গর্ভবতী অবস্থায় আমল

আপনি কি গর্ভবতী? একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় কি কি আমল করতে হয় সে সম্পর্কে ভাবছেন? গর্ভাবস্থার নয় মাসে কি কি আমল করতে হয় সেগুলো কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আমি বলব আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন একটি আর্টিকেল আজকের আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী অবস্থায় যেসব আমল রয়েছে সে আমলগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য। আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন।

মা হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ঠিক তেমনি একজন মায়ের কাছে তার সন্তানও হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আমাদের জীবনে মায়ের কোন বিকল্প নাই। মা তো মা-ই। মায়ের মত আপন আর কেউ কখনোই হতে পারে না আর পারবেও না।

তাইতো আল্লাহ তায়ালা মায়ের পায়ের নিচে দিয়েছে সন্তানদের জন্য সুসংবাদ। একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় যে কষ্ট ও বিপন্ন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তার পুরস্কার স্বরূপ প্রদান করা হয়েছে মাতৃত্বের এ মর্যাদা।

আল্লাহ বলেন আমি মানুষকে তার মা-বাবা সম্পর্কে জোর নির্দেশ দিয়েছি কেননা তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট সয়ে পেটে বহন করেছেন আর তার দুধ ছড়ানো হয় দুই বছরে। তুমি শোকর আদায় কর আমার এবং তোমার পিতা-মাতার। আমার ঐ কাছে তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে।

একজন মায়ের বর্ণনা দিতে গেলে কখনোই শেষ হবে না। তাই চলুন আমরা আজকে জেনে নিয়ে গর্ভবতী অবস্থায় যেসব আমল করতে হয় সে আমলগুলো সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ আমল

একজন মা যখন গর্ভবতী থাকেন সে সময়ে মা যে সব আমল করবেন এবং মা যেভাবে চালাকেরা করবেন তার বেশিরভাগ অংশই তার সন্তান পেয়ে যাবে। তাই গর্ভবতী অবস্থায় আমাদের শরীর ভালো থাকবা মন্দ সব কষ্ট সহ্য করার পরও নিয়মিতভাবে বিশেষ আমলগুলো করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

সব মায়েরাই চাইবে যে তার সন্তান নেককার হোক এবং ভালো মানুষ হোক। তাই সে অনুযায়ী মাকে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে পাশাপাশি আমলগুলো চালিয়ে যেতে হবে।

সন্তান গর্ভে থাকাকালীন মায়েদের উচিত বেশি বেশি পবিত্র কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করা নিয়মিত নামাজ আদায় করা এবং ধর্মীয় বইগুলো নিয়মিতভাবে পড়া।

এসময়ে মায়েরা যে কাজগুলো করে থাকেন সন্তানের আচরণের উপর তার প্রভাব পড়ে থাকে এ সময়ে পরনিন্দা পরচর্চা করা ঝগড়া করা গালাগালি করা ও অন্যান্য মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা অবশ্যই একজন মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

তাই সন্তান গর্ভে ধারণের প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে গর্ভবতী মায়েদের সূরা লোকমান ও সূরা ইনশি কাফ পড়া দরকার। চতুর্থ পঞ্চম এবং ষষ্ঠ মাসের সূরা ইউসুফ ও আল ইমরান পড়া উচিত। আর সপ্তম অষ্টম এবং নবম মাসে সূরা মারইয়াম ও সূরা মুহাম্মদ পড়ুন।

গর্ভবতী মা গর্ভাবস্থায় সূরা লোকমান পড়লে গর্ভের সন্তান জ্ঞানী তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও হেকমতওয়ালা হয়। সূরা ইনশিকুফ পড়লে গর্ভের সন্তান সকল প্রকার ক্ষতি থেকে নিরাপদে থাকে। সূরা ইউসুফ পড়লে গর্ভের সন্তানের রুহানি ও জিসমানী উভয় দিক সুন্দর হয়।

সূরা ইমরান পড়লে গর্ভের সন্তান দিনের পথে আহবানকারী হয়। সূরা মারিয়াম পড়লে গর্ভের সন্তান পরহেজগার ও আল্লাহ ভীরু হয়। সূরা মুহাম্মদ পড়লে গর্ভের সন্তান সৌন্দর চরিত্রের অধিকারী হয়।

তাই একজন গর্ভবতী মায়ের উপরিয়ক্ত সূরাগুলো তেলাওয়াত করা বিশেষভাবে প্রয়োজন তার সন্তানের ভালোর জন্য।

নেক নিয়তে একজন গর্ভবতী মায়ের তার সন্তানের জন্য পড়া যেতে পারে রাব্বি হাবলি মিনাজ সালেহীন। অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক আপনি আমাকে সৎকর্ম শীল সন্তান দান করুন।

গর্ভাবস্থার সুসংবাদ সীমিত কিছু মানুষকে শোনানো। বেশি মানুষের মাঝে আলোচিত হওয়া ঠিক নয়। অবশ্য ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সবাইকে জানাতে বাধা নেই তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিছু খুশির সংবাদ গোপন রাখতে হয়। কেননা প্রত্যেক সংবাদ শ্রবণকারী বন্ধু হয় না।