রক্ত আমাশয় রোগের ওষুধের নাম বাংলাদেশ

আমাশয় এমন একটি রোগ যেটা যেকোনো বয়সের যে কোন মানুষের হতে পারে তবে বেশিরভাগ সময়ে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী আমাশয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রধানত আইবিসের সমস্যা হলে লোপেরামাইড, এন্টিবায়োটি ক এর মত ওষুধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কোষ্ঠকাঠিন্য বা আমাশয় রোগের জন্য এই সকল ওষুধগুলো বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বেশি দিয়ে থাকেন এবং এ সকল ওষুধগুলো সেবনের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে। আমাশয় রোগ বাংলাদেশের মানুষের একটি কমন রোগ এবং ছোট বড় সবারই এই সমস্যা দেখা দেয় যে কোন সময়। 

আর আমাশয় হলো এক ধরনের পাতলা পায়খানা জনিত রোগ। আমাশয় রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে সংক্রমণ। জীবাণু সংঘটিত বা পরজীবী ঘটিত বিভিন্ন সংক্রমনের কারণে এই রোগ দেখা দেয়। অনেক সময় খাদ্যের মাধ্যমে বা পানির মাধ্যমে এই সকল রোগ ছড়িয়ে থাকে মোট কথা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলে বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য গ্রহণ করলে এই সকল সমস্যাগুলো অনেক বেশি দেখা দেয়। সাধারণত এই সকল কারণের জন্যই আমাশয়ের মত জীবাণু মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে। 

আমাশয় রোগের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা বা ওষুধের নাম রয়েছে যেগুলো আপনি প্রাথমিকভাবে সেবন করতে পারেন এবং যদি এই সকল পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার পরও আপনি সুস্থ না হন তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আমাশয় রোগ খুবই যন্ত্রনাদায়ক এবং বারবার পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে মানুষের শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে কোন বল থাকে না। তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাশয় বা কোন জীবাণু যেন শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

আমাশয় হলো অন্ত্রের একটি জীবাণু সংক্রমণ যেখানে  বা রক্তের সাথে ঘনঘন পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় এবং মানব শরীর অনেক বেশি দুর্বল করে তোলে। যে সকল লক্ষণ গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার আমাশয় হয়েছে যেমন কিছুদিন আগে থেকে পেটে হালকা হালকা অস্বস্তি ভাব ও ভারভার অনুভব হবে। কখনো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য ও উদরাময়ের সমস্যা দেখা দেয়। পায়খানা হওয়ার পূর্বে তলপেটে ও নাভির চারপাশে ব্যথা অনুভব হয়। তবে যে সকল কারণে আমার সেই হয় সেগুলো হলো অপরিষ্কার পানি পান করা দূষিত বাতাস বিভিন্ন জীবনু বাহিত মশা ও মাছির জন্য। 

অপরিষ্কার ও দূষিত খাবার এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণেই এই সকল রোগগুলো হয়ে থাকে। আমাশয় আপনি যেভাবে রোধ করবেন তা হলো যে কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে খাবার গ্রহণ করুন। বাহিরের খোলা ভাজাপোড়া তৈলাক্ত ইত্যাদি জাতীয় খাবার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। সব সময় বিশুদ্ধ পানি পান করুন প্রয়োজনে পানিকে ফুটিয়ে নিন অথবা ফিল্টার করে নিন। আপনার ব্যবহারকৃত সকল জামা কাপড় গামছা ইত্যাদি নিজে একা ব্যবহার করুন অপর কাউকে ব্যবহার করতে দিবেন না। 

যেকোনো ফল খাবার আগে পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিস্কার করে খান। এ সকল নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার আর আমাশয় জাতীয় কোন সমস্যা হবে না।এ ধরনের যেকোনো সমস্যার জন্য প্রথমেই আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে কারণ যখন আপনি ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তখন তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবেন এবং ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ না করলে আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। 

তারপরও আমরা আপনাদের ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি বা চিকিৎসা দিয়েছি যেগুলো ব্যবহার করে আপনি সুস্থ হতে পারেন যেমন আম ও জাম পাতার রস, কাঁচা আমপাতা ও জাম পাতা ভালো করে ছেঁচে রস করে দুই থেকে তিন চা চামচ একটু হালকা কুসুম গরম করে খেলে আমাশয় দ্রুত সেরে যাবে। আবার ডালিম গাছের ছাল সিদ্ধ করে খেতে পারেন আমাশয়ের জন্য তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি এই রোগ ভালো হয়ে যাচ্ছে।আপনারা যদি সুস্থ এবং নিরাপদ ভাবে জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনাকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে হবে এবং সুস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে তবে আপনি সুস্থতার মাধ্যমে জীবন যাপন করতে পারবেন।