এনজিওগ্রাম কিভাবে করা হয়

একজন চিকিৎসক যখন বুঝতে পারে রোগীর এনজিওগ্রাম করার প্রয়োজন রয়েছে আশা করি তখন সে এই বিষয়টি রোগীর সঙ্গে আলোচনা করতে দেরি করে না। এমন রোগী যদি এনজিওগ্রাম করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে পূর্ব থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং এ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল আপনাকে সাহায্য করবে। হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করার জন্যই মূলত এই পরীক্ষা করা হয় তাই চিকিৎসক যদি ধারণা করে থাকেন কোন রোগীর হার্টের কোন সমস্যা হয়েছে তাহলে অবশ্যই তাকে এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেবেন।

আমরা এখান থেকে জানার চেষ্টা করবো একজন রোগীকে কিভাবে এনজিওগ্রাম করানো হয়ে থাকে আশা করছি আপনারা এখান থেকে প্রাথমিক ধারণা স্বরূপ আমাদের তথ্যগুলো সংগ্রহ করবেন। সাধারণত যদি হার্টের ওপর এনজিওগ্রাম করা হয় তাহলে কিভাবে করা হবে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। এনজিওগ্রাম করার পূর্বে পরীক্ষামূলক হিসাবে রোগীর কিছু ল্যাব টেস্ট করানো হয় এতে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়।সাধারণত এনজিওগ্রাম করার পূর্বে কিছু medication এর প্রয়োজন রয়েছে যেমন অন্য রোগের কোন ঔষধ যদি থাকে সেগুলো খেয়ে নিতে হবে। এনজিওগ্রাম করার পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে ভালোভাবে পরামর্শ করতে হবে এবং পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ বন্ধ করবেন না। এনজিওগ্রাম করার পূর্বে অ্যাসপিরিন জাতীয় কোন ঔষধ খাওয়া চলবে না এবং এনজিওগ্রাম করার 72 ঘন্টা আগে থেকে ডিপায়েরিডামল ও ওয়ারফেরিন জাতীয় কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। পাঁচ দিন আগে থেকে ক্লাফিক্স এবং এ জাতীয় কোন ঔষধ খাওয়া যাবে না।

অনেক রোগীর যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অবশ্যই অনেক কিছু মেনে চলতে হয় তাই এই বিষয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কোন কোন বিষয়গুলো আপনাকে মানতে হবে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে যদি ইনসুলিনে নেওয়া হয় তাহলে ব্লাড সুগার যদি ২০০ এর চেয়ে বেশি হয় তবে সকালে হাফডোজ নিতে পারেন কিন্তু যদি ব্লাড সুগার ২০০ এর নিচে হয় তবে সকালে ইনসুলিন নেবেন না।

অনেকে প্রস্তুতির জন্য খাওয়া-দাওয়ার কথা জানতে চান এই বিষয়ে বলতে হয় যে যেইদিন এই টেস্ট বা এই পরীক্ষা করানো হয় তার আগের দিন মধ্যরাত থেকে ভারী জাতীয় খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাধারণত হালকা এবং অত্যন্ত পাতলা জাতীয় খাবার খেতে বলা হয় যাতে করে শরীরে অন্য কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়।এনজিওগ্রাম করানোর সময় রোগীকে বেডের ওপর শোয়ানো হয় এবং চিকিৎসক সঙ্গে থেকেই এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করান। তারা তাদের ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে হার্টের ওপর এই পরীক্ষা চালায় যাতে করে রোগের সঠিক রোগ নির্ণয় করা হয়। অনেকের মনে এমন ভুল ধারণা আছে এনজিওগ্রামের মাধ্যমে অনেক রোগী মারা যেতে পারে তবে এগুলো একেবারে ভুল ধারণা এনজিওগ্রাম এমন কোন রিক্সের পরীক্ষা নেয় যেখানে রোগী মারা যেতে পারে।

অত্যন্ত সাধারন একটি পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে এমন কিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয় যেটা রোগীর শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই পরীক্ষা নিয়ে কোন ধরনের ভয় না রেখে নিজেকে রোগী হিসাবে আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে আপনার পরীক্ষা আরো ভালো হয়।

এনজিওগ্রাম এর ফলাফল

এনজিওগ্রাম এর ফলাফল সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে বেশ কয়েকটি ফলাফল দেখা দেয় মূলত রক্তনালীর কোন ধরনের ব্লকেজ বা রক্তনালীর যে কোন ধরনের সমস্যা নির্ধারণের জন্য এনজিওগ্রাম সবথেকে বড় একটি পরীক্ষা। শুধুমাত্র যে ব্লকেজ ধরা পড়বে এই পরীক্ষা থেকে বিষয়টি এমন না এর পাশাপাশি রক্তের স্বাভাবিক চলাচল বিরাজ করছে কিনা এবং কেন রোগীর হাটের সমস্যা হচ্ছে তার যেকোনো একটি সমাধান অবশ্যই পাওয়া যাবে এই পরীক্ষা থেকে। তাই অনুরোধ জানাচ্ছি যদি চিকিৎসক এই পরীক্ষা করাতে পারে তাহলে দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরীক্ষা করিয়ে নেবেন যাতে করে সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হতে পারেন।