একজন মা যখন বুঝতে পারেন যে সে গর্ভবতী তখন সে মায়ের আনন্দের পাশাপাশি অনেক চিন্তার ও বিষয় হয়ে পড়ে। এসময় মায়ের ভীষণ রকমের শরীর খারাপ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ এগুলো হলো স্বাভাবিক একটি বিষয়। প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার প্রথম সময়ের দিকে বেশ শরীর খারাপ থাকে।
আপনার আজকে জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী মায়ের ঔষধ সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য নতুন একটি আর্টিকেল আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে এসেছি গর্ভবতী মায়ের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
গর্ভবতী মায়েরা অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেয়ে থাকেন। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস সাধারণত দেখে বোঝার তেমন উপায় নাই যে তিনি গর্ভবতী কিনা। তবে বেশ কিছু শরীর খারাপের জন্য অনেকে আন্দাজ করে থাকেন যে হয়তোবা এই মেয়েটি গর্ভবতী।
তবে গর্ভকালীন যেসব স্বাভাবিক উপসর্গ রয়েছে সেগুলো যে সব মায়ের ক্ষেত্রে একই রকম হবে তা কিন্তু নয়। এই উপসর্গগুলো একেকটি মায়ের ক্ষেত্রে এক এক রকম হতে পারে। এমনকি এই উপসর্গগুলো একটি মায়েরে প্রথমবার ভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং দ্বিতীয়বার অন্যরকম অনুভূতি হতে পারে।
জনসংখ্যার অনুপাতে এখনো বাংলাদেশের রেজিস্টার্ড ডাক্তার অনেক কম। তাদের অনেকে কম সময়ে অনেক বেশি রোগী দেখে ফেলেন। কোন কোন ডাক্তার অনেক সময় একজন মহিলা গর্ভবতী কিনা তা না জেনে ওষুধ লিখে দেন। এতে করে সে গর্ভবতী মায়ের অনেক ঝুঁকি থেকে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেক গর্ভবতী মা রয়েছেন যারা টাকা বা অর্থের অভাবে এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে পারেন না। তবে তাদের জন্য এখন একটি সুবিধা হল সরকারি মেডিকেলগুলোতে গিয়ে এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা এবং সে ডাক্তারকে দেখানো।
বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেলগুলোতে খুব ভালো চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তবে এর জন্য আপনাকে কষ্ট করে অবশ্যই মেডিকেল অব্দি যেতে হবে। একজন গর্ভবতী মা যখন বুঝতে পারবে আপনি গর্ভবতী ঠিক তখন থেকেই একজন গাইনি ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
কারণ এখন যে রকম উন্নত দেশ হয়েছে উন্নত চিকিৎসাও হয়েছে ঠিক সেরকমই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ রোগও দেখা দিয়েছে। তো চলুন আমরা জেনে নেই গর্ভবতী মায়ের ঔষধ সম্পর্কে।
গর্ভবতী মায়ের যে সব ওষুধ খাওয়া যাবে
অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন যারা এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে না চেয়ে তাদের পরামর্শ না নিয়ে বাড়ির আশেপাশে ওষুধ ফার্মেসীগুলোতে গিয়ে হাতুরে চিকিৎসক বা ওষুধের দোকানদার তাদের মনগড়া ওষুধ দিয়ে থাকেন তবে এগুলো না জেনে শুনে খাওয়াটাই ভালো। কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের এ সময়ে জেনেশুনে ওষুধ খেতে হবে। কোন ভুল ওষুধ খেলে সে মায়ের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
প্রথম তিন মাস যেহেতু গর্ভধারণের লক্ষণ বাইরে থেকে বোঝা যায় না তাই ওষুধ খেলে বিপদ ঘটতেই পারে এ সময়। তাই বলা হয়েছে প্রথম তিন মাস গর্ভাবস্থায় যে কোন ওষুধ একেবারেই খাবেন না। ওষুধ যদি খাওয়ার থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।
একজন ভাল ডাক্তারের উচিত মহিলা গর্ভবতী কিনা তা অবশ্যই আগে থেকে জেনে নেওয়া তারপর তার সমস্যা অনুযায়ী তাকে ওষুধ সেবন করা। একজন গর্ভবতী মা যদি না জেনে শুনে কোন ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে বিকলাঙ্গ তা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তাই অবশ্যই গর্ভবতী মা দের ওষুধ এর বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
তাই ডাক্তার এবং রোগী উভয়কে সচেতন থাকতে হবে কারণ সামান্য একটু ভুলের কারণে ঝরে যেতে পারে সম্ভাবনাময় তাজা প্রাণ। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের ডাক্তারের থেকেও বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন শুধুমাত্র তার গর্ভের সন্তানকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জন্ম দেওয়ার জন্য।