আমরা সবাই অসুস্থ হলে ওষুধ খাই এবং ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে আমরা সুস্থ হতে পারি। তবে ওষুধ খাওয়ার আগে সবারই উচিত ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা সেই জিনিসটা দেখার। মেয়াদ দেখার কিছু নিয়ম আছে যেগুলা ওষুধের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে লিকুইড এবং প্যাকেটের ওষুধের গায়ে সব সময় দেখবেন ওষুধের ডেট দেয়া থাকে। আপনি যদি ভুল করে এগুলো না দেখে ওষুধ খান তাহলে এক্সপায়ার ডেটের ওষুধ খেলে আপনার নানা রকম ক্ষতি হতে পারে সেজন্য সতর্ক হতে হবে এবং সব সময় ওষুধের ডেট দেখে ওষুধ খেতে হবে।
অনেক সময় আমরা ওষুধ নিয়ে এসে ওষুধের ডেট না দেখে খেয়ে ফেলি যার ফলে ডেট না থাকলেও সে ওষুধটা আমরা খাচ্ছি তখন আমাদের নানারকম ক্ষতি হয় এবং নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যেগুলো আমরা বুঝতে পারি না যে কেন হচ্ছে। তাই যখনই যে ওষুধ আপনারা খাবেন সেটার মেয়াদ দেখার গুরুত্ব অনেক বেশি তাই সতর্ক থাকবেন। বোতল জাত ওষুধের ক্ষেত্রে বোতলের গায়ে ওষুধের মেয়াদ লিখা থাকতে পারে। এছাড়া বোতলের গায়ে লেখা থাকতে পারে আবার বোতলের ক্যাপের নিচে লেখা থাকতে পারে ওষুধের ডেট বা মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ। ক্যাপসুল ওষুধের প্যাকেটের গায়ে ও লেখা থাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ শুধুমাত্র আপনাদের নজর দিয়ে এটা খুঁজতে হবে এবং সতর্ক হয়ে দেখতে হবে। আপনারা প্যাকেটের গায়ে দেখবেন ই অক্ষর দিয়ে তার পাশে কিছু সংখ্যা লেখা থাকে।
এইগুলোই হলো ওষুধের মেয়াদের তারিখ যেগুলো অনেক মানুষ বোঝে না এবং না বুঝে ওষুধ খেয়ে ফেলে। যেমন ধরেন প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে E0221। এখানে E এর পাশে 2 হল মাস এবং ২১ হল বছর। সে ক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে এই ওষুধটার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে এটা খাওয়া যাবে না। ঠিক একই ভাবে প্রতিটা ওষুধের গায়ে এরকম কিছু লেখা থাকবে যেগুলো বুঝে নিতে হবে আপনাকে এগুলো মেয়াদে আছে। অনেক সময় দোকানদার রাত চালাকি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মানুষের কাছে বিক্রি করে ফেলে এবং সেখান থেকে মানুষের নানারকম ক্ষতি হয় কিন্তু মানুষ এটা বুঝতে পারে না। যখনই আপনি ডেট পার হওয়া ওষুধ খাবেন ঠিক তখন আপনার হাজার রকমের সমস্যা তৈরি হবে কিন্তু আপনি ভাবতেই পারবেন না যে সেটা ওষুধের জন্য হচ্ছে। তখন আপনি আবার ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং আবার আপনি ওষুধ নিয়ে এসে খাবেন।
তাই প্রতিটা মানুষের বিশেষ কিছু বিষয়ের ওপর প্রাথমিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন কিন্তু অনেক মানুষ এটা বোঝেনা। আমরা সাধারণ জনগণ সাধারণত সেটাই করি ওষুধ নিয়ে আসার সাথে সাথে আমরা খেয়ে ফেলি কিন্তু সেই ওষুধের বিষয়ে আর কোনো তথ্যই আমরা সংগ্রহ করি না। তবে আপনারা যদি আমাদের ওয়েব সাইটে আসেন তাহলে এই সকল তথ্যগুলো খুব সুন্দর ভাবে পেয়ে যাবেন এবং এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ওষুধের মেয়াদ দেখা হয় যার ফলে আপনি সবসময় সঠিক ওষুধ খাবেন এবং আপনার রোগ খুব তাড়াতাড়ি ভালো হবে। হঠাৎ করে যদি কোন ছোট বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে আমরা কোন সিরাপ নিয়ে এসে তাকে তখনই খাওয়াই দেই কিন্তু একবারও দেখি না সেটার মেয়াদ আছে কিনা।
আবার অনেক সময় সাপোটার আইডির প্রয়োজন পড়ে বাচ্চাদের সেটাও আমরা মেয়াদ না দেখেই ব্যবহার করে ফেলি যার ফলে ছোট বাচ্চাদের আবার নানা রকম ক্ষতি হয়। সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং সব সময় সঠিক ওষুধ খাওয়াতে হবে।তবে সব সময় একটা জিনিস মাথায় রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করবেন না। কারণ বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম রোগ হয় একটি মানুষের একটি ওষুধ খেয়ে রোগ ভালো হয়েছে বলে যে সেটা আপনারও হবে বা তার অসুখ আর আপনার অসুখ একই সেটা কিন্তু না। তাই কোন মানুষের কথায় কোন ওষুধ না খেয়ে রেজিস্টার ডাক্তারের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করে বা চিকিৎসা গ্রহণ করে তবে ওষুধ খাবেন এবং অবশ্যই সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা সেটা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে ওষুধ সেবন করবেন তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার রোগ ভাল হচ্ছে এবং আপনি সুস্থ হতে পারছেন।