আমরা যারা নিয়মিত কিছু ওষুধ সেবন করে তাদের অবশ্যই মনের ভেতর একটি হলেও চিন্তা হয়। চিন্তা হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। এমনিতেই চিন্তা হয় আপনি বেশি অসুস্থ হয়ে গেছেন তার কারণে তারপর আবার চিন্তা হয় সেই ওষুধ কিন্তু আপনার যতটা খরচ হচ্ছে তার কারণে। আবার অনেকের মনে একটি ভয় ঢুকে থাকে তাকে কি ভুল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না তো। সব মিলিয়ে ওষুধ নিয়ে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং বাংলাদেশে যে প্রয়োজনটা মানুষ সব থেকে কম অনুভব করে।
এমনিতেই আমরা নিজের শরীরের প্রতি কোন খেয়াল রাখি না তারপর আবার যখন অসুস্থ হয় তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখ বুঝে ওষুধ সেবন করতেই থাকে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে তবে একটি বিষয়ে আপনাকে আরো ভালোভাবে জানতে হবে যে একের অধিক জায়গাতে গিয়ে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করুন নিজের অসুখ সম্পর্কে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব Monas 10 সম্পর্কে।
Monas 10 ট্যাবলেট খাওয়ার নির্দেশনা
সাধারণত প্রত্যেকটি ওষুধ খাওয়ার রয়েছে সঠিক নির্দেশনা এবং এই নির্দেশনা মেনে যদি আপনি ওষুধ খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসা হবে। এই অংশের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করব Monas 10 ওষুধটি কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। মূলত অ্যাজমার আক্রমণ প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার ক্রনিক চিকিৎসায় Monas 10 ব্যবহার করা হয়। এটা এমন একটি রোগ যে রোগের ভালো চিকিৎসা না করলে আস্তে আস্তে সেটা বৃদ্ধি পায়।
বিভিন্ন সময় ব্যায়াম জনিত শ্বাসনালীর সংকোচন ও প্রতিরোধে অর্থাৎ বিভিন্নভাবে আঘাত লাগা থেকে শুরু করে এই ধরনের সমস্যা হলে অথবা শ্বাসকষ্ট হলে এই ঔষধ নির্দেশনা দিতে পারে একজন ডাক্তার। এছাড়াও আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জিক রিএকশন থেকে বাঁচার জন্য মাঝেমধ্যে Monas 10 দেওয়া হয়। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের সরাসরি Monas 10 ঔষধ খেতে বলা হয়।
Monas 10 ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
মূলত নিয়ম সম্পর্কে সব থেকে বেশি সমাধান দিতে পারবে আপনি যেই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন সে ডাক্তার। যারা রোগী আছে তাদের মনের অবস্থা এমনিতেই ভালো থাকে না এবং তারপরে তাদেরকে যদি কেউ না দেখে হুটহাট ওষুধ লিখে তাহলে সেটা হয় সব থেকে বড় বোকামি। তাই সব সময় ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং রোগীর মনের অবস্থা এবং শারীরিক অবস্থা তার সামনে তুলে ধরে তার মাধ্যমে ওষুধ এর পরিমাপ নির্ধারণ করিয়ে নিতে হবে। তবে আমরা এখন আপনাদের বয়স সীমার উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ওষুধের পরিমাণ জানানোর চেষ্টা করব।
সাধারণত ১৫ বছর এর বেশি বয়সি অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক কিশোর কিশোরীদের হাঁপানি বা মৌসুমী এলার্জিক রাইনাইটিস রয়েছে এমন শিশুদের ক্ষেত্রে মনটিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিদিন একবার খাওয়াতে হবে। এর বাইরে 6 থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে মন্টিলুকাস্ট 5 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিদিন একবার খাওয়াতে হবে। আবার যাদের বয়স এর থেকেও কম অর্থাৎ ২-৪ বছর বয়সী শিশু তাদের জন্য মন্টিলুকাস্ট ৪ মিলিগ্রাম ট্যাবের দিনে একবার খাওয়াতে হবে।
Monas 10 ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ওষুধ সম্পর্কে এ বিষয়টি না জানলেই নয় তার কারণ হচ্ছে ওষুধ আপনি খাচ্ছেন আপনার শরীরের ভালোর জন্য কিন্তু সেই ঔষধ যদি আস্তে আস্তে আপনার শরীরের ক্ষতি করে এবং আপনি সেটা বুঝতে না পারেন তাহলে আপনার ভাগ্য খারাপ বলব। তাই জানুন Monas 10 এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে এবং চিহ্নিত করুন আপনার শরীরে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা।
সাধারণত এই ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ডায়রিয়া এবং জ্বর এছাড়াও পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তি মাথা ব্যাথা থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া পর্যন্ত হতে পারে। উদ্ধাশ্বাসভাব অর্থাৎ দম জোরে জোরে হয় এবং বিভিন্ন ধরনের এলার্জির রিএকশন হতে পারে এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে।