স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আমরা সবসময় হাসিখুশি থাকি এবং অনেক ভালো থাকে। কিন্তু শরীরের যে কোন অঙ্গে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেটা আমাদের সবকিছুকেই নষ্ট করতে পারে। যেমন মনে করুন আমাদের লিভার যখন আমরা খাবার খাই সেটা খুব সুন্দরভাবে আমাদের খাবার কে হজম করে। তবে সেই লিভারে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই সেটা দুঃখজনক আজকে আমরা জানার চেষ্টা করো লিভারে অতিরিক্ত চর্বির সমস্যা নির্মূলে ঘরোয়া উপায় আমরা কি করতে পারি।
ঘরোয়া উপায় কথা যদি বলতে হয় তাহলে প্রধানত যে অভ্যাসটি আপনাকে গড়ে তুলতে হবে সেই অভ্যাস হচ্ছে ভালো খাদ্য অভ্যাস। এখন অনেকে বলতে পারেন এখানে কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে এবং কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। অবশ্য সেটা আপনি বুঝতে পারবেন কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে বা কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবেনা। সবার প্রথমে আমাদের যে জিনিসগুলা খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে কথা বলুন।
ফ্যাটি লিভার কমানোর ঘরোয়া উপায়
এখানে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে অবশ্যই অ্যালকোহল সেবনকারীদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল সেবন করা যাবে না। যারা অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত খারাপ একটি দিক এবং যারা এলকোহল সেবন করেন তাদের লিভারের চর্বি কমার থেকে আরও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর পাশাপাশি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে তেলচর বিযুক্ত খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে।
জীবনে অনেক তেল চর্বিযুক্ত খাবার খেয়েছেন এবং অনেক স্বাদের খাবার খেয়েছেন এখন একটু কষ্ট করুন এবং এই খাবারগুলো একেবারে বর্জন করুন। যে খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল এবং রং ব্যবহার করা হয়েছে সেই খাবারগুলো এই অবস্থাতে রোগীদের জন্য বিষাক্ত খাওয়ার মতন হয়। এমনিতেই লিভারের জন্য প্যাকেটজাত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার অত্যন্ত ক্ষতিকারক তাই এই খাবারগুলো আমাদের বর্জন করতেই হবে।
এখন আমরা বলি আপনারা কি কি খাবার খেতে পারেন এই সময়। সাধারণত এই অবস্থাতে আপনারা প্রচুর পরিমাণে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন প্রচুর পরিমাণে আঙুর খেতে এবং প্রচুর পরিমাণে আপেল খেতে এর পাশাপাশি কমলা ও খেজুর ও কলা অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে। চেষ্টা করতে হবে রঙিন ফলমূল খেতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রঙের ফর্মুলা আপনি যদি মিস করে খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার জন্য উপকারী।
শাক সবজির কথা বলতে গেলে ডুমুর এর পাশাপাশি ব্রকলি থেকে শুরু করে সবুজ শাক ও ক্যাপসিকাম অত্যন্ত উপকারী খাবার লিভারের জন্য এর পাশাপাশি গাজর ও মিষ্টি আলু ও শসা টমেটো ইত্যাদি নিয়মিত খেতে পারেন আপনি আপনার লিভারের চর্বি কমানোর জন্য। এখন অনেকেই বলতে পারেন এখান থেকে ফ্যাট পাওয়ার উচ্চ খুব কম আমরা ফ্যাট এর জন্য কি করতে পারি।
অবশ্যই লিভারের চর্বির কারণে এমন কিছু চর্বি আমরা খেতে পারি যেগুলো লিভারের চর্বি কাটাতে আমাদের সাহায্য করে যেমন বাদাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় খাবার।
লিভারের চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়
লিভারের চর্বি জমলে সাধারণত অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ সমস্যায় পেটের সমস্যা যেমন পেট জ্বালাপোড়া হওয়া এবং পেটের আকৃতি বড় হয়ে যাওয়া। অল্প খাওয়ার পরেও মনে হচ্ছে পেট ভারী হয়ে গেছে এবং কোন ভাবে বেশি খাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও আরো বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে হঠাৎ করে বমি হওয়া বা রক্ত বমি হওয়ার মতন সমস্যা ও দেখা যেতে পারে। এ ধরনের লক্ষণ যদি একইসঙ্গে দেখা যায় তাহলে সেটা লিভারের চর্বির বৃদ্ধির প্রাথমিক লক্ষণ।