হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণ

সবার আগে আপনাদের একটি বিষয় সম্পর্কে আমরা পরিষ্কারভাবে অবগত করতে চাই সেটা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সম্পূর্ণ দুইটি জিনিস। আমরা দশ জনের মধ্যে আটজনই এই জিনিসটা গুলিয়ে ফেলি এবং মাথায় রাখতে পারেনা অনেকে আছে এই জিনিসটা বুঝতেও পারে না। সাধারণত হার্ট অ্যাটাক এমন একটি জিনিস যেটা হার্ডকে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয় কিন্তু স্ট্রোক হচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা এটা হচ্ছে ব্রেনের রক্তক্ষরণের মাধ্যমে ব্রেনকে বন্ধ করে দেওয়া। তাই আমরা যদি হার্ট অ্যাটাক বলি তাহলে সেটা হবে সম্পূর্ণ হার্ট থেকে যা বুকে অবস্থান করে।

আর আমরা ক্লিয়ার ভাবে যদি স্ট্রোকের কথা বলি তাহলে সেটা হবে মাথা থেকে তার কারণ হচ্ছে স্ট্রোক সাধারণত ব্রেনে হয়ে থাকে আর সেটা মাথাতে অবস্থান করে। আশা করছি এই দুইটা জিনিসের সুন্দর একটি পার্থক্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি যার মাধ্যমে আপনারা পরবর্তীতে এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং কোন ধরনের ঝামেলার মধ্যে পড়বেন না। চলুন আজকে আমরা জানার চেষ্টা করি হার্ট অ্যাটাকের বিভিন্ন কারণ।

হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ

হার্টের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের শিরা-উপশিরা রয়েছে যার মাধ্যমে রক্ত চলাচল করে এবং এই হার্ট পাম্প হওয়ার মাধ্যমে এই রক্ত আমাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন কারণে হার্টে ব্লক হতে পারে অর্থাৎ হার্টের এই সেরা উপশিরা গুলো ব্লক হয়ে যেতে পারে যার কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং এইভাবে হার্ট অচল হয়ে যেতে পারে। হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার কিছু লক্ষণ যেন আমাদের অত্যন্ত জরুরি তার কারণ হচ্ছে যদি কারো হার্ট ব্লক হয়ে যায় এই লক্ষণের মাধ্যমে সেটাকে চিহ্নিত করতে হবে তা না হলে তার বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

সাধারণত ঘন ঘন ক্লান্ত বোধ করা হার্ট ব্লক হওয়ার একটি লক্ষণ যেখানে কোন কারণ ছাড়াই আপনি মনে হবে অনেক ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন এমনকি কথা বলতে বা খেতে বসলো ক্লান্ত অনুভূতি হচ্ছে। এর সঙ্গে বুকে ব্যথা এবং চোয়ালে ব্যথা হার্ট ব্লক হওয়ার অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ বুকের বাম পাশে এবং ডান পাশে ব্যথা যে কোন এক ধরনের ব্যথা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা পেটের ওপরের দিকে ব্যথা এবং ডান এবং বাম কাজের ব্যথা এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে পিঠে ব্যথা এবং ফাটার সময় এই ব্যথা বেড়ে যাবে এরকম সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যদি কারো শরীরে এই ধরনের উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মিনি হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ

সাধারণত অসুখ-বিসুখ বলে কয়ে আসে না তাই আপনি আগে থেকে যতই প্রস্তুত থাকুন না কেন আপনাকে অসুস্থ হতেই হবে তার কারণ হচ্ছে অসুস্থতার দোহাই দিয়েই হয়তো একদিন আমাদের মৃত্যুবরণ করতে হবে। মিনি হার্ট অ্যাটাক সাধারণত একটি বড় ধরনের সমস্যা যেটা সুচ হয়ে আমাদের কাছে আসে এবং ফাল হয়ে বেরিয়ে যায়। এমন ভাবে বলার কারণ হচ্ছে মিনি হার্ট অ্যাটাক সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না আর যে জিনিসটা বোঝা যায় না সে জিনিসের চিকিৎসা আমরা কখনোই নিতে চাইবো না যার কারণে আমরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হই তাই লক্ষণগুলো জানাও কিন্তু জরুরী যার মাধ্যমে মিনি হার্ট অ্যাটাক আমরা বুঝতে পারি এবং দ্রুত চিকিৎসা নিতে পারি।

হঠাৎ করে যদি কারো মিনি হার্ট অ্যাটাক হয় তাহলে সবার প্রথমে তার অতিরিক্ত গরম এবং গা ঘেমে যাওয়ার মতন সমস্যা মাথা ঘোরা এবং বমি হওয়ার মতন সমস্যা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতন সমস্যাও দেখা যেতে পারে মিনি হার্ট অ্যাটাক এর ক্ষেত্রে। এই সময় যদি হার প্রেশার মাপা হয় তাহলে প্রেসার যাই থাকুক না কেন সেখানে হার্ট রেট এর পরিমাণ খুব কম থাকে। এটা একটা জিনিস যখন পাওয়া যাবে তখন নিশ্চিত ভাবে সেটা মিনি হার্ট এটাক তাই দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।