ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ

ফুসফুস ক্যান্সার হয়েছে লক্ষণ দেখেই সেটা বোঝা যায়। তবে উপসর্গগুলোর ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য অবশ্যই সব কয়টি উপসর্গ যদি একই সঙ্গে দেখা যায় তাহলে আপনি কনফার্ম হতে পারবেন। ক্যান্সার অনেক বড় একটি রোগ। কেউ চাইবে না মৃত্যুবরণ করার সময় তার ক্যান্সার হোক। কেউ পৃথিবী থেকে যেতে চায় না কিন্তু আল্লাহ তা’আলা আমাদের যেভাবে তৈরি করেছেন তার নিয়ম মেনে আমাকে পৃথিবী থেকে যেতে হবে। তবে এর মধ্যেও তফাৎ আছে যারা সুস্থ শরীরে পৃথিবী থেকে চলে যান তাদের এক ধরনের কষ্ট।

কিন্তু যারা অসুস্থ শরীরে পৃথিবীতে থেকে চলে যান তাদের আরেক ধরনের কষ্ট। সাধারণত ফুসফুসের ক্যান্সার যদি হয় তাহলে একজন রোগীকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। এতটাই কষ্ট করতে হয় যে রোগীর পরিবারের সদস্যরাও অনেক মানসিক সমস্যায় পড়ে যান। তবে যদি প্রথম দিকে এই ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে সুস্থ হওয়া যায় এর জন্য রোগীকে প্রাথমিক লক্ষণ গুলো বুঝতে হবে যে লক্ষণ গুলো এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

ক্যান্সার হলে প্রচন্ড কাশি হবে। স্বাভাবিকভাবে যেই কাশি হয় ঠান্ডা লাগলে তার থেকে অনেক জোরে এবং তার থেকে অনেক দিন ধরে এই কাশি লেগে থাকবে। ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে কাশির সঙ্গে কফ রক্ত উঠতে পারে। এখানে কাশতে গেলে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হবে। এই উপসর্গের সঙ্গে আরো কিছু উপসর্গ আছে যেমন হঠাৎ করে রোগীর শ্বাসকষ্ট তৈরি হওয়া। যার কখনো শ্বাসকষ্ট ছিল না তার হঠাৎ করে এতটাই শ্বাসকষ্ট তৈরি হয়েছে যে সে অনেক কষ্ট করছে।

এর পাশাপাশি হঠাৎ করে শরীরের ওজন পরিবর্তন হয় অর্থাৎ খাওয়ার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে। এরকম রোগীদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে খাওয়ার গিলতে গিয়েও সমস্যা হয়। হঠাৎ করে শরীর অতিরিক্ত দুর্বল এবং ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। এই সকল উপসর্গযোগী একইসঙ্গে দেখা যায় তাহলে দেরি করা যাবে না তার কারণ হচ্ছে ক্যান্সার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে সেটা সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ততটাই বেড়ে যাবে।

ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয়

ফুসফুস ক্যান্সার কেন হয় এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উত্তর দিতে গেলে আমরা বেশ কয়েকটি কারণ বলতে পারি। সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে ধূমপান করা। মনে করুন একজন ব্যক্তি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় ধরেই ধূমপান করেছে তার বয়স এখন ষাট বছর পার হয়ে গেছে এবং তার ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়েছে। এটা কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা উচিত ছিল তার আরো অনেক আগে ক্যান্সার ধরা পড়া কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তার হায়াত দিয়ে রেখেছেন বলেই তিনি এত দূর আসতে পেরেছেন।

শুধুমাত্র যে ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী এমন না এছাড়াও ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগ আছে যার কারণেও ফুসফুস ক্যান্সার হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার প্রবণতা ছোটবেলা থেকেই থাকে এবং এর কারণে বিভিন্ন সময় ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয় এই ইনফেকশন গুলো আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায় যেটা গোপনে গোপনে ফুসফুস ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়। এছাড়াও যারা কলকারখানার ধোঁয়া অথবা প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া আছে এমন কিছুর আশেপাশে থাকেন বা কাজ করেন তাদের জন্য ফুসফুস ক্যান্সার হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।

ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা

 

আপনি যদি ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা করো তো চান তাহলে দেরি করা যাবে না অবশ্যই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে চলে যেতে হবে যেখানে আপনি এর চিকিৎসা করাতে পারেন। সাধারণত কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি এছাড়াও অপারেশনের মাধ্যমে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ফুসফুস ক্যান্সারের সবথেকে বড় কারণ

ফুসফুস ক্যান্সারের সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে ধূমপান। যে ব্যক্তি ধূমপান করবে সেই ফুসফুস ক্যান্সারের একেবারে দার প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকবে যদি আল্লাহতালা চায় তাহলে সে সুস্থ থাকবে তাছাড়া তাকে কেউ সুস্থ রাখতে পারবে না। তাই আমরা চেষ্টা করব ধূমপান বর্জন করতে এবং যারা ধূমপান করে তাদেরকে এই বিষয়গুলো বোঝাতে।