সিরাপ সাধারণত ছোটদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তবে এখনো এমন কিছু সিরাপ আসে যেগুলো বড়দের বিভিন্ন রোগের বিনিময়ে লড়াই করে। আজকে আমরা টোফেন সিরাপ নিয়ে আলোচনা করব এবং জানার চেষ্টা করব এই টোফেন সিরাপ কোন কোন রোগের বিনিময়ে লড়াই করতে পারে। আপনি যদি একজন রোগী হয়ে থাকেন এবং ডাক্তার যদি আপনাকে তো ফ্রেন্ডশিপ প্রেসক্রাইব করে তাহলে আপনার মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে ডাক্তার সাহেব কেন এই সিরাপ আপনাকে খেতে বললেন।
আপনাদের বিভিন্ন কৌতূহল এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানাতে আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। শুধু তাই নয় এই ঔষধ কতটুকু খেতে পারেন আপনি এবং এর পাশাপাশি এই ঔষধ যদি অতিমাত্রায় খাওয়া হয় তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিনা তা জানতে আমাদের আর্টিকেল পড়বেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক।
টোফেন সিরাপ খাওয়ার নির্দেশনা
মূলত কিটোটিফেন ফিউমারেট গ্রুপের এই ওষুধটি কেন খেতে হবে বা এই ওষুধ এর কাজ কি সেটা এখন আলোচনা করব। সাধারণত যে সকল কাজের জন্য এই অসুখ ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেই সকল কাজ সম্পর্কে এখন আমরা ধারণা দেবো। সর্ব প্রথমে হাঁপানি প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় এই সিরাপ ব্যবহার করা হয়। হাঁপানি যে শুধুমাত্র বড়দের হয়ে থাকে এমন নাই অনেক শিশু বাচ্চা যারা জন্ম থেকে এই রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসে তাদের ক্ষেত্রেও এই সিরাপ ব্যবহার করা হয়।
এর পাশাপাশি এই সিরাপ কাজ করে এলার্জিক অবস্থা যেমন বিভিন্ন ধরনের চুলকানি বা বিভিন্ন ধরনের এলার্জিক রিএকশন এর বিপদ বিপরীতে। তাই আপনি সরাসরি বলতেও পারেন এই সিরাপটি কাজ করে এলার্জির বিরুদ্ধে। এছাড়া ও নিউরোফাইব্রোমা জনিত চুলকানি ব্যথা ও স্পর্শ অসহিষ্ণু ইত্যাদি উপসর্গ উপসঙ্গে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এখানে এলার্জি যেমন আরটিকারিয়ার লক্ষণযুক্ত চিকিৎসাতেও এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
টোফেন সিরাপ খাওয়ার সঠিক মাত্রা
সকলের মনে একটি ধারণা আছে যে সিরাপ মানেই সেটা শিশুদের জন্য প্রযোজ্য কিন্তু বড়দের জন্য সেটা প্রযোজ্য নয়। তবে এটা একেবারেই ভুল ধারণা অবশ্যই কিছু কিছু সিরাপ আছে যেগুলো শিশু এবং বড় উভয়ের জন্য প্রযোজ্য কিন্তু এর মাত্রা রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন হাত না দিলে বুঝতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্ক বা পূর্ণবয়স্কদের জন্য সাধারণত ১ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার খাবারের সাথে সেবন করতে হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ২ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার খাওয়া যেতে পারে এখানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই কাজটি করতে হবে।
শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৩ বছরের অধিক তাদের জন্য এক মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার আহারের সাথে সেবন করতে হবে এবং খুব বেশি ঘুম পেলে চিকিৎসা শুরুর প্রথম কদিন রাতের বেলায় খাবারের সাথে ০.৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম করে এই ওষুধ খেতে হবে। এর পাশাপাশি যাদের বার্ধক্য আছে তাদের ক্ষেত্রে মাত্রা চিকিৎসার পরামর্শ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে।
টোফেন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
টোফেন সিরাপ খেলে আপনার ঘুম বেশি হবে এটা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তাই টোফেন সিরাপ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার যদি ঘুমের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে এখানে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই তবে ঘুম যদি এতটাই বৃদ্ধি হয়ে যায় যে আপনি আপনার কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারছেন না তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরিমাপটি কমিয়ে আনুন। তোমার স্বাস্থ্য অনুযায়ী এই জায়গাটা এর পাশাপাশি প্রোফাইল ট্যাবলেট বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ নিরাময় সাহায্য করল এটার কারণে আপনি আরো সমস্যায় পড়তে পারেন ঠিক যেমন এলার্জিক রিএকশন।
এছাড়াও মৃদু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া এর থেকে ডায়রিয়ার সৃষ্টি হওয়া হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ যদি ওষুধ খাওয়ার সময় আপনার শরীরে দেখা দেয় তাহলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিন এবং সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে চলে যান তার পরামর্শ নিতে।