একটা মেয়ের জীবনে তার পরিপূর্ণ সুখের নাম হল মা হওয়া। আমি মনে করি একটা মেয়ে যখন মা হয়ে যায় তখন সে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তবে মা হওয়াটা সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভর করে থাকে। আল্লাহ তাআলা তার ইচ্ছামতন প্রত্যেকটি মেয়েকে মা হওয়ার তৌফিক দান করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা বহুদিন থেকে একটি সন্তান এর আশায় রয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা আমার কথাতে মন খারাপ করবেন না। আমি যেহেতু উপরের হেডিং এ বলেছি যে একটি মেয়ের জীবনে মা না হওয়া পর্যন্ত তার জীবন পরিপূর্ণ নয়। তবে হ্যাঁ যাদের এখনো একটি সন্তান হয়নি যারা দিনরাত আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে আছেন তাদের আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই সন্তান দান করবেন তাই সেসব বোনেরা কখনোই মন খারাপ করবেন না এবং নিজেকে অপরিপূর্ণ মনে করবেন না।
আল্লাহ তাআলা চাইলে সবকিছুই সম্ভব হয়। যাইহোক আমরা আজকে শুধুমাত্র যেসব মায়েরা গর্ভবতী রয়েছেন তাদের জন্য নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন একটি আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলের আলোচনার মূল বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিকস কমানোর উপায় সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো নিয়ে। একটা মেয়ের জীবনে মাতৃত্ব তার জীবনটাকে যেন ভরিয়ে দেয়। পৃথিবীতে এমন কোন মেয়ে হয়তো নেই যে মেয়েটা মা হতে চায় না। তবে নিরাপদ মাতৃত্বের পথটাকে আরো চ্যালেঞ্জিং করে দিতে পারে প্রেগনেন্সি ডায়াবেটিকস।
আর যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিকস আছে তাদের ক্ষেত্রে তো বাচ্চা নেবার আগে থেকে সাবধান হয়ে নিতে হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বাচ্চা যখন পেটে আসে অর্থাৎ একটি মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন তার হঠাৎ করেই ডায়াবেটিকস হয়ে যায়। তবে এরকম হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বাচ্চা প্রসব হওয়ার পরেই সে ডায়াবেটিক্স ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকে।
গর্ভাবস্থায় কাদের ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি বেশি থাকে
রক্তের গ্লুকোজ লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য মানবদেহে নিচ থেকে ইনসুলিন তৈরি হয়ে থাকে। তবে গর্ভাবস্থায় দেহে ইনসুলিন এর চাহিদা অনেক মাত্রায় বেড়ে যায় এ অবস্থায় যদি মায়ের শরীর যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে না পেরে থাকে ঠিক তখনই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সেই মায়ের ডায়াবেটিস হয়ে যায়। প্রতি 6 জন মায়ের একজন প্রেগনেন্সি ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা বাচ্চা ডেলিভারির পর নিজ থেকেই ভালো হয়ে যায়। তবে ২৫ বছরের বেশি বয়সী নারী গর্ভবতীর মা-বাবা ডায়াবেটিস থাকলে এবং অতিরিক্ত ওজন থাকলে তাদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
গর্ভাবস্থায় কিভাবে ডায়াবেটিকস কমাবে
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিক্স কমানো মোটেই সহজ নয় তবে কিছু কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে যেগুলো মেনে চললে অনেকাংশেই কম হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য প্রথমত নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। এরপর কিছু খাবারদাবার রয়েছে যেগুলো বন্ধ রাখা প্রয়োজন। একজন মা যখন তার গর্ভাবস্থায় বুঝতে পারেন যে তার ডায়াবেটিকস হয়েছে ঠিক তখন থেকেই সাদা চালের ভাত খাওয়া বন্ধ করা উচিত। সাদা চালের ভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত খাওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও গরু খাসির মাংস অথবা চিংড়ি ভুনা খাবারে বাড়তি লবণ চিনি দিয়ে তৈরি যে কোন খাবার অপান্তরিত দুধ এসব খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিত। চা খাবার অভ্যাস থাকলে দিনে দুই কাপের বেশি চা খাওয়া যাবেনা। তবে চা খাওয়ার সময় অবশ্যই চিনি ছাড়া চা খেতে হবে। এছাড়াও চিনির বিকল্প যেমন চিরকাল ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার পাশের ফার্মেসি ও জেনারেল সেন্টারে পেয়ে যাবেন।
গর্ভাবস্থায় এমনিতেই সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক অস্বস্তি লাগে আর ডায়াবেটিস থাকলে এটি আরো বেড়ে যেতে পারে তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে সল্ট বিস্কুট বা চিনি ছাড়া যে কোন বিস্কুট খেয়ে নিতে পারেন। এরপর হালকা ভাবে এক্সারসাইজ করলেও ডায়াবেটিস অনেক আংশিক কমে যায় প্রেগনেন্সি অবস্থায়।
আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর কিছু উপায় সমূহ।