প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঘরোয়া চিকিৎসা

সাধারণত প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঘরোয়া কোন চিকিৎসা নেই। ক্যান্সার হচ্ছে মরণঘাতী একটি রোগ এবং এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করতে পারে অথবা ক্যান্সারের কোষকে সরাসরি মেরে ফেলতে পারে এরকম ঔষধ এখন পর্যন্ত কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। গোটা পৃথিবী যখন ক্যান্সারের এই ঔষধ আবিষ্কার করার জন্য প্রচুর পরিমাণে গবেষণায় ব্যস্ত আছে ঠিক তখন কে বলতে পারে এর সমাধান বাড়িতেই আছে।

এটা একেবারেই ভুল ধারণা ক্যান্সারের চিকিৎসা কখনোই বাড়িতে হয় না এবং বাড়িতে এর একটি উপাদানও নেই যার মাধ্যমে আপনি এর চিকিৎসা করতে পারেন। তবে হ্যাঁ প্রোস্টেট কে ভালো রাখতে হলে যুবক বয়স থেকে আপনি কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন বাড়িতে যে অভ্যাসগুলো আপনাকে প্রোস্টেটের সমস্যা থেকে দূরে রাখবে এবং যার ফলে প্রোস্টেট ক্যান্সার ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনি কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবেন। তাছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে কোন ঘরোয়া পদ্ধতি এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি।

প্রোস্টেট ক্যান্সার কেন হয়

প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত পোস্টেডে টিউমারের কারণে হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে পোস্টেডে ইনফেকশন হওয়ার কারণে ও সাধারণত এই ক্যান্সার হয়। ক্যান্সার সাধারণত এমন একটি জীবাণু যেটা শুরুর দিকে খুব একটা বোঝা না গেল যখন এর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে তখন বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে সেটা বোঝা যায়। তবে আরেকটি বিষয় সরাসরি ক্যান্সার আমাদের শরীরে আসে না ক্যান্সার সাধারণত বিভিন্ন ইনফেকশন অথবা টিউমারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে আসে তাই আমরা যদি আগে থেকেই টিউমার সনাক্ত করতে পারি অথবা ইনফেকশনের চিকিৎসা করে তাহলে ক্যান্সার হবে না।

প্রোস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দেখা দিতে পারে এবং সেই ইনফেকশনের চিকিৎসা যদি সঠিকভাবে না করা হয় অথবা ইনফেকশন যদি অনেক দেরিতে দেখা যায় তাহলে সেখানে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা থাকে। এছাড়াও প্রোস্টেট টিউমার হলে অনেকে বুঝতে পারে না না বুঝতে কারো পারার কারণে যখন টিউমারটি ফেটে যায় অথবা টিউমারে ক্যান্সারের ভাইরাস তৈরি হয় তখন সেটা রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়তে পারে যার কারণে ক্যান্সার হতে পারে।

প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার কিছু লক্ষণ

রোস্টেড ক্যান্সার হওয়ার কিছু লক্ষণের মধ্যে বেশিরভাগ লক্ষণ প্রস্রাব রিলেটেড। প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়া থেকে শুরু করে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা প্রস্তাব দিয়ে লাল রক্ত বের হওয়ার মতন লক্ষণ যদি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এছাড়াও অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা প্রোস্টেট ক্যান্সারের বড় একটি লক্ষণ তাই চেষ্টা করতে হবে অস্বাভাবিকের পেটের ব্যথা যদি ওঠে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার। এছাড়াও হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া এবং শরীরের অন্যান্য শারীরিক দুর্বলতা এবং অসুস্থতা বেড়ে যাওয়াকেই প্রোস্টেট ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে ধরা যায় না

প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা

ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণত বাংলাদেশের তিনটি পদ্ধতি একত্রিত করে এর চিকিৎসা করা হয় তবে এখানে ক্যান্সারের স্টেজ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম যে দুটি স্টেজ আছে অর্থাৎ এক নাম্বার স্টেজ এবং দুই নাম্বার স্টেজ এই দুটি স্টেজে যদি ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে সেই চিকিৎসা করে চেষ্টা করা হয় সুস্থ করা যাওয়ার জন্য।

তবে যদি পরবর্তী স্টেজে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে সেখানে চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার হার খুব কম আছে এবং ফলাফল অসন্তোষজনক। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে সবার প্রথমে কেমোথেরাপির মাধ্যমে সেই ক্যান্সারের প্রভাবকে কমানোর চেষ্টা করতে হয় যদি সেটা কমে তাহলে প্রস্তুতে অপারেশন করা হয় আক্রান্ত স্থান বিচ্ছিন্ন করার জন্য। এরপরে রেডিও থেরাপে এবং কেমোথেরাপির সংমিশ্রণে পুরোপুরি ক্যান্সারের ভাইরাসকে শরীর থেকে নির্মূল করানোর চেষ্টা করা হয়। যদি এই চেষ্টায় সফল হন তাহলে অবশ্যই সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবে তবে অনেকের ক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব হয় না যার কারণে অনেকেই মারা যায়।