ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে যদি সুস্থ হতে চান তাহলে অবশ্যই শুরু থেকেই এর চিকিৎসা করতে হবে তা না হলে কোনোভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। বরাবরই আমরা চেষ্টা করি এমন কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হতে যেগুলো আপনাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারব যে তথ্যগুলো অবশ্যই আপনাদের কাজে আসবে।

সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখে ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় সেই প্রাথমিক লক্ষণ গুলো নিয়ে এখন কথা বলব। এগুলো একেবারেই প্রাথমিক লক্ষণ যদি অন্য রোগের সঙ্গে তুলনা করেন তাহলেও এগুলো দেখা যেতে পারে তবে একসঙ্গে যদি এই লক্ষণ গুলো দেখা যায় তাহলে ব্লাড ক্যান্সারের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। হঠাৎ করে এমন কোন সমস্যা হলে সেটা অস্বাভাবিক তাই অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে এমন কোন সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে।

ক্লান্তি এবং দুর্বলতা প্রচুর পরিমাণে এই সময় শুরু হয়ে যাবে। যারা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে তাদের ঘুম শেষ করার পরেও পুনরায় ক্লান্তি এবং দুর্বলতা চলে আসবে মনে হচ্ছে সারাদিন ঘুমানো যাবে। এরকম সমস্যা ব্লাড ক্যান্সারের একেবারে প্রাথমিক লক্ষণ যে লক্ষণ গুলো অনেকেই অবহেলা করেন।

এই লক্ষণের সঙ্গে যে লক্ষণ আরো বেশি দেখা যাবে সেটা হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। সাধারণত অত্যাধিক দুর্বলতার কারণে এই শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে এবং এর কারণে আপনি যে কোন কাজ করতে গেলে বা অল্প রাস্তা হাঁটতে গেলেও প্রচুর পরিমাণে শ্বাসকষ্ট লক্ষ্য করতে পারেন।

শরীরের নীল দাগ এটা ব্লাড ক্যান্সারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ যা যেকোনো ধরনের আঘাত ছাড়াই তৈরি হতে পারে। এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ যে এই অবস্থাতে আপনাকে দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অনেকের ক্ষেত্রে মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং পেটের বৃদ্ধি ব্লাড ক্যান্সারে আরেকটি লক্ষণ।

সাধারণত আমারই ঘনঘন ফুলবে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে পেট ফুলতে থাকবে মনে হবে পেট ফাঁপা হয়ে গেছে এরকম সমস্যা দেখা দিলে তার সঙ্গে আরও উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। এছাড়াও যাদের অবিরাম জ্বর যে জ্বর ক্রমাগত আসতে থাকবে এবং ঘন ঘন এই জ্বর ফিরে আসবে এরকম জোরে দেখা দিলে অবশ্যই এগুলোর সঙ্গে মিল পাওয়া গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ব্লাড ক্যান্সার এর পরীক্ষা

সাধারণত যারা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে যে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায় ব্লাড ক্যান্সার সেই পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরি একটি ব্যাপার। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হচ্ছে রক্ত পরীক্ষা যার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই রক্তে ক্যান্সারের উপস্থিতি আছে কিনা সেটা জানা যায়।

এরপরে সাধারণত যে পরীক্ষা করা হয় সেগুলো হচ্ছে রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা। এই রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে সিটি স্ক্যান এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।। এছাড়াও এর সঙ্গে শারীরিক পরীক্ষা এবং অস্থিমজ্জার পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষাগুলো একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগীর জন্য প্রয়োজনীয়।

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা

সাধারণত বাংলাদেশে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় কয়েকটি পদ্ধতি যেখানে কেমোথেরাপীর সঙ্গে রেডিওথেরাপি এবং সার্জারিকে ব্যবহার করা হয়। এই তিনটি চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয় এর বাইরে সাধারণত ঔষধের মাধ্যমে এই ক্যান্সার নিরাময় করার কোন ব্যবস্থা নেই।

শুধুমাত্র বাংলাদেশে যে এমন বিষয়টি এমন না গোটা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত এমন কোন ঔষধ বের হয়নি যার প্রয়োগে ক্যান্সার মুক্ত হবেন রোগীরা। তাই সবার ক্ষেত্রেই একই অবস্থা বিরাজ করে তবে যারা প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করে তাদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি।