হিস্টাসিন মূলত জয়সল ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড বহু আগে থেকে বাংলাদেশের এই ট্যাবলেটের বাজার দখল করে এসেছে। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে এই ট্যাবলেটটি অতীতে বাংলাদেশে এতটাই পরিচিত এবং এতটাই বিক্রি হতো যে শুধুমাত্র একটি ট্যাবলেট এর উপর নির্ভর করে গোটা কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক পরিচালনা করতো। এই ওষুধটি পরিচিতি পাওয়ার বেশ কারণ রয়েছে তার কারণ হলো এই ওষুধটি খুব ভালোভাবে তৈরি করা হয় এবং এই ওষুধটি ব্যবহারে অনেকে বহু উপকার পেয়েছেন।
আজকে আমরা হিস্টাসিন ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করব যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ক্লোরোফেনামিন ম্যালিয়েট। মূলত মানব শরীরে এই ওষুধ সরাসরি গিয়ে কি কাজ করে এবং এর পাশাপাশি এই ঔষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা সেটাও আমরা জানবো। যেহেতু এই ওষুধটি সকলের শরীরে ব্যবহার উপযোগী অর্থাৎ শিশু থেকে শুরু করে বুড়ো বয়স্কদের জন্য প্রত্যেকের এই ওষুধ খাওয়া যাবে তাই অবশ্যই যথেষ্ট জানার প্রয়োজন রয়েছে কার জন্য কতটুকু ওষুধ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।
হিস্টাসিন ট্যাবলেট সঠিক কি কাজ করে
প্রত্যেকটি জিনিস রয়েছে আলাদা আলাদা কাজ এবং এই আলাদা আলাদা কাজের জন্য প্রত্যেকটি জীবন এবং প্রত্যেকটি উপাদানকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের পৃথিবীতে রেখেছেন। আপনি একটু গভীরভাবে ভাবলে অবাক হবেন যে আল্লাহ তা’আলা এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছে এবং এই মহাবিশ্বের এই পৃথিবীতে যে উপাদানগুলো দিয়েছে তার প্রত্যেকটি মানব উপকারের জন্য। মানুষ যাতে সেই উপাদানগুলো ব্যবহার করে বা উপাদানের রূপ পরিবর্তন করে তাদের কাজে ব্যবহার করতে পারে সেটাই আল্লাহতালার নির্দেশ করেছেন।
হিস্টাসিন ট্যাবলেট এর বেশ কয়েকটি কাজ রয়েছে যদি আমরা বলতে যাই তাহলে এখানে একটি তালিকা তৈরি হবে চলুন ছোট ছোট করে আলোচনা করি। এই ট্যাবলেট মূলত ঠান্ডা লাগার বিপক্ষে লড়াই করে এবং যাদের কাশি হয় তাদের জন্য ট্যাবলেট খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। এছাড়া ভ্রমণজনিত বমি এবং অন্যান্য এলার্জির কারণে ও হিস্টাসিন ট্যাবলেট প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। যাদের শরীরের ছুলি বের হয় অর্থাৎ চামড়ার ওপর গুটিগুটি বের হয় এবং চুলকানি হয় তাদের জন্য অথবা সাদা সাদা দাগ হয় তাদের জন্য মূলত এই হিস্টাসির ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংবেদনশীল প্রক্রিয়ার ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসা ভাষায় বলতে গেলে এনজিওনিউরোটিক ইডেমা এবং রাইনাইটিস নামক অশোকের বিরুদ্ধে কাজ করে হিস্টাসিন তাই এই অসুখগুলো হলে আপনি নিঃসন্দেহে শাসন ঔষধ খেতে পারেন পরিমাপ অনুযায়ী।
হিস্টাসিন ট্যাবলেট এর সঠিক সেবন মাত্রা
প্রত্যেকটি ওষুধের আলাদা আলাদা মাত্রা রয়েছে সেটা পাগল ও জানে। তাই সেই কথাটি এখানে না বলে আমরা পাগলের সমতুল্য হতে চাচ্ছি না চলুন ঝটপট জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে হিস্টাসিন ট্যাবলেট কিভাবে ব্যবহার করা হয়। মূলত যারা প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে তাদের জন্য 4 মিলিগ্রাম প্রতি 4 থেকে 6 ঘন্টা পর পর সর্বোচ্চ ২৪ মিলিগ্রাম দৈনিক খেতে পারবে। এখন এটা অনেকের প্রশ্ন করেন কতদিন যাবত এইভাবে খেতে পারবে। মূলত আপনার যে সমস্যা রয়েছে সেটা যদি সমাধান হয়ে যায় তাহলে আপনাকে এই জিনিসটা আর খেতে হবে না তবে এরা যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য খেতে বলা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।
আর একটা বিষয় যে ধরনের শিশু বলতে গেলে এক থেকে 2 বছর বয়সের শিশু তাদের জন্য এক মিলিগ্রাম দৈনিক 2বার সর্বোচ্চ খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও 2 থেকে 5 বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক মিলিগ্রাম প্রতি 4 থেকে 6 ঘন্টা পর পর খাওয়াতে পারে সর্বোচ্চ 6 মিলিগ্রাম পর্যন্ত। এছাড়াও 6 থেকে 12 বছর বয়সের শিশুদের জন্য ২ মিলিগ্রাম প্রতি 4 থেকে 6 ঘন্টা পর পর সর্বোচ্চ ১২ গ্রাম দৈনিক খাওয়াতে পারবে। শিশুদের শরীল অত্যন্ত লাজুক হয় তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ডোজ দেওয়া কোন ভাবেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।