যাদের সাধারণত লো প্রেসারের সমস্যা আছে তাদের একটি জিনিস অনেক কষ্ট দেয় সেটা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। আপনি যতই একটিভ থাকার চেষ্টা করুন না কেন আপনার প্রেসার যদি লো থাকে তাহলে কোন ভাবেই অলসতা আপনার শরীর থেকে যেতে চাইবে না এবং আপনি শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল অনুভব করবেন। এ অবস্থাতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে যায় এবং চেষ্টা করে খুব দ্রুত এই প্রেসার কে হাই প্রেসারে নিয়ে পরিবর্তন করতে। তবে এটা হবে ভুল সিদ্ধান্ত।
আপনি লো প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক প্রেসারে নিয়ে যেতে পারেন কিন্তু আপনি এটাকে হাই প্রেসারে নিয়ে যাবেন সেটা হবে সবথেকে বড় বোকামি। লো প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক পরিমাপে নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে এবং সেগুলো হবে ভাগ ভাগ করে। অবশ্যই সবার প্রথমে একজন ভালো চিকিৎসকের অধীনে আপনাকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে এবং তিনি যেইভাবে আপনাকে চলাফেরা করতে বলেছে সেই ভাবেই আপনাকে চলাফেরা করতে হবে।
এরপরে যে জিনিসটা নিশ্চিত করতে হবে সেটা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার। সাধারণত পেশার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে খাবারগুলো রয়েছে আপনি যদি সঠিকভাবে সেই খাবারের ব্যবহার নিজের উপর করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এমনিতেই সেই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।কিন্তু কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এই খাবারের মাধ্যমে প্রেসার কি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না তার কারণ হচ্ছে তার অন্য কোনো রোগ বা এই প্রেসার এটি রোগের পরিণত হয়েছে যার কারণে সহজে এটা সমাধান করা যাচ্ছে না।
এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করায় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে লো প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করার। এখানে যদি লোকেশন নিয়ন্ত্রণ করার পেছনে অন্য কোন অসুখ দায়ী থাকে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে এর পাশাপাশি সেই অসুখের চিকিৎসা করতে যাতে দুইটা জিনিস একই সঙ্গে ভালো করা যায়। সাধারণত এই ভাবেই আপনি চাইলে নিজের লো প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং এটার মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারবেন।
লো প্রেসারের খাবার
লো প্রেসার এর সময় সব থেকে সাংঘাতিক একটা ঘটনা ঘটে সেটা হচ্ছে হঠাৎ করে শরীরের তরল কমতে শুরু করে যার কারণে রক্তের ঘনত্বও কমতে শুরু করে। এরপরে রক্তের ঘনত্ব যত কমতে শুরু করে লো প্রেসার ততই বেড়ে যায় এই অবস্থাতে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে তরল মজুদ থাকে। আপনি এজন্য যে কাজটি করতে পারেন সেটা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল মজুদ করতে আপনাকে সবার প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ফলের রস এবং বিভিন্ন ধরনের তরল জাতীয় খাবার খেতে যেগুলো আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পানির পরিমাণ ঠিক করে রাখবে।
লো প্রেসার এর লেবু
অনেকেই মনে করে লো প্রেসারে লেবু খেলে প্রেসার আরো কমে যায়। সাধারণত আপনি যদি স্বাভাবিক মাত্রায় লেবু খান এবং যদি সেটা নিয়মিত না হয় তাহলে কোন সমস্যা হবে না তবে যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় লেবু খেতে থাকেন এবং সেটা নিয়মিত হারে তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার প্রেসার কে কমাতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে লেবু আপনার প্রেসার কমাতে এখানে কাজ করছে এমন না এর পেছনে আরো কিছু জিনিস আছে যেগুলো ওকে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
কি খেলে প্রেসার বাড়ে
আপনি যদি হঠাৎ করে প্রেসার বাড়াতে চান তাহলে যে খাবারগুলো আপনি খাবেন সেগুলো হচ্ছে দুধ এবং ডিম। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিন ক্যাপসুল আছে যে ক্যাপসুলগুলো আপনারা ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার শরীরের প্রেসার বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।