লিভারের চর্বি কমানোর উপায়

আপনি যদি আপনার লিভারের চর্বি কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে সেটা কিভাবে করবেন এরকম প্রশ্নের উত্তর আজকের এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। লিভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংক এবং এই লিভারে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই অসুস্থ হতে পারে যে কেউ। লিভারের সমস্যা গুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে লিভারে চর্বি জমা বা লিভারে চর্বি বৃদ্ধি পাওয়া। এই জিনিসটা মূলত কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সাধারণত লিভারের যে ওজন আছে সেই ওজনে তুলনায় সেখানে চর্বির পরিমাণ যদি ১০% এর বেশি থাকে তাহলে সেটা অস্বাভাবিক এবং এর কারণে যেকোনো ধরনের রোগ হতে পারে।

এটাকে মূলত লিভারের চর্বি বৃদ্ধি হিসাবে ধরা হয়। এবারের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবার প্রথমে নিজেকে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এতটাই সুন্দরভাবে হতে হবে যেন সেটা পুরো শরীরকেই সাপোর্ট করে। এর পাশাপাশি লিভারের চর্বি কমানোর জন্য অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম করতে হবে। এবং কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলোকে একেবারেই বর্জন করতে হবে যার ফলে লিভার চর্বি কমানো সম্ভব।

লিভারের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়

লিভারের চর্বি কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মধ্যে যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে সেগুলোর প্রধান হচ্ছে খাবার নিয়ন্ত্রণ। যাদের সাধারণত লিভারের চর্বির পরিমাণ অতিরিক্ত বেশি তাদের যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আমরা যে প্রতিনিয়ত খাবারগুলো খায় সেখানে তেল চর্বি আছে এই খাবারগুলো একেবারে বর্জন করব। এখন বলতে পারেন তেল চর্বি খাওয়া বাদ দিলে আমাদের শরীরের প্রোটিন কোথা থেকে পাওয়া যাবে।

আমরা চেষ্টা করব উদ্ভিদ উপাদান থেকে এই প্রোটিন গুলো সংগ্রহ করতে যেমন হাই ফ্যাট প্রোটিন বলতে গেলে ডাল এবং বাদাম। তবে এর পাশাপাশি আমরা সামুদ্রিক মাছ এবং নদীর মাছ সেদ্ধ করে খেতে পারি ওমেগা থ্রি গ্রহণের জন্য যেই ওমেগা থ্রি সরাসরি আমাদের লিভারের চর্বি কাটাতে সাহায্য করে। এই খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমরা যেই জিনিসগুলো করতে পারি সেটা হচ্ছে লিভারকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন গ্রিন টি খাওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পাড়া লিভার কে ভালো রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লিভারের চর্বি কমানোর ঔষধ

লিভারের চর্বি কমানোর জন্য যারা ঔষধ করছেন তাদেরকে বলবে একটু সতর্ক অবস্থানে থাকুন। সাধারণত অনলাইন এর মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে লিভারের চরমে কাটানোর যে ওষুধ গুলো দেখা যায় সেগুলো সত্যিই সঠিকভাবে কাজ করে কিনা এবং তার কি ধরনের  প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে সেই সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনা নেই। আমার মনে হয় এগুলোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত তার কারণ হচ্ছে এগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে যে কোন সময় ক্যান্সার বা অন্য কোন বড় ধরনের রোগ হতে পারে।

তবে যারা এই ঔষধ ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন তারা অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন যেটা অত্যন্ত জরুরি একটি ব্যাপার। আপনারা যদি সঠিকভাবে এর উপকারিতা পান তাহলে অবশ্যই অন্যকে সাজেস্ট করতে পারেন এক্ষেত্রে যারা নিজের ব্যবহার করেছেন তারাই শুধুমাত্র কমেন্ট করবেন।

লিভারের চর্বি কমানোর ব্যায়াম অবশ্যই আছে। যদি সার্বিকভাবে বলা যায় যে কোন ধরনের ব্যায়াম শরীরের জন্য উপকারী এবং সেটা লিভারের জন্য উপকারী। তবে আলাদাভাবে যদি লিভারের কোন ব্যায়াম থেকে থাকে সেটা হতে পারে যোগ ব্যায়াম যে ব্যায়াম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং এর একটি প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং দিয়ে নিতে হবে। সাধারণত এই ব্যায়ামগুলোর প্রক্রিয়া থাকে আলাদা এবং সঠিকভাবে এই ব্যাংক করতে পারলে অবশ্যই লিভারের চর্বি কমাতে এই শারীরিক পরিশ্রম আপনার কাজে আসবে। তবে যারা এটা না করতে পারবেন তারা যেকোনো ধরনের ব্যায়াম প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট থেকে এক ঘন্টা করতে পারেন লিভার কে ভালো রাখার জন্য।