গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিকস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়

ডায়াবেটিস কথাটির সাথে আমরা প্রায় সকলেই সম্পৃক্ত। এখন ঘরে ঘরেই রয়েছে ডায়াবেটিস এর রোগী। তবে গর্ভাবস্থায় যখন গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তখন কিন্তু বিভিন্ন রকমের নিয়ম-কানুন গুলো সেই গর্ভবতী মাকে মেনে চলতে হয় শুধুমাত্র তার সুস্থতা কামনার জন্য এবং তার গর্ভের সন্তান যাতে সুস্থভাবে জন্ম নেয় সেজন্য।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলটি আমরা মূলত সেই সব মায়েদের জন্য তৈরি করেছি যারা গর্ভবতী অবস্থায় ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন রকমের ঝুকি হয়ে থাকে। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে এসেছি গর্ব অবস্থায় ডায়াবেটিক্স কত হলে একজন মাকে ইনসুলিন নিতে হবে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য নিয়ে।

গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিকস হলে করণীয়

একজন গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। এর কারণ হলো একজন মা যখন সে জানে তার ডায়াবেটিকস হয়েছে এরপর সে যদি গর্ভবতী হয় তাকে বলা হয়ে থাকে প্রিজেস্টেশনাল ডায়াবেটিস কেস। অপরদিকে একজন মা গর্ভবতী হওয়ার পর যখন জানতে পারে যে সে ডায়াবেটিসের রোগে আক্রান্ত হয়েছে তখন তাকে বলা হয় জেস্টের সনাল ডায়াবেটিস মেলা ইটাস।

তবে এখন বেশিরভাগ মায়েরা গর্ভবতী হওয়ার পরে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এইটায়াবেটিস কোন কোন মায়ের ক্ষেত্রে শুধু গর্ভাবস্থা অবস্থা কালে নেই থাকছে এবং সন্তান প্রসব হওয়ার পর আর ডায়াবেটিকস থাকছে না তিনি তখন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। আবার অপরদিকে কোন কোন মায়ের ক্ষেত্রে গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বাচ্চা প্রসব হওয়ার পরও তার ডায়াবেটিস থেকে যাচ্ছে।

প্রথমে যখন একজন মা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ে আসে তখন সে মায়ের ক্ষেত্রে এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কমঝকিপূর্ণ মানে হলো সে মায়ের পরিবারের কারো ডায়াবেটিকস নেই। তার কখনো ছিলনা এবং তার বাবা-মায়েরও নেই। এছাড়া সে মা কখনো এমন কোন বাচ্চা প্রসব করায়নি যে তার ওজন ৪ কেজির বেশি হয়েছে।

এই সমস্যা ছিল না ইত্যাদি সমস্যা না থাকলে তাদের আমরা কম ছুটির মধ্যে বলে থাকি সেই সব মায়েদের। আর যেসব মা উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ তারা হচ্ছেন যাদের বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস আছে এর আগের গর্ভধারণের সময় ডায়াবেটিকস ছিল অথবা এর আগে অনেক বড় বাচ্চা প্রসবের ইতিহাস আছে। এছাড়া কোনো কারণ ছাড়াই বাচ্চা হঠাৎ করে মারা গিয়েছে অথবা তার পেটের মধ্যে বাচ্চা মারা গিয়েছে। এই ধরনের রোগীকে আমরা উচ্ছে ছবি পণ্য বলে থাকি।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিবে

গর্ভাবস্থায় যখন একজন মা এর ডায়াবেটিকস ধরা পড়ে তখন থেকেই তার অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে যাওয়া অতি প্রয়োজন। ১৫ দিন পর পর তাকে ডায়াবেটিস চেক করে দেখতে হবে যে তার ডায়াবেটিস ঠিক রয়েছে কিনা। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সে মাকে চিনি মিষ্টি গুড় এসব খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়াও সে মায়ের তখন ফ্যামিলি সাপোর্টের বিশেষ প্রয়োজন থাকে। কারণ একজন মা যখন গর্ভবতী হন তখন এমনি থেকেই তার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে থাকে এবং মন মানসিকতাও আগের তুলনায় অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে সেজন্য ওই সময়টাতে অবশ্যই তার ফ্যামিলি সাপোর্টের বিশেষভাবে প্রয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়াও যখন একজন মা গর্ভবতী অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার শরীরের অবস্থা আরো দ্বিগুণ খারাপের দিকে চলে যায়।

তাই সেই সময়ে আরো বেশি করে সাপোর্টের প্রয়োজন পড়ে। একজন গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে অনেক বেশি থাকে তখন অবশ্যই তাকে ইনসুলিন নিতে হবে। তবে গর্ভাবস্থায় কোন কিছুই নিজে নিজে করা উচিত নয় যে কোন কাজ করা অথবা যেকোনো ওষুধ বা ইনসুলিন সেবন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এরপর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।