গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়

আপনি কি প্রথমবারের মতো গর্ভবতী? নাকি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা তা এখনো সম্পূর্ণভাবে শিওর নন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা আজকে আপনাদেরকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাতে এসেছি গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর সাধারণত বমি হয় সেই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য।

গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব হবে। বমি হওয়া একটি গর্ভবতী মেয়েদের সাধারণ লক্ষণ। বিশেষ করে বাচ্চা কনসিপ হওয়ার পর প্রথম তিন মাসে খাবারের অরুচি হওয়া এবং বমি বমি ভাব হওয়া অথবা কখনো বমি হয়ে যাওয়া, মাথা ঘুরানো এই উপসর্গগুলো হলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাভাবিক কিছু উপসর্গ।

সাধারণত গর্ভধারণের পর থেকে মেয়েদের শরীরে হরমোনের বিভিন্ন রকমের প্রভাব দেখা যায় নানা রকম হরমোন ওঠানামা করে থাকে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। তাই এ সময় একজন গর্ভবতী মায়ের বমি বমি ভাব বা বমি হওয়াটা স্বাভাবিক।

তবে আপনি যদি প্রথম গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে এ বিষয়গুলো হয়তো আপনার না জানারই কথা। তবে এই আধুনিক যুগে এসে কোন কিছুর না জানা হলো একেবারেই বোকামি। কারণ ,এখন আমরা ঘরে বসেই শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের সমস্যা এবং বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উত্তর গুলো সার্চ করলেই জেনে নিতে পারি।

ঠিক তেমনি আপনার যদি গর্ভবতী বিষয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনারা আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো নিয়ে নতুন নতুন আর্টিকেল তৈরি করার জন্য।

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়

গর্ভাবস্থা এক ধরনের সুখের একটি সময়। একজন মায়ের কাছে এর সময়টি অনেক আনন্দময় তবে এর পাশাপাশি একজন মায়ের গর্ভাবস্থার প্রথমের দিকে বিশেষ করে প্রথম তিন মাস বিভিন্ন রকমের সমস্যায় পড়তে হয়।

এ সময় প্রচুর পরিমাণে বমি বমি ভাব লাগে এবং বমি হতে পারে। এছাড়াও খাওয়ার প্রতি অরুচি এবং খাবারের প্রতি একটি অনীহার সৃষ্টি হয়। এইসব পার করেও একজন মা তার গর্ভের সন্তানকে ভালো রাখার জন্য নিয়মিত চেষ্টা করেন পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে।

গর্ভাবস্থায় এক ধরনের হরমোনের প্রভাব বেড়ে যায় সেটা হল বিটা হিউম্যান ওর ইউনিক গোণাট ট্রপিন। এই হরমোনকে সংক্ষেপে বলা হয় বিটা এইচ সি জি। যখন এই হরমোন বেশি দেখা দেয় তখন তার প্রভাবে খাওয়ায় অরুচি মাথা ঘোরা বমির ভাব বেশি হয় এবং মাঝেমধ্যে প্রচুর পরিমাণে বমিও হতে পারে। আর এটাকেই বলা হয় মর্নিং সিকনেস।

গর্ভাবস্থায় যদি বমির মাত্রা বেশি দেখা দেয় অর্থাৎ দিনে দুই থেকে তিনবার বা আরও বেশি বমি হয় তাহলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার শুরু হতে পারে। এইজন্য শরীরের ওজন পাঁচ শতাংশের বেশি কমে যায়। যদি ২০ সপ্তাহ বাস হারে চার মাসের পরও বমি প্রবণতা দেখা যায় তবে তাকে বলে হাইপার এমেসিস গ্রাভি ভেরাম।

গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কিছু কারণ

গর্ভাবস্থায় বমি হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও কিছু কারণ রয়েছে সে কারণগুলো সম্পর্কে একজন গর্ভবতী মায়ের জেনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন আমরা এখন সেই কারণগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের তারতম্যের জন্য মর্নিং সিকনেস বা বমি হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি যদি এ সময়ে স্ট্রেস বা খুব টেনশনে থাকেন তাহলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে গর্ভবতী মাকে টেনশন কম করতে হবে।

এছাড়াও গর্ভাবস্থায় ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলেও বমি হতে পারে। যদি কোনরকমের ইনফেকশন থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে। যদি আপনার ফ্যামিলির মর্নিং সিকনেস এর সমস্যা থাকে তাহলে আপনারও এই সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও আপনার ওজন বেশি হলেও বমির সমস্যাটা বেশি হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনেকেই বলে থাকেন যে যদি গর্ভে মেয়ে সন্তান থাকে তাহলে মর্নিং সিগনেচার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।