সোরিয়াসিস রোগের লক্ষণ

প্রত্যেকটি রোগে রয়েছে আলাদা লক্ষণ এবং সেটা থেকে বাঁচার আলাদা চিকিৎসা ব্যবস্থা। চর্মরোগ কতটা সাংঘাতিক হতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের ভালো একটি ধারণা আছে। আজকে চর্ম রোগের মধ্যে সবথেকে ভয়ানক একটি রোগ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব যে রোগ যার হয়েছে তারা খুব ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সমস্যা নিয়ে। চর্মরোগ সাধারণত আমাদের শরীরে আস্তে আস্তে আসে এবং সেটা এতটাই আস্তে আস্তে আসে যে আমরা বুঝতেই পারি না তার সমস্যা আমাদের শরীরে আছে। কিন্তু যখন সেটা বুঝতে পারি তখন অনেক দেরি হয়ে যায় এবং এর কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা সরিয়ে আছিস হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারব যাতে করে আমরা প্রথমে এটাকে শনাক্ত করতে পারি।

সাধারণত সোরিয়াসিস হচ্ছে এক ধরনের চামড়া জনিত সমস্যা যেখানে এটাকে চামড়া  মোটা হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যা বলা হয়ে থাকে। সাধারণত এখানে এক ধরনের আসে এর মত চামড়া উঠতে থাকে যখন এই আঁশটাকে টান দেওয়া হয় তখন সেখান থেকে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে তবে আজকে আমরা সবার প্রথমে যে জিনিসটা জানবো সেটা হচ্ছে এই সোরিয়াসিস আবার লক্ষণ সম্পর্কে এবং এটা কিভাবে সারানো যায় সেই সম্পর্কে।

সাধারণত শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন হাটু কনুই মাথার ত্বকে সরে আশিস বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনাকে ফলো করতে হবে স্থানগুলোতে এই সমস্যা হচ্ছে কিনা যদি সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন। সাধারণত ত্বকে লাল ছোপ ও আলাদা একটি মোটা স্তর পড়ে যায় সরিয়াসিসের কারণে চামড়া অনেক মোটা হয়ে যায় এই বিষয়টি রোগীকে উপলব্ধি করতে হবে এটাই হচ্ছে একটি লক্ষণ।

এছাড়াও এর পাশাপাশি ছোট ছোট চোখ দাগ দেখা যাবে সরিয়াসিসের কারণে যা অত্যন্ত সাংঘাতিক মানের একটি সমস্যা। অনেক সময় যেই স্থানে ছড়িয়ে আছে তবে সেই স্থানে শুষ্ক ও ফাটা চামড়া আছে এই জিনিসটা রোগীকে খুব ভালোভাবে ফলো করতে হবে। শরিয়াসিসে লক্ষণ হিসেবে আক্রান্ত স্থানে চুলকানি ও রক্ত পড়তে পারে এরকম সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

এর পাশাপাশি চুলকানি ও জালা ভাব ও ব্যথা হতে পারে ও ফোলা ও শক্ত জয়েন্ট তৈরি হতে পারে শরিয়াসিসের কারণে। সরে আছিস থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন এবং কিভাবে এর চিকিৎসা করবেন সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে আছেন।

সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায়

স্যরি আছিস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু রয়েছে তবে আমরা আজকে আপনাদের যে সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব সেগুলো অবশ্যই আপনাদের পছন্দ হবে বলে আমি মনে করি।

প্রাকৃতিকভাবে যদি আপনি এটা মোকাবেলা করতে চান তাহলে এটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা এই সোরিয়াসিসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা হতে পারে। সাধারণত আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে দেখা গেছে যে বাদ ও কফ এর মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।

এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন ধরনের টক্সিন তৈরি হয় যেমন বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে জমা হতে শুরু করে যেটা আস্তে আস্তে টক্সিন রূপান্তরিত হয় যার কারনে সোরিয়াসিস হতে পারে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তবে এই সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে হলুদ অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস হতে পারে।

প্রাকৃতিকভাবে এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অলিভ অয়েল সরাসরি শরিয়াসিসের ওপরে লাগানো যেতে পারে। এছাড়াও অ্যান্ডিরা এরাবোরা গাছের সাহায্যে একটি বোটানিক্যাল পাউডার তৈরি করা যায় যে পাউডারের ব্যবহারে সোরিয়াসিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ত্বকের এলোভেরার অনেক উপকারী এক ভেষজ পদার্থ এবং এই উপকারী পদার্থের ব্যবহারের ফলে সরিয়াসিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।