গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম লক্ষণ হল গর্ভবতী মায়েরা খেয়াল করে তা হল পিরিয়ড বাদ যাওয়া। তবে অনেক সময় দেখা যায় যাদের অনিয়মিত পিরিয়ড রয়েছে তাদের পিরিয়ড মিস হয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর আবার পিরিয়ড হয়ে যায়। এরকম হলে সেটি কিন্তু  গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ নয়। পিরিয়ড মিস হওয়ার বিভিন্ন রকমের কারণ রয়েছে। তাই পিরিয়ড মিস হওয়ার সাথে সাথেই ধরে নেওয়া যাবে না যে সে গর্ভবতী।

তবে যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে তাদের যদি পিরিয়ড সময় মত না হয় তাহলে সে গর্ভবতী হতে পারে। আর পিরিয়ড মিস হওয়ার লক্ষণটি হল গর্ভবতী হওয়ার জন্য প্রথম লক্ষণ। গর্ভবতী নারীর সর্বশেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে তার গর্ভকালীন শুরু ধরা হয়ে থাকে।

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় সেই সম্পর্কে। আমরা আজকে আপনাদেরকে জানাতে এসেছি গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় এই সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে। আপনারা যারা জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। আশা করি এখান থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন।

আপনি কি করে বুঝবেন যে গর্ভবতী কিনা?

আমরা উপরের অংশে জেনেছি যে গর্ভাবস্থায় প্রথম লক্ষণটি হল পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। এছাড়াও কারো কারো ক্ষেত্রে আরো কিছু লক্ষণ উপস্থিত থাকতে পারে যেমন মাথা ঘোরানো, চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা, বমি বমি লাগা, ক্লান্তি অনুভব করা, এসব উপসর্গগুলো।

তবে এসব লক্ষণ থাকলে যা আপনি গর্ভবতী তা সুনিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। যখন আপনার মাসিক নিয়মিত সময়ের মধ্যে না হয়ে বন্ধ হয়ে থাকবে এবং এর সাথে উপরের উপসর্গগুলো বিরূপভাবে প্রভাব ফেলবে তখন আপনার উচিত প্রেগনেন্সি টেস্ট ক্রিকেটের সাহায্যে খুব সহজে ঘরে বসেই জেনে নেওয়া যে আপনি গর্ভবতী কি না।

যদি আপনি ঘরে বসেই প্রেগনেন্সি কিটের মাধ্যমে টেস্ট করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েও আপনি এই প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে পারেন। এছাড়াও সরকারি যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো রয়েছে সেখানে গিয়েও আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নিতে পারবেন। প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে শিওর হওয়া যাবে যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা সে সম্পর্কে।

মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়

আপনার যদি পিরিয়ড নিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে যখন আপনার কোন মাসের পিরিয়ড বাদ হয়ে যাবে এবং আপনি যদি এর আগের সময়ে অ নিরাপদ সহবাস করে থাকেন অর্থাৎ কোন জন্মনিরোধক ব্যবহার না করে সহবাস করে থাকেন তাহলে যখনই দেখবেন যে নির্দিষ্ট তারিখে পিরিয়ড শুরু হয়নি তখনই আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিতে পারেন।

এটি সাধারণত পিরিয়ড মিস হওয়ার ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি যদি বাড়িতে ঘরে বসেই প্রেগনেন্সি কিটের মাধ্যমে টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন তাহলে সঠিক ফলাফল আপনি পাবেন। এই প্রেগনেন্সির কিট গুলো আপনারা চাইলে যে কোন ঔষধ ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন।

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

আপনি যদি মনে করেন যে আপনি বাড়িতেই কিট এর মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে চান তাহলে খুবই সহজভাবে আপনি নিজে নিজেই প্রেগনেন্সির টেস্ট করে নিতে পারবেন ঘরে বসেই। এর জন্য প্রথমে আপনাকে নিকটস্থ ফার্মেসি বা সুপার শপ থেকে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট বক্স কিনে আনতে হবে। এরপর সকাল বেলার প্রথম প্রসাবের নমুনা নিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।

সাধারণত ভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট এর প্যাকেটে লেখা থাকে যে আপনি কিভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন সে বিষয়ে। প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট স্টিকার উপর সেই সকালের পেশাব মাত্র দুই থেকে তিন ফোঁটা দিয়ে দিন এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন।

কিছুক্ষণ লক্ষ্য করলেই আপনি দেখতে পাবেন যে হয়তো দুইটি লাল রঙের দাগ উঠে গিয়েছে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট। আর যদি লক্ষ্য করেন যে একটি মাত্র লাল দাগ উঠে গিয়েছে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি প্রেগন্যান্ট নয়।