আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা গর্ভবতী। তবে ধনী গরিব যেরকম সবখানেই রয়েছে ঠিক সেরকমই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সরকার একটি কার্ড এর ব্যবস্থা করেছেন। বিশেষ করে যারা গরিব গর্ভবতী মা অথবা প্রতিবন্ধী গর্ভবতী মা রয়েছে তাদের জন্য অগ্রাধিকার বেশি পাওয়া যায় এই গর্ভবতী কার্ডে।
যে পরিবারের মোট মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা বা তার নিচে হয়ে থাকে তাদের জন্য এ কার্ড উপযুক্ত। কেবল বশত বাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বসবাস করে এরকম মায়েদের জন্য এ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল যার মাধ্যমে আমরা আজকে আলোচনা করব কিভাবে অনলাইনের মধ্যে গর্ভবতী মায়েদের জন্য কার্ড করা যায় সে সম্পর্কে।
বর্তমানে এই যুগে প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব হয়ে থাকে। ঠিক সেরকমই গর্ভবতী মায়েদের কার্ড করার বিষয়েও অনলাইনের মাধ্যমে আমরা চাইলে সহজেই একজন গর্ভবতী মায়ের কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারি।
বাংলাদেশ সরকার মাসিক ৮ ০০ টাকা হারে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর করে চারবার বা 24 মাস ভাতা প্রদান করে থাকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য। দুই সন্তানের ক্ষেত্রে ৩৬ মাস বা তিন বছর পেয়ে থাকেন একজন গর্ভবতী মা।
এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তো চলুন আমরা জেনে নে অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে গর্ভবতী কাজ করা যায় সে নিয়মগুলো সম্পর্কে।
ঠিক কখন গর্ভবতী ভাতার আবেদন করা যাবে
অনলাইনের মাধ্যমে একজন গর্ভবতী মায়ের ভাতার কার্ড কিভাবে করবো সেটি জানার আগে ঠিক কখন একজন গর্ভবতী মায়ের ভাতার আবেদন করা যাবে সে সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। চলুন আমরা জেনে নেই ঠিক কখন আমরা এই গর্ভবতী মায়েদের জন্য কার্ডের আবেদন করতে পারব সে সম্পর্কে।
গর্ভবতী মায়ের কার্ড করার জন্য সেই মাকে অবশ্যই নিজেই আসতে হবে। প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার যোগ্যতা
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার জন্য বিশেষভাবে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই মনে করেন যে বাচ্চা গর্ভে আসলে তার গর্ভবতী কার্ড হয়ে যাবে তবে এটা একদমই ভুল ধারণা। গর্ভবতী কার্ড করার জন্য বিশেষ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয় সেগুলো সম্পর্কে আমরা এখন আপনাদেরকে জানাবো।
প্রথমবার দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল যে কোন একবার এই কার্ড করা হবে। বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। ২০ বছর কম বয়সের মায়েদের জন্য এই কার্ড করা সম্ভব নয়। মোট মাসিক আয় 2000 টাকার নিম্নে হতে হবে। দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা এ বিষয়ে অগ্রাধিকার বেশি পাবেন।
যেসব মায়েদের কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বসবাস করে থাকে তাদের জন্য অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হবে। নিজের বা পরিবারের কোন কৃষি জমি বা মৎস্য চাষের জন্য যাদের কোনো পুকুর নেই তাদের জন্য এ কার্ড করে দেয়া হবে।
উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে উপকার ভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভ ধান কালে ভাতা প্রাপ্য হবে।
একজন ভাতা ভোগেই জীবনে একবার দুই বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা পাবেন। কোন কারনে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট চক্র অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে দুই বসরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে তাহলে।
অনলাইনে আবেদন কে করবেন
উপরে বর্ণিত শর্ত সমূহের মধ্যে কেউ কমপক্ষে পাঁচটি শর্ত পূরণ করলে তার নাম প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অধিকত দরিদ্র অগ্রাধিকার পাবেন।