প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক সময়

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। আজকের এই আর্টিকেলটি একজন গর্ভবতী মা অথবা যেসব মায়েরা গর্ভবতী হওয়ার জন্য আগ্রহ পোষণ করছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি সেটি হচ্ছে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক সময় সম্পর্কে। গর্ভধারণের ব্যাপারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিশ্চিত হতে পারবেন তত দ্রুত আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা গুলো মেনে চলা শুরু করতে পারবেন। ঠিক এই জন্যই আপনি ঠিক কখন আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করাবেন সেটি সম্পর্কে জেনে রাখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

এছাড়াও গর্ভধারণের প্রথম মাসে গর্ভবতী হওয়ার তেমন কোন লক্ষণ অনেক মায়েদের ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। তবে কিছু কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে প্রথম মাস থেকে গর্ভবতী হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় লক্ষণের ভিত্তিতে গর্ভাবস্থার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে এই অবস্থায় আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা সেটা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া। তাই আমরা এসব পরীক্ষাকে সাধারণত প্রেগনেন্সি টেস্ট বলে থাকি। তবে এই প্রেগনেন্সি টেস্ট আসলেই কোন সময়ে আমরা করব এবং কোন সময়ে করলে সঠিক রেজাল্ট পাব সেটি সম্পর্কে নতুন মায়েদের মনে নানা রকমের প্রশ্ন জেগে ওঠে। অনেক মায়েরায় বুঝতে পারেন না এ বিষয়টি।

তাই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কাছে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি ডাক্তার অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর কোনরকম সাহায্য ছাড়া ঘরে বসেই আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে চান অথবা ঘরে বসে প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি পড়তে হবে। এর কারণ হলো যত তাড়াতাড়ি গর্ভধারণের ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন তত দ্রুত আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা গুলো মেনে চলতে পারবেন। তাই এটি আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য খুবই মূল্যবান একটি তথ্য।

সঠিক সময়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক সময় সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব। সাধারণত মাসিকের সম্ভাব্যসময়ের মধ্যে মাসিক যদি শুরু না হয় এবং সম্প্রতি আপনি জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার ছাড়া সহবাস করে থাকেন তাহলে এ সময়টিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন। মাসিক মিস হওয়ার প্রথম দিনে আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করে গর্ভবতী কিনা সেটি জেনে নিতে পারবেন। প্রেগনেন্সি টেস্ট গর্ভবতী নারীদের প্রসাবে একটি হরমোনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয় যার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সে নারী প্রেগন্যান্ট কিনা। গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে এই হরমোনের পরিমাণ শুরুর দিকে অল্প পরিমাণে থাকে তাই গর্ভধারণের একদম শুরুর দিকে অথবা সহবাসের পরপরই এই টেস্ট করলে সাধারণত হরমোনের উপস্থিতি সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। এইজন্য সব থেকে ভালো সময় হলো আপনার মাসিক মিস হওয়ার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা।

প্রেগনেন্সি কিভাবে টেস্ট করতে হয়

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য অনেক রকমের উপায় রয়েছে তবে এর মধ্যে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট বা কাঠি দিয়ে আপনি সবচেয়ে সহজ এবং কম খরচে ঘরে বসেই টেস্ট করে নিতে পারবেন। এর জন্য সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড না হলে প্রথমে প্রেগনেন্সি কিটের সাহায্যে টেস্ট করতে পারবেন। এই কিট গুলো সাধারণত ওষুধ ফার্মেসিতে ৩০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির প্রেগনেন্সি টেস্ট গেট খুব সহজেই কিনে নিতে পারবেন।

প্রেগনেন্সি কিট কিভাবে ব্যবহার করবেন

অনেকেই হয়তো জানেন না এই প্রেগনেন্সি কিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। আসলে এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। প্রথমত আপনাকে বাজার থেকে এই কিট কিনে আনতে হবে। এরপর সারাদিনের মধ্যে যেকোনো সময়ে প্রসাব আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রেগনেন্সি কিটের মধ্যে দুই থেকে তিন ফোটা সেই সংরক্ষণ করা প্রসব দেওয়ার দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে আপনি এর সঠিক রেজাল্ট পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। অবশ্যই মনে রাখবেন সেই কিটের মধ্যে যদি দুইটি লাল দাগ ওঠে তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি মা হতে চলেছেন।