সাধারণত ছোটবেলা থেকেই লিভারের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় আসার পরে সেই লিভারের আকার আর বৃদ্ধি পায় না তখন সেটা আর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এই অবস্থাতে লিভারের আকার যদি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় সেটার অনেক কারণ থাকতে পারে। লিভারের একটি নির্দিষ্ট ওজন আছে সেই ওজনের তুলনায় লিভারের যদি ১০% এর বেশি চর্বি থাকে তাহলে সেটাও অনেক বড় ধরনের সমস্যা।
আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব যদি কারো এমন কোন সমস্যা হয় যেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে তার লিভারে চর্বি জমেছে তাহলে সেই ব্যক্তি কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। সাধারণত এই সংসার সমাধান সব থেকে ভালো যে উপায় হবে সেটা হচ্ছে খাবার নিয়ন্ত্রণ। খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কিছু অভ্যাস এবং কিছু শারীরিক পরিশ্রম ও নিয়মিত চিকিৎসা আপনাকে লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে তথ্য জানার চেষ্টা করি।
যে পাঁচটি খাবারে লিভারের চর্বি কমাবে
কফি অনেকের কাছে অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার আবার অনেকেই কফির নিয়মিত সেবন করেন না। তবে পরিস্থিতি যদি এমন হয় আপনার ফ্যাটি অ্যাসিড হয়েছে অর্থাৎ লিভারে চর্বি অতিরিক্ত জমেছে এই ক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত কফি পান করলে অনেক উপকার পাবেন। এমনিতে কফি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিন্তু আপনি যদি ফ্যাটি এসিড নিরাময়ের জন্য নিয়মিত কফি সেবন করেন তাহলে সেটা আপনার লিভারের চর্বি কমাতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে।
ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার যেটা অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে লিভারে যে চর্বি জমা হয় সেই চর্বির বিরুদ্ধে সবথেকে শক্তিশালী উপাদান হচ্ছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এখন এই উপাদানটি আপনি পাবেন সব থেকে বেশি সামুদ্রিক মাছের। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সাধারণত যে মাছগুলো খাওয়া হয় সে মাছগুলো যদি নিয়মিত সেদ্ধ করে অল্প মসলা দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয় তাহলে সেটা অথবা মশলা ছাড়া রান্না করে খাওয়া যায় তাহলে সেটা আপনার লিভারের চর্বি কাটাতে সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করবে।
লিভারের চর্বি কাটানোর জন্য আরেকটি বড় উপাদান হচ্ছে গ্রিন টি। গ্রিন টি শুধুমাত্র লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে না গ্রিন টি আপনাকে সুন্দর এবং সতেজ শরীর উপহার দেয়। তাই আপনি যদি নিয়মিত নিজের অভ্যাস এর মধ্যে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে সেটা আপনার ভালো অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি। তাই অবশ্যই নিজের লিভারের চর্বি নির্মূলের জন্য গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
লিভারের চর্বি কমানোর জন্য আরেকটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটা হচ্ছে বাদাম জাতীয় খাবার। ভাদামের মধ্যে সকল ধরনের বাদাম লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এখানে আখরোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান আপনি যদি এই বাদাম নিয়মিত খান তাহলে অবশ্যই আপনার লিভারের চর্বি কমাতে এই উপাদান আপনাকে সাহায্য করবে।
এছাড়াও লিভারের চর্বি কমানোর জন্য অলিভ অয়েল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অলিভ অয়েল বলতে সাধারণত যাইতুন অথবা জলপাইকে বোঝানো হয়েছে এই জল পায়ের তেল যদি আমরা নিয়মিত খাই এবং অন্যান্য তেল খাওয়া ছেড়ে দিই তাহলে সেটা আপনার লিভারের চর্বি কমাতে আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
লিভারের চর্বি কমানোর ঔষধ
লিভারের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে সাধারণত এখন পর্যন্ত তেমন কোন ঔষধ আবিষ্কার হয়নি যেটা সরাসরি ভাবে লিভারের এই চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসা করা এখন পর্যন্ত এমন কিছু অভ্যাসের উপর নির্ভরশীল হয়ে আছেন এবং রোগীদের এমন কিছু উপদেশ দিচ্ছেন যেগুলোর মাধ্যমে রোগীরা লিভারের চর্বি কমাতে পারে। আশা করা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি লিভারের এই সমস্যা সমাধানের জন্য ওষুধ বাজারে আসবে।