শ্বাসকষ্ট হওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ আছে তার মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে বুকে কফ জমা। শ্বাসকষ্ট জড়িত কারণে যদি আপনার বুকে কফ জমার সমস্যা হয় অথবা বুকে কফ যাওয়ার কারণে যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে উভয় ক্ষেত্রে একই ধরনের ঔষধের ব্যবহার আপনি করতে পারেন। তবে প্রত্যেক রোগের ক্ষেত্রে একই ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে বা একই ধরনের ঔষধে সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে। তাই সবার প্রথমে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং সঠিক সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে কেবলমাত্র সঠিক চিকিৎসা দিয়ে সেই রোগীকে দ্রুত সুস্থ করা যায়।
বুকে কফ জমার ব্যাপারটা যে কোন বয়সের মানুষের জন্য হতে পারে তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি জানাটা অত্যন্ত জরুরী। আজকে আমরা এমন কিছু ঔষধের নাম আপনাদের জানাবো যে ওষুধের নাম জানার পরে আপনি নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা করাটা বোকামি হতেও পারে। আমরা আজকে আপনাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাবো এবং চেষ্টা করব জানাতে বুকের কফ জমা কিভাবে দূর করবেন এই বিষয়ে। যেকোনো বয়সের মানুষ অথবা শিশুদের ক্ষেত্রেও বুকে কফ জমে থাকলে কিভাবে তার সমাধান করবেন সেটা জানবো।
বুকের কফ দূর করার ঘরোয়া উপায়
আমাদের হাতের কাছে যে উপাদানগুলো থাকে সেগুলো যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিখি আমরা তাহলে কিছু কিছু সাধারণ রোগ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি। তেমনই বুকের কফ জমাটা আমাদের কাছে অনেক সাধারণ হতে পারে যদি প্রথমদিকে আমরা তার সঠিক চিকিৎসা করতে পারি আমাদের হাতের কাছে থাকা ঘরোয়া এই উপাদানগুলোর মাধ্যমে। সাধারণত আমাদের হাতের কাছে থাকা এমন কিছু উপাদানের সঠিক ব্যবহার করে কিভাবে তার সমাধান আমরা করতে পারব চলুন জানার চেষ্টা করি।
তুলসী পাতা এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো কার্যকরী একটি ভেষজ আর এটা আমরা সকলেই জানি। তুলসী পাতার ব্যবহার যদি আমরা সঠিকভাবে করতে পারি অর্থাৎ তুলসী পাতার রস সরাসরি খেয়ে অথবা তুলসি পাতা রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠান্ডা অথবা গরম করে খেলে আমরা কাশি জনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত পেতে পারি। এমন বহু মানুষের অভিজ্ঞতা আমরা জানতে পেরেছি যেখানে সরাসরি কাশির সিরাপ খেয়ে কোন উপকারে না পেলেও তারা তুলসী পাতা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকার পেয়েছেন এবং সেখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। তাই তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে অথবা তুলসী পাতার সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে আপনারা খেতে পারেন।
এটা শুধুমাত্র বড়দের জন্য নয় একেবারে শিশু বাচ্চা থেকে চুরি করে সকল বয়সের মানুষের জন্যই খুব ভালো মানের একটি ভেষজ যা আপনাকে খুব দ্রুত সর্দি-কাশি এবং বুকে কফ জমা থেকে মুক্তি দেবে। তুলসী পাতার পাশাপাশি আমরা মধুর সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেতে পারি। মধুর সঙ্গে আদা কুচি কুচি করে কেটে তার রস বের করে সেটা গরম করে যদি নিয়মিত আমরা তিন বেলা খাই তাহলে দেখবেন ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই আপনার বুকে জমে থাকা কফগুলো উঠতে শুরু করেছে। কাশির মাধ্যমে কফগুলো উঠে আসবে যার মাধ্যমে আপনি খুব উপকার পাবেন।
বুকে কফ দূর করার এন্টিবায়োটিক ঔষধ
অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া করা যায় না সেটা সম্পর্কে হয়তো আমরা সকলে অবগত আছি। এন্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে সাধারণত এন্টিবায়োটিক ছাড়াও কিছু চিকিৎসা আছে যেমন মন্টিলুকাস্ট বিপি। এই ওষুধটি বুকে কফ জমা এবং শ্বাসকষ্ট দূর করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে তাই বয়স যেটাই হোক না কেন ছয় মাসের উপর থেকে যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য কি পরিমাণ মন্টিলুকাস্ট খাওয়া যাবে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ঔষধ আপনি নিয়মিত সেবন করতে পারেন। এছাড়া এজিথ্রোমাইসিন থেকে শুরু করে মকসিফ্লক্সাসিন এ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।