেন সেটি হল নতুন তালিকায় প্রথমবারের মতো সিটি কর্পোরেশনের সব কয়টি ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যক দরিদ্র নারী তালিকাভুক্ত হবে এই মাস থেকে।

এছাড়াও সারা দেশে এখন অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে কর্মসূচির আওতায় আবেদন করতে পারছেন ভাতা নিতে ইচ্ছুক দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা। তাই আপনিও যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনিও অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে এই ভাতা পেয়ে যাবেন।

এবার ওই প্রথম সিটি কর্পোরেশন এলাকার সব ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডের জন্য মাসে পাঁচটি করে কার্ড বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই সুযোগটা আগে ছিল না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৭৫টি এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৪টি ওয়ার্ড রয়েছে।

এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কল্যাণপুর এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। তাই এইবার নতুন বছরে দক্ষিণ সিটির 75 টি ওয়ার্ডে এক বছরের ৪৫০০ জন এবং উত্তরের ৫৪ টি ওয়ার্ডে এক বছরে ৩২৪০ জন এর সুবিধা পেয়ে যাবেন।

গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদনের যোগ্যতা ২০২৩

আপনারা যারা গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে চাচ্ছেন অবশ্যই তাদের আগে জেনে রাখা প্রয়োজন যে অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং অনলাইনে আবেদনের যেসব যোগ্যতা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। গর্ভবতী ভাতা বা দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৫ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী অনলাইনে আবেদনের কিছু যোগ্যতা রয়েছে যেগুলো আমরা এখন আলোচনা করব।

গর্ভবতী মায়েদের সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমবার দ্বিতীয় গর্ভকাল যে কোন একবার একটি মা পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে একজন মা এই ভাতার দুইবার কখনোই পাবেন না।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য বয়স কমপক্ষে 20 বছর বা তার বেশি হতে হবে। ২০ বছরের কম বয়সী মায়েদের এই ভাতা দেওয়া হবে না।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য মোট মাসিক আয় 2000 টাকার নিচে হতে হবে।

দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য অগ্রাধিকার বেশি পাবেন।

নিজের অথবা পরিবারের কোন কৃষি জমি মৎস্য চাষের জন্য কোন পুকুর যাদের নেই তাদের জন্য গর্ভকালীন ভাতা প্রযোজ্য। এছাড়াও কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে থাকে এমন মায়েদের জন্য গর্ভবতী সরকারি ভাতার অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হবে।

কোন কারণে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট চক্র অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে দুই বছরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্ত হবেন যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে তাহলে।

আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পেরেছেন গর্ভবতী মায়ের সরকারি ভাতা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।