মেয়েরা কিভাবে গর্ভবতী হয়

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এ আর্টিকেলে। আজকের আর্টিকেলে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি যে বিষয়টি প্রত্যেকটি মেয়ের জন্য জেনে রাখা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো মেয়েরা কিভাবে গর্ভবতী হয় সে সম্পর্কে।

আপনারা যারা মা হতে চাচ্ছেন কিন্তু কোনভাবেই মা হতে পারছেন না তাদের জন্যই মূলত আমাদের আর্টিকেলটি আজকে নানান রকমের তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন আমাদের আর্টিকেল থেকে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা জেনে নেই কিভাবে দ্রুত গর্ভবতী হওয়া যায় এবং মেয়েরা কিভাবে  গর্ভবতী হয় সে সম্পর্কে।

সাধারণভাবে গর্ভবতী হওয়ার আগে আপনার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ এবং কিছু টেস্ট নিয়ে আপনাকে আগে শিওর হতে হবে যে আপনার অন্য কোন সমস্যা রয়েছে কিনা। যদি আপনি শিওর হতে পারেন যে আপনার অন্য কোন সমস্যা নেই তাহলে স্বাভাবিকভাবে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী চললে আপনি খুব সহজে গর্ভবতী হতে পারবেন।

সবার ক্ষেত্রে কথা সত্য না হলেও স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের মাসিকের গড়চক্র কাল ২৮ দিন। অনেকের ক্ষেত্রে অবশ্য মাসিক অনিয়মিত হয়ে থাকে। তাই অভুলেশন বা ডিমবাস গঠনের সাতদিন পর্যন্ত স্বামী বা পার্টনারের সঙ্গে সহবাস করলে একজন নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকে।।

এর জন্য যদিও ডিম্ব স্ফুটন একেবারে সঠিক সময় বুঝে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে তারপরেও বেশিরভাগ বেরোয় ঋতুস্রাব শুরুর 10 থেকে 15 দিন আগে ডিম্ব স্ফুটন হয়ে থাকে। তাই এটাকেই সঠিক সময় বলা হয়ে থাকে। কাজে হিসাব করে সেভাবে আপনার স্বামী বা পার্টনারের সাথে যৌন মিলন করলে আপনি খুব সহজে গর্ভবতী হতে পারবেন। তবে শরীরে অন্য কোন সমস্যা থাকলে হয়তো এত সহজে গর্ভবতী হওয়া সম্ভব হয় না।

হতাশ হবেন না

গর্ভবতী হওয়ার জন্য কোন ভাবে হতাশ এবং দুশ্চিন্তা করা যাবে না। কিছুদিন চেষ্টার পর সফল না হলে মন খারাপ বা নিজেকে দায়ী করার কিন্তু কোনই কারণ নাই। চেষ্টা করার সাথে সাথে যে আপনি গর্ভবতী হবেন এটি কিন্তু ভাববেন না।

চেষ্টা করার পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত যখন আপনার উপরে পড়বে ঠিক তখনই আপনি মা হতে পারবেন। অনেকের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে সময় কমও লাগতে পারে। এছাড়াও গর্ভধারণ নির্ভর করে থাকে নারী তার জনন ক্ষমতা, ডিম্ব স্ফুটনের তারিখ, নারীর সাধারণ স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার উপর।

গর্ভধারণের জন্য পূর্বে ফলিক এসিড ও আয়রন ট্যাবলেট

গর্ভধারণের আগে থেকে আপনাকে নিয়মিত ভাবে দুই তিন মাস গর্ভধারণ সহজ করার জন্য ফলিক এসিড আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া শুরু  করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফলিক অ্যাসিড হল বিশেষভাবে প্রয়োজন। তাই গর্ভধারণ সহজ করার জন্য অর্থাৎ জনন ক্ষমতা বাড়াতে ও জরায়ু সুস্থ রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে ফলিক অ্যাসিটো আইরন ট্যাবলেট এর কোন বিকল্প নেই। তবে ফলিক এসিড এবং আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

খাওয়া দাওয়া

গর্ভধারণ করতে চাইলে অবশ্যই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যেমন খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরী এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাদাম দুধ জাতীয় খাবারও গর্ভধারণের সহায়তা করে।

মানসিক চাপ কে দূরে রাখতে হবে

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সন্তান না হওয়ার কারণে অনেক নারী মানসিক চাপে ভোগে থাকেন আবার আমাদের সমাজে পরিবার থেকেও বিভিন্ন রকমের চাপ আসে যার কারণে মা তখন বিভিন্ন রকমের চিন্তায় পড়ে যান। এক্ষেত্রে কোন ধরনের চাপকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হলো জোর করে সন্তান ধারণ করা বা সন্তানের মা হওয়া কখনোই সম্ভব হয় না এছাড়া মানসিক চাপ থাকলে তা শেষ পর্যন্ত সন্তানের জন্য অমঙ্গলজনক হয়ে ওঠে।