লক্ষণ ছাড়া গর্ভবতী

প্রত্যেকটি নারীর কাছে তার গর্ভবতী হওয়ার সময় টা যেন সারা জীবনের জন্য স্মৃতি হয়ে রয়ে যায়। একটি নারী থেকে যখন সে নারীটি মা হয়ে ওঠে তখন সেই মুহূর্তের আনন্দের যেন সীমা থাকে না। প্রত্যেকটি নারীর কাছে ছোট থেকে একটি স্বপ্ন থাকে মা হয়ে ওঠার জন্য। তবে বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ নারী রায় মা হওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের সমস্যা যেন ঘিরে ফেলেছে মা হওয়া থেকে বিরত থাকায়।

যেসব নারীরা এখনো মা হয়ে উঠতে পারেনি তাদের হয়তো কষ্টের সীমা নেই। এছাড়াও আমাদের সমাজ এতটাই নিজ যে সেসব নারীদেরকে সব সময় অপমান লাঞ্ছনা দিয়ে থাকেন। তবে আমরা কখনোই এটা ভাবি না যে সন্তান হলো আল্লাহর দেয়া একটি নিয়ামত। তাই যখন তখন যে কেউ সন্তান চাইলে যে সাথে সাথে সে মা হতে পারবে এটি কিন্তু একেবারেই সম্ভব নয়।

তাই যেসব মায়েরা এখনো সন্তান সম্ভাবা হয়নি অথবা মা হয়ে উঠতে পারেননি তাদের ক্ষেত্রে বলবো সাধারণভাবে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই আল্লাহ তাআলার নিকট ফরিয়াদ করুন এবং বেশি বেশি দোয়া প্রার্থনা করুন। কারণ আল্লাহ চাইলে এমন কিছু নেই যা সম্ভব হয় না। তাই মানুষের কথায় কান না দিয়ে নিজে ভালো থাকার চেষ্টা করুন খুশি থাকার চেষ্টা করুন এবং আল্লাহর কাছে চেয়ে যান অবশ্যই আজ নয়তো কাল আপনার স্বপ্ন পূরণ করে দিবেন একমাত্র  আল্লাহ তা’আলা।

যাই হোক আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন লক্ষণ ছাড়া গর্ভবতী সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য নতুন একটি আর্টিকেল আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

খুব কম নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সময় কোন লক্ষণ ফুটে ওঠে না। এছাড়া বেশিরভাগ নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের যেসব উপসর্গ গুলো রয়েছে সেগুলো ফুটে ওঠে এবং সেগুলোর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হতে পারে যে তারা মা হতে চলেছেন।

কোন নারীর গর্ভধারণের ঘটনা মানে যেন মাথা ঘুরানো আর বমি বমি ভাব আশা চিরাচরিত এই দৃশ্য থেকেই আমরা আন্তঃসত্তা হওয়ার সুখবরটি পেয়ে থাকে। তবে এ ঘটনায় কিন্তু শেষ নেই কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো ছাড়াই সে নারী গর্ভবতী হয়ে থাকেন। তবে তাদের মাঝেও বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো।

নারীর স্তন সংবেদনশীল হওয়া

নারীর স্তন বা স্তানবৃত্ত আগের তুলনায় আরো সংবেদনশীল হয়ে ওঠে গর্ভধারণ করার পর। এছাড়াও মা তখন কিছুটা ব্যথা অনুভূত করতে পারে তার স্থানের চারিপাশে। গর্ভধারণ বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে এগুলো বিজ্ঞানসম্মত একটি উপায় কিন্তু এসব বুঝতে আমরা হয়তো অভ্যস্ত হয় না। এ অবস্থায় সৃষ্টি হয় দেহে অতিমাত্রায় স্টারজেন এবং প্রজেক্টেরন হরমোন উৎপাদনের ফলে। এক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার পর স্থান দুধ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিতে থাকে ঠিক সেই জন্যই এরকমটা হয়ে থাকে।

খাবারের প্রতি অবসাদ

এছাড়াও কিছু কিছু নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের পর অবসাদ গ্রাস করে ফেলে। এ সময় বাড়তে হরমোন এবং শারীরিক পরিবর্তনের সাথে খারাপ খাওয়াতে দেহকে ব্যাপক কাজ করতে হয় যার জন্য এ সময়টাতে বাড়তি প্রোজেক্টের উৎপাদন অবসাদের জন্য দায় থাকে।

পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া

অতি সাধারণ একটি লক্ষণ হল পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। যখন একটি নারীগর্ভবতী হন তখন তার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় হালকা ব্লেডিং হতে পারে এটাও গর্ভধারণের একটি লক্ষণ।

প্রসাবের চাপ বৃদ্ধি পাওয়া

যেসব নারীদের বেশ কিছু লক্ষণগুলো দেখা যায় না তাদের মধ্যেও কিন্তু প্রস্রাবের চাপ বৃদ্ধি পাওয়াটা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে ওঠে। তবে একটি মা যখন গর্ভধারণ করে তখন থেকে কিন্তু তার আগে তুলনায় বেশি বেশি প্রস্রাব হতে শুরু করে।

এছাড়াও অনেক নারীর ক্ষেত্রে ঘুমের আচরণও বদলে যায় আগের সময় আর ঘুম হয় না।